skip to Main Content

হটস্পট I বায়তুল মোকাররম

বিশেষত ধর্মীয় পোশাক ও অনুষঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সমাহার। ক্রেতার সাধ ও সাধ্যের জয়গানে

বায়তুল মোকাররম সুপার মার্কেটের নাম মনে পড়লেই অজান্তে যেন নাকে ভেসে আসে আতরের সুবাস। পণ্যের সমাহার শুরু গেট থেকেই। লাইন করে দোকানিরা সাজিয়েছেন পসরা। শুধু আতরই নয়, পাঞ্জাবি, টুপি, জায়নামাজ, তসবিহ, সুরমা, বোরকা, ইহরামের কাপড়ের সমাহার।

ডিপ পিস বডিতে সেলফ টেকশ্চার। হাতা ও নেকলাইনে বর্ডার
মূল্য: ৬০০ টাকা

ঘুরে দেখা গেল, ক্রেতার ভিড় বেশ ব্যস্ত রেখেছে দোকানিদের। রোজার এই সময়ে পাঞ্জাবি, পাজামা, টুপির চাহিদা বেশি থাকে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। জায়নামাজ, আতরের জন্যও আসেন অনেকে। দেশি-বিদেশি সুগন্ধি আতর এখানে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। পাঞ্জাবির পসরার কলেবর বেশ। আছে রকমফের। তা সে ডিজাইনের ক্ষেত্রে বলি কিংবা ফ্যাব্রিকের মানের প্রশ্নে। দামেও আছে ভিন্নতা। ২৫০ থেকে হাজার—সব দামেই পাঞ্জাবি মিলছে এখানে। রং আর বৈচিত্র্য নজরকাড়া। চিরায়ত এক রং সাদা আছে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। পাশাপাশি লাইট থেকে ডার্ক টোনের সমাহারও নজর কাড়ে। হাতে তোলা সুতার নকশার মোটিফের পাঞ্জাবিতে আগ্রহ একসময় ছিল তুঙ্গে। কালের হাওয়ায় তাতে আরও নানা অলংকরণ মাধ্যম যুক্ত হয়েছে। এই বাজারে দেখা গেল স্ক্রিন প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারির বাহারি নকশা। এক রং জমিনের পাঞ্জাবিতে প্রিন্টের কাপড়ের প্লিট বসানো পাঞ্জাবিও আছে নানান রকম। তুলনামূলক নতুন এই ডিজাইনে ক্রেতা আগ্রহ আছে, সে কথা বোঝাই যাচ্ছে। রঙের ক্ষেত্রে দেখা গেল, বেশির ভাগ দোকানেই আছে সাদা, মেরুন ও কালো পাঞ্জাবি। এর বাইরে বেবি পিংক, গ্রে, মিন্ট, বাটার, রাস্ট, নেভি ব্লু। সলিড কালারের পাশাপাশি প্রিন্টও মাতিয়ে রেখেছে ক্রেতাদের।

স্নিগ্ধ সাদায় জলছাপ। আর সুই-সুতার অলংকরণ
মূল্য: ৫০০ টাকা

ছোট ছোট ছাপার বেশ কিছু পাঞ্জাবি দেখা গেল। বেশির ভাগের জমিন সাদা আর তার ওপরে রঙিন ছাপা। এর বাইরে আরও রং আছে। নকশা, রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বাটন বেছে নিয়েছেন কারিগরেরা। বাটনে তাই ভিন্নতা। প্লাস্টিক আর মেটালের বাটন ব্যবহার করা হয়েছে প্রচুর। মেটালিক কালারের বাটনের ব্যবহার দেখা গেল। সোনালি, রুপালি আর তামাটে রঙের বোতাম ব্যবহৃত হয়েছে অনেক পাঞ্জাবিতে। এবারের পাঞ্জাবির সংগ্রহে সিঙ্গেল লাইন ট্র্যাডিশনাল বাটন প্লেটেই বেশির ভাগ বিক্রেতা আস্থা খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে হয়েছে। আর সেই প্লেটে আর কলারে নকশা পাঞ্জাবিগুলোকে বেশ উৎসবমুখর একটি লুক এনে দিয়েছে। এই অলংকরণে এমব্রয়ডারির ব্যবহার দেখা গেছে। সুতা আর জরি ব্যবহার করে নকশা সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু পাঞ্জাবির এমব্রয়ডারির মোটিফ বেশ জমকালো। গলা, হাতা ছাড়াও অলংকরণের বহর বুকজুড়ে। জ্যামিতিক, ফুল, পাতা, জামদানি মোটিফ ব্যবহৃত হয়েছে বেশি।

নেভি ব্লু পাঞ্জাবিতে অ্যাপ্লিকের কারুকাজ
মূল্য: ২৫০ টাকা

ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবিও আছে এই বাজারে। রং বাহারি এসব পাঞ্জাবি তৈরি হয়েছে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকে। এসবে অলংকরণের আভিজাত্যের চেয়ে বরং সরলতায় মুগ্ধতা আছে। তরুণ তুর্কিদের আগ্রহ এই নতুন ঘরানার পাঞ্জাবিতে। ফ্যাব্রিকে সুতি ব্যবহৃত হয়েছে বেশি। এর পাশাপাশি লিনেনও আছে।
পাঞ্জাবির সঙ্গে এখান থেকে কিনতে পারবেন টুপিও। সরল থেকে ভারী নকশা—সবই পাবেন। ঈদ জামাতের আতরের জন্যও ঘুরে দেখতে পারেন। সংগ্রহ অনেক। জায়নামাজ প্রয়োজন হলে নিতে পারবেন।
বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর ক্রেতার আনাগোনায় সরব বায়তুল মোকাররম মার্কেট। শুধু সাধারণ ক্রেতারাই নন, বছরের পর বছর ধরে এখানে কেনাকাটা করতে আসেন ঢাকার এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি আর খুচরা বিক্রেতারাও।

 ফ্যাশন ডেস্ক
মডেল: রাফি
মেকওভার: পারসোনা মেনজ
ওয়্যারড্রোব: বায়তুল মোকাররম স্ট্রিট
ছবি: কৌশিক ইকবাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top