skip to Main Content

নখদর্পণ I নেইল মাস্ক

পুরোদস্তুর ম্যানিকিউরের সময় যাদের মিলছে না, তাদের জন্য জুতসই। শিট মাস্ক, তবে নখের জন্য

বাড়িতে বসে নখের যত্ন নেওয়ার জন্য জুতসই এসব রেডি মাস্ক। আঙুলের মাথায় যত্ন করে বসিয়ে দিলেই সই। বিশেষ কোনো খাটুনি ছাড়াই যত্নের চাদরে নখ মুড়িয়ে নেওয়ার জন্য। সকাল থেকে রাত, নখের ওপরে নানা ধকল যায়। কাজের চাপে ঘড়ির কাঁটার মতো সর্বক্ষণ ব্যস্ত যেন। ফলে দিনভর বিভিন্ন বস্তুর সংস্পর্শে নখের সারফেস ও স্বাস্থ্য- দুই জায়গাতেই প্রভাব পড়ে। ক্লান্তি প্রকাশ পায় নখের দুর্বলতা, মলিনতা, শুষ্কতায়।
নেইল মাস্ক মূলত একধরনের ডিসপোজেবল গ্লাভস, যা আঙুলের মাথায় ব্যবহারের উপযোগী করে বানানো। এ ছাড়া সেরাম অয়েল, পিল-অফ নেইল মাস্কও মিলবে বাজারে।
এটি তৈরির উদ্দেশ্য নখকে এজিং, অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহারে সৃষ্ট সমস্যা, রোদের ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে রক্ষা করা। আর্দ্রতা ধরে রেখে নখকে সজীব রাখা এবং কিউটিকলে ফাটল তৈরি হতে না দেওয়া। নিয়মিত নেইলপলিশ ব্যবহারের পাশাপাশি ঘন ঘন জেল অথবা অ্যাক্রিলিক ম্যানিকিউর করলে নখ হলুদাভ হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানও পাওয়া যেতে পারে নেইল মাস্ক ব্যবহারে।
এটি এক ধরনের শিট মাস্ক যা সাধারণত নখসহ আঙুলের মাথা ঢেকে রাখে। এর ভেতরে নখের উপকারে আসবে এমন ধরনের উপাদান থাকে। গ্লিসারিন এর মধ্যে একটি। বলা যেতে পারে অত্যাবশ্যক। এর কারণ, এটি শুষ্ক কিউটিকলকে সুস্থতা দিতে ভূমিকা রাখে। আবার নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়ক। একেকটি মাস্ক একবারই ব্যবহার উপযোগী।
ঠিক কখন নেইল মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবহারকারীর। নখই বলে দেবে কখন তার বাড়তি যতেœর প্রয়োজন। কয়েকটি সহজ সংকেতে পাওয়া যাবে উত্তর। ক্ষতিগ্রস্ত হলে নখের স্বাস্থ্য যেমন খারাপ হয়, তেমনি হারায় সৌন্দর্য। ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত নখ সংকেত দেয়- তার যত্ন আর বিশ্রাম প্রয়োজন। তখনই নেইল মাস্ক ব্যবহারের উপযুক্ত সময়। আবার নখে পলিশ ব্যবহারের আগে প্রস্তুতিপর্বেও ভূমিকা রাখতে পারে এই প্রসাধন। তাই রঙিন করে তোলার আগে নেইল মাস্ক ব্যবহারে নখকে প্রস্তুত করে নেওয়া যেতে পারে। মাস্ক ব্যবহারে নখ নিজেকে সবল করে তোলার সময় পাবে। রাসায়নিক ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষার পাবে শক্তি। খুব বেশি সময়ও লাগে না কিন্তু। পুরো প্রক্রিয়ায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটই যথেষ্ট।
নখকে চারপাশ থেকে আবৃত করে রাখে নেইল মাস্ক। সারফেসের ওপরেই এর অবস্থান। তাই মাস্ক নির্বাচনে চাই যথেষ্ট সতর্কতা। শুষ্কতা দূর করার ক্ষেত্রে নেইল মাস্ক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এতে ন্যাচারাল অয়েলের উপস্থিতি নখকে উপকৃত করবে। অ্যাভোকাডো, নারকেল অথবা আমন্ড অয়েল যুক্ত হলে সবচেয়ে ভালো। সিনথেটিক বেসড নেইল মাস্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ নেইল এক্সপার্টদের। কারণ, নখ যেহেতু সরাসরি এই মাস্কের সংস্পর্শে থাকে, সেহেতু সহজেই কেমিক্যালের প্রভাব পড়তে পারে নখে। এতে সারফেস ও কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
ডিআইওয়াই করতে চাইলে ঘরেও বানানো যেতে পারে নেইল মাস্ক। এর জন্য প্রয়োজন অল্প কিছু উপকরণ। যেমন মধু আর ডিমের কুসুম। চাইলে এতে সামান্য দুধ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ডিমের গন্ধে অস্বস্তি হলে মেশানো যেতে পারে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল। কুসুমে উপস্থিত প্রোটিন নখে শক্তি বাড়াবে। মধু প্রদাহ কমিয়ে আনবে। নখ মসৃণ হবে। কটন প্যাডে এই মিশ্রণ নিয়ে নখের চারপাশে আবৃত করে নিলেই তৈরি নেইল মাস্ক।
নেইল মাস্কের হাজার গুণ গেয়েছেন খোদ এর ব্যবহারকারীরা। সৌন্দর্যচর্চায় এর যোগ নখের সুস্থতা ও সৌন্দর্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে মনে রাখা দরকার, একবার ব্যবহারেই আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় লাগবে। যত্নে নিয়মিত হতে হবে।
 সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top