skip to Main Content

ফিচার I প্রাইমার ইনফিউজড মেকআপ

অল্প সময়ে চমৎকার সমাধান পেতে। থাকতে নির্বিঘ্ন। বাড়ছে চাহিদা

মেকআপ। নিজের সৌন্দর্যকে আরও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। মেকআপ ব্যবহারের থাকে বিভিন্ন কারণ। হতে পারে নিত্যদিনের কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। হতে পারে দাওয়াতের জন্য। এসব কারণে মেকআপ একেক সময়ে একেক রকম হয়ে থাকে। কখনো হালকা, টাচ আপ। কখনো ম্যাট। কখনো গ্লোয়ি গর্জিয়াস। পারিপাট্য আর প্রেজেন্টেবল লুকের জন্যই মেকআপ। তবে উদ্দেশ্য যাই-ই হোক, একদম বেসিক প্রডাক্টগুলো ব্যবহার করেও মেকআপ সমাপ্ত করা যেতে পারে।
শুরুটা সবাই বেস মেকআপ দিয়েই করেন। ভারী হোক কিংবা হালকা—যেকোনো ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার আগে প্রাইমারের সাহায্যে ফেসকে একটু প্রিপেয়ার করে নিলে ফ্ললেস মেকআপের দিকে পদযাত্রা শুরু করা সম্ভব। প্রাইমার ব্যবহারে স্কিনের ওপেন পোরসগুলো লক হয়ে যায়। স্কিনের অতিরিক্ত অয়েল প্রডিউস বন্ধ হয় তাতে। মেকআপে আসে ম্যাট ফিনিশিং ফ্ললেস একটা লুক।
শুধু ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেই নয়, প্রাইমার অ্যাপ্লাই করা উচিত চোখের ওপরে এবং ঠোঁটেও। এতে আইশ্যাডো ও লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার পর বেশ সুন্দর একটি ফিনিশিং উইন্টারে প্রাইমার ব্যবহারে স্কিন থাকে হাইড্রেটেড এবং স্কিনে বেশ গ্লোয়িং হয়। অবশ্য অনেকে এই ইম্পর্টেন্ট প্রডাক্ট মাঝেমধ্যেই তাড়াহুড়ো করে মেকআপ করার সময় মিস করে ফেলেন। তাদের জন্য পারফেক্ট সল্যুশন হচ্ছে প্রাইমার ইনফিউজড মেকআপ। এই একই সল্যুশন তাদের জন্য, যারা ঠিক কতটুকু প্রাইমার অ্যাপ্লাই করা উচিত, এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন না। প্রাইমার ইনফিউজড মেকআপে মেকআপ আইটেমের সঙ্গে একদম সঠিক পরিমাণে প্রাইমার অ্যাড করা থাকে।
ইদানীং বেশ পপুলার হয়ে উঠেছে প্রাইমার বেইজড কিছু মেকআপ। আরও দারুণ ব্যাপার হলো, ভিন্ন ভিন্ন স্কিন টাইপ বা স্কিন শেডের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার জন্য আছে নানা অপশন। স্কিনের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারবেন একদম সঠিক মেকআপটি।
অনেক ধরনের প্রাইমার ইনফিউজড মেকআপ বাজারে এলেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রাইমার ইনফিউজড ফাউন্ডেশন। প্রাইমার ও ফাউন্ডেশন আলাদা ব্যবহার করার চেয়ে একবারেই ত্বকে লেয়ার দেওয়া যাচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বাঁচে। এ ছাড়া ম্যাট ফিনিশিং, গ্লসি ফিনিশিং ও কভারেজের ভিন্নতায় পাওয়া যাচ্ছে প্রাইমার ইনফিউজড ফাউন্ডেশন। ক্রেতা নিজ চাহিদা অনুযায়ী বেছে নিতে পারছেন।
অনেকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কমফোর্ট ফিল করেন না। একদম ন্যাচারাল স্কিন ফিনিশ যাদের পছন্দ, তাদের জন্য আছে প্রাইমার ইনফিউজড টিন্টেড ময়শ্চারাইজার। অনেকটা প্রাইমার ইনফিউজড ফাউন্ডেশনের লাইট ভার্সন। এই একটি প্রডাক্টে আপনি প্রাইমার, ময়শ্চারাইজার এবং একদম হালকা কভারেজের ফাউন্ডেশন পাবেন। রেগুলার ইউজের জন্য এবং কম সময়ে চটজলদি রেডি হতে এটি মাস্ট হ্যাভ প্রডাক্ট।
