বাইট
মাইগ্রেন মিল
মাইগ্রেন। মাথাব্যথা বিশেষ। এর তীব্র যন্ত্রণায় অনেকের জীবনই নাকাল। খাবারে মিলবে সমাধান! এমনই দাবি টিকটক সোসাইটির। এ ক্ষেত্রে আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ড’সের একটি নির্দিষ্ট খাবার অর্ডার করার পরামর্শ তাদের। টিকটকাররা সেই খাবারের নাম দিয়েছেন ‘মাইগ্রেন মিল’। কী আছে তাতে? একটি বড় আকারের কোকা-কোলা ড্রিংক আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি টিকটক ভিডিও ক্লিপের ওপর লিখিত বার্তায় এক তরুণী দাবি করেন, ‘৪৮ ঘণ্টা ধরে আমার তীব্র মাথাব্যথা। তাই ম্যাকডোনাল্ড’সের চিপস (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) ও একটি ডায়েট কোক খাওয়ার চেষ্টা করছি; টিকটক বলেছে, এতে মাথাব্যথা সেরে যাবে।’ ক্লিপটির ভিউ ৩ মিলিয়নের বেশি। ওই ভিডিওর কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘জানি এটি স্রেফ লবণ ও ক্যাফেইনের খেলা! তবে যখনই আমার মাইগ্রেন হয়, আমি একটি কোক আর এক প্যাক ফ্রাই খেয়ে নিই; তাতে সেরে যায় ব্যথা।’ আরেকজনের অবশ্য মন্তব্য, ‘মাথাব্যথা কমাতে ডায়েট কোক বেশ কাজে দেয় ঠিকই, কফি তো মাইগ্রেন বাড়ায় বলেই জানি!’ ভেরি ওয়েল হেলথ শীর্ষক অন্তর্জালে মার্কিন চিকিৎসক ডেভিড ওয়াকার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, ‘মাইগ্রেনের শর্ট-টার্ম থেরাপি হিসেবে ক্যাফেইন কার্যকর বলেই জানি আমরা। তাই কোকা-কোলায় থাকা ক্যাফেইন যে এ ক্ষেত্রে কাজে লাগছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’ তবে ম্যাকডোনাল্ড’সের কথিত ‘মাইগ্রেন মিল’ গ্রহণ করলেই মাথাব্যথা সেরে যাবে, তা কিন্তু নয়। একেক মানুষের শরীর যেহেতু একেক রকম, আর প্রত্যেকের মাইগ্রেনও যেহেতু আলাদা, তাই এমনতর খাবারে ভরসা করার আগে যথাযোগ্য পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বেলার চুলে খাদ্যযোগ
বেলা হাদিদ। আমেরিকান সুপারমডেল। ১৩ থেকে ২৪ মে, ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাজির হয়েছিলেন চুলে নতুন রং নিয়ে। ফুডি বিউটি ট্রেন্ডে তা নতুন চর্চার জন্ম দিয়েছে। মডেলের এই স্যান্ডি ব্লন্ড হেয়ার কালারে ভোজ্য অনুষঙ্গের প্রেরণা প্রসঙ্গে জানতে তার হেয়ার কালারিস্ট জ্যাকব শোয়ার্টজের সঙ্গে কথা বলেছে আমেরিকান ফ্যাশন ম্যাগাজিন হারপার’স বাজার। তিনি নিশ্চিত করেছেন, এ ক্ষেত্রে শুরুতেই মাথায় রাখা হয়েছিল মাখনের হলুদ রং। আরও প্রাণিত করেছে পেকান স্যান্ডির (কুকিবিশেষ) বেশ বাদামি ও বালুরঙের মিশ্রণ।
৪০০ বছরের ‘সূর্য’ যখন অস্তগামী
দোকানের নাম ‘টি জোনেতিয়ে’। ডাচ এই শব্দের সরল বাংলা ‘ছোট্ট সূর্য’। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের সিটি সেন্টারে সতেরো শতকে গড়ে ওঠা এই চা ও কফির দোকান পড়ে গেছে বন্ধের মুখে। সিএনএন জানায়, এর বর্তমান মালিক, ৭৬ বছর বয়সী মারি-লুইস ভেল্ডার শিগগির দোকানটির ঝাঁপ নামিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, আমস্টারডামে পর্যটন খরচ বাড়ায় পর্যটকের ভিড় কমে গেছে। ফলে দোকান চালু রাখা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছোট্ট সূর্যের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি দুনিয়ার নানা প্রান্তের বহু প্রজন্মের অগুনতি স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই চালুর ৪০০ বছর পর এর বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর রীতিমতো দুঃসংবাদই বহন করে।
ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