skip to Main Content

রাশি রসদ I তুলার খানা তল্লাশি

ঢাকার আবহাওয়া তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য খুব বেশি উপযোগী নয়। এ রাশির প্রভাবক উপাদান বাতাস। কিন্তু এ শহরের বায়ু বেশ দূষিত। ফলে তুলা রাশির লোকেদের ফুসফুস খুব একটা সুস্থ থাকার সম্ভাবনা কম। এ জন্য সারা বছর এমন সব খাবার খাওয়া চাই, যা শ্বাসতন্ত্র সুরক্ষিত রাখবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, ডাল, লাল চাল, লাল আটা, ওটস, বার্লি ইত্যাদি।
বায়ুর প্রভাব পড়ে তুলা রাশির মেজাজেও। এ রাশির মানুষের স্নায়ুতন্ত্রও দুর্বল হয়ে থাকে। ফলে এদের মেজাজ খুব বেশি ওঠানামা করে। তাই মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, এ ধরনের খাবার খাওয়াই তাদের জন্য ভালো। খিটখিটে মেজাজের লাগাম টানতে খাওয়া যেতে পারে মধু, পনির, দই, অ্যাভোকাডো, মরিচ, কমলার জুস ইত্যাদি। অন্যদিকে, এ রাশির জাতক-জাতিকাদের শরীরে যেকোনো শাকসবজিই পথ্যরূপে কাজ করে।
তুলা রাশির সৌভাগ্য নির্ভর করে ওটমিল, আঙুর, আপেল, পালংশাক, স্ট্রবেরি, গাজর, মটরশুঁটি, বাদাম, ভুট্টা ইত্যাদি ওপর। বিপরীত দিকে অ্যালকোহল, মিষ্টিজাতীয় খাবার ও নরম পানীয় তাদের দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। এ রাশির জাতকদের মধ্যে যাদের বয়স কম, তাদের বেশির ভাগের শরীরেই মিষ্টিজাতীয় খাবার সয় না। ফলে যেকোনো মিষ্টান্নে চিনি বা গুড় কম ব্যবহার করাই ভালো।
এ রাশির লোকেদের সবচেয়ে বেশি আসক্তি স্ন্যাকস জাতীয় খাবারে। সময়ে-অসময়ে তারা এ ধরনের খাবার নিয়ে বসে পড়েন। ফলে স্থূলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্য রাশির তুলনায় তুলাদেরই বেশি। এই আসক্তির কারণেই তারা সঞ্চয়বিমুখ হন। বেশির ভাগ তুলা রাশির মানুষেরই শেষ জীবনে সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। তাই তরুণ বয়স থেকেই খাবারের ইচ্ছা সামলে চলতে পারলে ভবিষ্যৎটা নিরাপদ থাকবে।
যাহোক, এবার আসা যাক চলতি মাসের ফিরিস্তিতে। এ মাসে তুলা রাশির লোকেদের জন্মদিনে ভরপুর খাবারের যোগ রয়েছে। আমিষ-নিরামিষে একাকার হয়ে যাবে তুলা রাশির ভোজনরসিকদের মাসটি। একই সঙ্গে আসতে পারে অসুখ। বিশেষ করে এ মাসের শেষ দিকে যদি শীতের রেশ শুরু হয়ে যায়, তাহলে তুলা রাশির ওপর বিপদ বাড়বে। রাশিগতভাবেই ঠান্ডা আবহাওয়া ও ঠান্ডা খাবার তুলা রাশির প্রকাশ্য শত্রু। তাই এসবের মোকাবিলায় খাদ্যতালিকায় রাখা চাই মসলাদার পদ। আদা খাওয়াটা একটু বাড়াতে হবে। পরিমিত চা পান করলেও মিলবে সুফল। শিশুরা যেন ফ্রিজের পানি পান করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা চাই।
তুলা রাশির মধ্যে যারা ডায়েটে আছেন, এবারের জন্মদিন থেকেই তা ভেস্তে যেতে পারে। যতটুকু ওজন কমেছিল, শরীরে তা আবার ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে। এই মাসে বেশ কিছু দাওয়াত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ব্যবসা কিংবা চাকরিসংক্রান্ত বিষয়ে এ মাসে মন খুব অস্থির থাকার আশঙ্কা রয়েছে। চিত্তচাঞ্চল্য দূর করতে কিছুদিন মায়ের হাতে রান্না খাওয়া যেতে পারে। এটি সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
কলিগরা এ মাসে কিছু খেতে চাইলে কার্পণ্য না করে তা খাওয়ালে ভালোই হবে তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য। রাশিচক্র বলছে, এ মাসে যদি এ রাশির কেউ তার কাছের মানুষদের পেটপুরে খাওয়ায়, তাহলে চলতি মাসেই যেকোনো একটি সুসংবাদ পাবে সে। তবে নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে সাবধান।

i কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top