skip to Main Content

ফিচার I টেকাতে হবে মেকআপ

ফুলপ্রুফ মেকআপ। তবু তা অসতর্ক মুহূর্তে ঘেঁটে যেতে পারে। লুকে ঘটতে পারে বিপর্যয়। এড়ানোর উপায় আছে। তবে কারণ জানতে হবে আগে
স্পর্শ সম্পর্কিত
মেকআপ দেয়া মুখে বারবার হাত বোলানোর বাজে অভ্যাস নিমেষেই নষ্ট করে দিতে পারে লুক। বেখায়ালে হোক কিংবা চুলকাতে গিয়ে অথবা কিছু ভাবার সময় অনেকেরই হাত চলে যায় মুখে। ফলে হাতের উষ্ণতা নয়তো ঘামের সংস্পর্শে এসে মেকআপ ঘেঁটে যেতে শুরু করে। এ ছাড়া হাতে থাকা নানা জীবাণু ত্বকে চলে যায়। মেকআপ প্রডাক্টের সঙ্গে মিশে ছড়ায় ভাইরাস আর অ্যালার্জি। এর মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া লোমকূপের ভেতর ঢুকে সৃষ্টি করে নানা রকম ত্বক সমস্যা। ফলাফল- ব্রণ আর অ্যাকনের আক্রমণ। সংক্রমণও ঘটতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় মেকআপ টিকিয়ে রাখতে অযথাই মুখত্বক হাতানোর অভ্যাস বাদ দেয়া চাই। আর এ ধরনের অভ্যাস থাকলে ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখতেই হবে।
ব্লটিং প্রসঙ্গ
অতিরিক্ত তেলে ভাব যেকোনো ধরনের মেকআপের প্রধান এক শত্রু। এটা মুখের মেকআপ লুক নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে ব্লটিংই ভরসা। অনেকেই মেকআপ ঘেঁটে যাওয়া তেলে ত্বকের উপরই আরও মেকআপের লেয়ার দিয়ে তৈলাক্ততা ঢাকার চেষ্টা করেন। যা একদমই ভুল প্রক্রিয়া। তেলে ত্বকের মেকআপ নষ্ট হতে শুরু করলে প্রথমেই ব্লটিং পেপার চেপে চেপে বাড়তি তৈলাক্ততা দূর করে নিতে হবে। এতে ত্বক পাবে ম্যাট ফিনিশ। এর উপর টাচআপ করে নিলেই আগের মতো সুন্দর সেট হয়ে থাকবে মেকআপ।
পণ্যের আধিক্য
ত্বকে বেশি সৌন্দর্যপণ্যের ব্যবহারে অনেক সময় হিতে বিপরীতটাও ঘটে। অনেক প্রডাক্ট একসঙ্গে ব্যবহারের কারণে কোনোটাই ত্বকে ঠিকমতো বসতে পারে না। ফলাফল মেকআপ নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। তাই ময়শ্চারাইজার, ফাউন্ডেশন কিংবা পাউডার- যে প্রডাক্টই ব্যবহার করবেন, সময় নিয়ে তা বসিয়ে নিতে হবে ত্বকে। দিতে হবে সেট হওয়ার সুযোগ।
ফাউন্ডেশনে ভুল
মেকআপের ভিত্তি তৈরি করে ফাউন্ডেশনই। তাই এটা বাছাইয়ে চাই সতর্কতা। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই মেকআপ দ্রুত ঘেঁটে যায়। ওয়াটার বেসড অথবা অয়েল ফ্রি ফর্মুলার ফাউন্ডেশনগুলো এ ধরনের ত্বকের জন্য সবচেয়ে কার্যকর। এগুলো কাভারেজ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদম ম্যাট ফিনিশ দেয় চেহারায়। ফলে মেকআপ সহজে তার জায়গা থেকে সরে যেতে পারে না। সুন্দর সেট করে রাখে ব্যবহৃত অন্য পণ্যগুলোও।
প্রাইমার পরিহারে
শতভাগ পরীক্ষিত। প্রাইমারবিহীন ত্বকের তুলনায় প্রাইমারযুক্ত ত্বকে মেকআপ দীর্ঘ সময় টিকে থাকে। প্রাইমার মূলত ত্বককে মেকআপের জন্য তৈরি করে দেয়। ক্রিম, জেল আর পাউডার- মেকআপের জন্য তৈরি করে পারফেক্ট ক্যানভাস। দৃশ্যমান লোমকূপগুলো ঢেকে দেয়, কমায় দাগছোপের স্পষ্টতা। অতিরিক্ত তেলে কিংবা শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রাইমারের উপর যেকোনো মেকআপ ব্যবহার করলে তা দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকে ত্বকে। থাকে পিকচার পারফেক্ট।
সেটিং স্প্রে ছাড়া
প্রাইমারের মতো সেটিং স্প্রেও ত্বকে মেকআপের দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়। তবে প্রাইমারের মতো মেকআপ করার আগে নয়, এই স্প্রে ব্যবহার করা হয় মেকআপ শেষ করার পর। যা মেকআপকে তার জায়গায় ধরে রাখে। সঙ্গে এর গলে যাওয়া রোধ করে। ব্র্যান্ড ভেদে এ স্প্রেগুলো ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা অব্দি ত্বকে মেকআপ টিকিয়ে রাখে।
পাউডার প্রত্যাহার
ফাউন্ডেশনের মতো বিউটি প্রডাক্টগুলো ত্বকে সেট করতে পাউডারের চেয়ে কার্যকর আর কিছু নেই। ত্বকে ব্যবহৃত যেকোনো লিকুইড মেকআপ টিকিয়ে রাখতে পাউডারের ব্যবহার বহু পুরোনো। ত্বকে বেজ তৈরির পর এর ব্যবহার মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়ায়। তবে ব্যবহারের সময় খুব বেশি পাউডার মেখে ফেলবেন না ত্বকে। এতে বিপদ ঘটে যেতে পারে।

 জাহেরা শিরীন
মডেল: মেঘলা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top