কনসিলার ব্যবহারের সময় অনেকে বেশ বিপাকে পড়েন। প্রাইমার যেহেতু ক্রিমের মতো ব্যবহার করা হয়, অনেক ক্ষেত্রে চোখের নিচে পুরোটা জায়গাজুড়ে লাগিয়ে মাসাজ করা হয়ে ওঠে না। এতে কনসিলার অ্যাপ্লাইয়ের সময় দেখা যায়, ঠিকমতো কনসিলার বসে না। অনেকটা ভেসে ভেসে থাকে। আর কনসিলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঠিক কতটুকু ব্যবহার করবেন, বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান কেউ কেউ। তা ছাড়া অনেকের চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকে, সে ক্ষেত্রে কনসিলারের পরিমাণ কম হলে চেহারায় টায়ার্ড ভাব চলে আসে। আবার কনসিলার একটু বেশি হয়ে গেলে চোখের নিচে ভেসে থাকার শঙ্কা থাকে। এতশত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে প্রাইমার ইনফিল্ড কনসিলারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এতে কনসিলার ও প্রাইমারের একদম পারফেক্ট একটি কম্বিনেশন থাকে। শুধু নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই খুব অল্প সময় ব্যয়ে মেকআপের অন্যতম কঠিন কাজটি করে নিতে পারেন সহজে, একদম পারফেক্ট একটি ফিনিশিংয়ের সঙ্গে।
এবারে ব্লাশ বয়ান। বাজারে নানা ধরনের ব্লাশ পাওয়া যায়—লিকুইড, টিন্টেড ও পাউডার। কিন্তু অনেক সময় ব্লাশ ভালোভাবে স্কিনের সঙ্গে অ্যাবজর্ব না করলে চেহারায় বেশ আন-ন্যাচারাল লুক চলে আসে। সবচেয়ে বিপত্তি দেখা দেয় পাউডার ব্লাশের ক্ষেত্রে। ভালোভাবে ব্লেন্ড না করে স্কিনের ওপর ভেসে থাকে ব্লাশ। তাই ব্যবহার করা যেতে পারে প্রাইমার ইনফিউজড ব্লাশ। প্রাইমারের কারণে স্কিনে সঙ্গে সঙ্গেই বেশ ভালোভাবে অ্যাবজর্ব হয়ে যায়। টিন্টেড, পাউডার—যে ব্লাশই হোক না কেন, প্রাইমার ইনফিউজড থাকার কারণে ন্যাচারাল একটা লুক আসে।
প্রাইমার ইনফিউজড আইশ্যাডোর প্রতিও আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। আইশ্যাডো একটু পাউডারি হওয়ায় ব্লেন্ড করতে ঝক্কিতে পড়তে হয়। কিন্তু প্রাইমার ইনফিউজড আইশ্যাডো বেশ সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়। কাট ক্রিজ কিংবা বিভিন্ন পার্টি মেকআপের সময় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এটি। ফল দেখে নিজেই মুগ্ধ হবেন।
স্কিন টাইপের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের প্রাইমার ইনফিউজড মেকআপ থাকে। স্কিন অয়েলি নাকি ড্রাই, কোন ফর্মুলা বেশি মানানসই—এসবের সঙ্গে মিলিয়ে বাছাই করুন উপযুক্ত প্রাইমার। ত্বকে মেকআপের মসৃণ লেয়ারে ভালো করে নিজেকে সাজিয়ে দেখুন। ব্যস্ত সময়ে কুইক মেকআপ প্রডাক্ট ব্যবহারে সজ্জার সময়টা হোক আরও আনন্দের।

 সাদিয়া আফরিন আইভি
মডেল: ইফা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: কৌশিক ইকবাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top