skip to Main Content

অ্যাডভার্টোরিয়াল I ছুটিতে দূরে কোথাও

বছরের শেষে কিংবা বড়দিন সামনে রেখে অনেকে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে বেড়ানোর অনেক স্থান থাকার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতেও অনেকে এসব দেশ ভ্রমণের জন্য বেছে নেন। দেশগুলোর বড় বড় শহর নিউইয়র্ক, টরন্টো কিংবা লন্ডনে তাই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের দেখা মেলে।
পড়াশোনা কিংবা অভিবাসনের জন্য কানাডার টরন্টো বাংলাদেশিদের পছন্দের শহর। ভ্রমণপিয়াসি অনেকে লম্বা ছুটি কাটাতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাড়ি জমান টরন্টোতে। বিশেষ করে বড়দিন এবং নতুন বছর উদ্‌যাপন করতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। টরন্টো ঘুরতে এলে প্রথমে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় ডাউন টাউন। সেখানকার নাথান ফিলিপ’স স্কয়ারের জমকালো আয়োজন দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে। বড়দিন সামনে রেখে ডিসেম্বরের শুরু থেকে সাজ সাজ রব পড়ে যায় এই চত্বরে। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখর থাকে এলাকাটি। ডাউন টাউনেই দেখা মিলবে অনেক লেক আর পার্কের। সুন্দর সময় কাটাতে চাইলে এই পার্কগুলো মিস করতে চাইবেন না কেউ। এখানে ঘুরতে ঘুরতে খিদে পেয়ে গেলে রেস্তোরাঁর পাশাপাশি ফুড কার্ট থেকেও কিনতে পারবেন পছন্দের খাবার।
এই শহরে রয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত প্রাসাদসদৃশ বাড়ি কাসা লোমা। ঘুরে আসতে পারেন সেখানেও। গ্রীষ্ম ও হেমন্তে এই প্রাসাদের ভেতরের বাগান অসংখ্য ফুলে ভরে যায়। এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাইলে বিনা মূল্যেই পারবেন। তবে প্রাসাদের ভেতরে প্রবেশে কাটতে হবে টিকিট।
টরন্টো শহরের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে সিএন টাওয়ার। ১৪৭ তলা ভবনটির উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফুট। পাখির চোখে পুরো শহরকে দেখতে চাইলে অবশ্যই এর ওপরের দিকে উঠতে হবে। দ্রুতগামী লিফট মিনিটেই আপনাকে নিয়ে যাবে মেঘের রাজ্য ছাড়িয়ে আরও ওপরে। কাচে ঘেরা ওয়াচ পয়েন্ট থেকে চারপাশের দৃশ্য আপনাকে দেবে এক অপার্থিব জগতের অনুভূতি। এই ভবনে রয়েছে থ্রি সিক্সটি নামের একটি ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ। যেখানে সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে মিলবে চারপাশের দারুণ এক ভিউ। তবে এখানে রাতের খাবারটি সারতে চাইলে অনলাইনে আগেই আসন বুক করতে হবে।
কৃষ্টি আর সংস্কৃতিপ্রেমীদের ঘুরতে যাওয়ার আরেকটি স্থান টরন্টোর রয়েল অন্টারিও মিউজিয়াম। এটি কানাডার সবচেয়ে বড় জাদুঘর। এই ভবনের স্থাপত্যশৈলী যেমন নান্দনিক, তেমনি এর রয়েছে বিশাল সংগ্রহশালা। বিশ্বের প্রায় ৬০ লাখ ঐতিহ্যবাহী ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে এই মিউজিয়ামে।
টরন্টো শহর থেকে মাত্র ১২৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুবিশাল নায়াগ্রা জলপ্রপাত। প্রতিবছর এটি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় তিন কোটি পর্যটকের সমাগম ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নায়াগ্রা ফলস যেন দুটি দেশের সীমানাকে আগলে রেখেছে। নিউইয়র্ক থেকে এই জলপ্রপাত দেখা গেলেও এর আসল সৌন্দর্য মিলবে কানাডা সীমান্তে। জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দূর থেকে উপভোগ করতে না চাইলে জাহাজে করে কাছে চলে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
প্রকৃতি ও আধুনিক নগরের মিশেল আর উৎসবের এই শহরে ঘুরতে যেতে চাইলে এখনই পরিকল্পনা শুরু করুন। ঢাকা থেকে টরন্টোতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের রয়েছে বিলাসবহুল সব ফ্লাইট। এ ছাড়া দীর্ঘ যাত্রাকে আরও সহজ করতে এমিরেটস দিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক ও লন্ডনে আরামদায়ক বিমানযাত্রার অনুভূতি।
 তাশমিন নাহার
তথ্য ও ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top