skip to Main Content

বাইট

আফটারনুন টি

লা মেরিডিয়ান ঢাকার নিয়মিত আয়োজনে যোগ হলো ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রধান এক অনুষঙ্গ ‘আফটারনুন টি’। রাজধানীর চা-প্রেমীদের জন্য। প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। লা মেরিডিয়ান ঢাকার ‘ল্যাটিচ্যুড ২৩’ রেস্টুরেন্টে। আফটারনুন টির এই আয়োজনে চায়ের সঙ্গে থাকছে ব্রিটিশ ঢঙের হালকা খাবার।
‘আফটারনুন টি’ প্রথম শুরু হয় ইংল্যান্ডে। বেডফোর্ডের সপ্তম ডাচেস অ্যানা রাসেল ১৮৪০ সালে এই প্রথা চালু করেন। তার প্রাসাদে রাত্রিকালীন খাবার পরিবেশন করা হতো রাত আটটায়। দুপুরের খাবার আর রাতের খাবারের মাঝে যে সময়ের ব্যবধান, তা সহ্য করা ডাচেসের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যেত। তখন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আফটারনুন টি-এর প্রচলন। এরপর এটা ব্রিটিশ সংস্কৃতির অনুষঙ্গে পরিণত হয়। তবে এখন তা বৈশ্বিক জীবনধারার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লা মেরিডিয়ান ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøক। তিনি বলেন, ‘আমার দেশের প্রিয় একটি সংস্কৃতিকে এখানে জাঁকজমকভাবে উদ্্যাপিত হতে দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছি। লা মেরিডিয়ান ঢাকা নিয়মিতভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন উদ্যাপন করে থাকে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
সুস্বাদু স্যান্ডউইচ, স্কোন এবং পেস্ট্রির পাশাপাশি ১০ ধরনের বিশেষ চা এখানে পরিবেশিত হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ওলং চা, লেমন গ্রাস, সেঞ্চা স্পেশাল গ্রিন টি ও প্রিস্টিন ব্ল্যাক টি। খরচ পড়বে জনপ্রতি ২০০০ টাকা।

মেক্সিপ্যান রেস্টুরেন্ট

দিনবদলের পালায় ভোজনপ্রিয় বাঙালির পাতে এখন শোভা পাচ্ছে পাশ্চাত্যের বাহারি খাবার। মেক্সিকান খাবারও এর বাইরে থাকছে না। মিরপুরের সাগুফতার দারুচিনি ফুড ভিলেজে শুরু হয়েছে এমনই এক আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকান, কন্টিনেন্টাল, ইতালিয়ান পাস্তা এবং বিফ-চিকেন-ফিশ স্টেকসহ প্রায় সত্তর ধরনের খাবার নিয়ে সাজানো হয়েছে মেক্সিপ্যান রেস্টুরেন্টের মেনু।
এর শেফ আশিকুজ্জামান খান বলেন, ‘মেক্সিকান খাবার বাংলাদেশে নতুন হলেও ইতিমধ্যে পেয়েছে জনপ্রিয়তা। দীর্ঘ আট বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখানকার খাবারের মেনু সমৃদ্ধ করেছি। মূলত মেক্সিকান খাবারের সুবাসই প্রমাণ করে খাবারটা কতটা সুস্বাদু হবে। দীর্ঘদিনের রান্নার অভিজ্ঞতা আর পেশাদারিত্ব এখানে প্রাধান্য পেয়েছে।’ করপোরেট পার্টিসহ বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সব ধরনের অর্ডারের ব্যবস্থা রেখেছে মেক্সিপ্যান রেস্টুরেন্ট।

শরতের ভর্তা উৎসব

পছন্দের খাবার সামনে থাকলে যেকোনো সময়কে উৎসবে পরিণত করতে বেশ পটু বাঙালিরা। ফলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হরেক পদের ভর্তা বেশ মর্যাদার সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে।
এটা বিবেচনায় নিয়ে পাতুরি ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজন করে শরতের ভর্তা উৎসব ‘ভর্তা বিলাস’। এতে স্থান পেয়েছে ২৫টির বেশি ভর্তা। যেমন- বাদাম ভর্তা, তিল ভর্তা, নোনা ইলিশ ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা, চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ডিম ভর্তা, কালিজিরা ভর্তা, কাঁঠাল বিচির ভর্তা, লাউপাতার ভর্তা, সরষে ভর্তা, ঝুরা গরুর মাংস ভর্তা, কলিজা ভর্তা ইত্যাদি। আরও ছিল সাদা ভাত অথবা বউখুদি, চাপড়ি, চিতই, মাসালা চিতই, সাজানো ডাল ও স্যালাড। এই ভর্তা বুফে উপভোগে জনপ্রতি খরচ ৫৫০ টাকা।

ঢাকা রিজেন্সির ‘প্রাইম টাইম’ অফার

ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট সব সময়ই তার অতিথিদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘প্রাইম টাইম’ নামে একটি বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে হোটেলটির রুফটপ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট গ্রিল অন দ্য স্কাইলাইন। এটি সাজানো হয়েছিল ভিন্ন স্বাদের মজাদার খাবারের মেনু দিয়ে। এতে ছিল প্রাইম রিবস্ উইথ ম্যাসড পটেটো অ্যান্ড গ্রিলড বেল পেপারস, প্যান-সিয়ার্ড বেবি কোরাল সালসা ট্রপিক্যাল উইথ সতে পটেটো এবং হাফ গ্রিল স্পাইসি চিকেন উইথ সতে ভেজিটেবলস অ্যান্ড ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। আয়োজনটি চলে ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ধানমন্ডিতে ‘ইট স্টেশন’

ভোজনরসিকদের জন্য রাজধানী ঢাকায় যাত্রা করলো নতুন ক্যাফে ‘ইট স্টেশন’। এটি ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে স্টার কাবাবের বিপরীতে। ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইট স্টেশন’ ক্যাফের উদ্বোধন হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেলিব্রিটি শেফ জেড আর্চডেকোন, রন্ধনশিল্পী আল্পনা হাবিব, শাহেদা ইয়াসমিন, শাহনাজ ইসলাম প্রমুখ। ‘ইট স্টেশন’-এর খাবারের তালিকায় থাকছে ৪০ ধরনের খাবার। এগুলোর মধ্যে বিফ গোউলাস, লাইম প্রন, পাস্তা স্যালাড, স্টেক বিস্ট্রো ক্ল্যাসিক, মরোক্কান ল্যাম্ব, রোজম্যারি চিকেন, স্পেশাল কাবাব সবাইকে আকৃষ্ট করবে। এ ছাড়া আইসক্রিম, জুস ও পানীয়র সুব্যবস্থা তো আছেই।
ক্যাফের নামকরণ নিয়ে ইট স্টেশনের স্বত্বাধিকারী শেফ ফারজানা ইমন বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি খুব সাধারণভাবে ক্যাফে ও খাবারের মেনুগুলো সাজাতে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যাফেতে আগত অতিথিরা খাবারের দাম ও পরিবেশের সঙ্গে যেন সহজেই নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর পরিবেশ, কিচেন ও খাবারের মান ভালো হলে অতিথিরা বারবার যেকোনো ক্যাফেতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top