skip to Main Content
যেসব সামগ্রী বেশি পরিষ্কার করবেন না

ঘরের জিনিস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক কে না চায়। তবে কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো বেশি পরিষ্কার করতে গেলে হিতে বিপরীত ঘটে। ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। ঘরের বা ব্যবহার্য যেসব জিনিস বেশি পরিষ্কার করতে হয় না, সেগুলো হচ্ছে কার্পেট, কাঠের আসবাব, জিন্স, ব্রা, গাড়ি, আয়না, ও রান্নাঘরের তোয়ালে। কিন্তু কেন?
কার্পেট: কার্পেট সামান্য নোংরা হলেই অনেকে পরিষ্কার করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। কিন্তু কার্পেট পরিষ্কার করার দ্রব্যগুলো সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে তৈরি। এগুলোর অধিক ব্যবহারে কার্পেটে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে। সেই দাগ আর ওঠানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া কার্পেট পরিষ্কারক দ্রব্যগুলো কার্পেট ক্ষয় করে দিতে পারে। কার্পেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি শক্তিশালী পদার্থ ব্যবহার না করে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন।
কাঠের আসবাব: অতিরিক্ত পরিষ্কারের ফলে কাঠের আসবাবের ক্ষতিই বেশি হয়। অনেকে স্প্রে দিয়ে কাঠের আসবাব পরিষ্কার করে থাকেন। স্প্রে জাতীয় দ্রব্য কাঠের ওপর বেশি প্রয়োগ করলে তা অনেক সময় ময়লা আকৃষ্ট করে। ফলে আসবাব স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নোংরা হয়। কাঠের আসবাব মাসে দুবারের বেশি পরিষ্কার নয়।
জিন্স: জিন্স যত কম ধোয়া যায় ততই ভালো। একটি জিন্স দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর ধোয়ার প্রয়োজন পড়লে নিজে ধোয়ার পর সেটি লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করে নিতে পারেন।
ব্রা: অতিরিক্ত ধোয়া-কাচা করলে ব্রার আকার বদল হয়ে যেতে পারে। একটি ব্রা দুই থেকে তিনবার ব্যবহারের পর একবার ধোয়া উচিত। একটি নেট ব্যাগের ভেতর ব্রা ভরে অন্য কাপড়ের সঙ্গে ব্রা ধোয়া উচিত। এতে করে ব্রা অন্য কাপড়ের সংস্পর্শে আসে না, ফলে ব্রা সুরক্ষিত থাকে।
গাড়ি: অনেক সময় দেখা যায় গাড়ির আস্তরণের ওপর মাকড়সার জালের মতো দাগ পড়ে। গাড়ি পরিষ্কারের উপাদানের অধিক ব্যবহারের ফলে এমনটা হয়ে থাকে। গাড়ি বারবার পরিষ্কার করলে, পরিষ্কারক রাসায়নিকের প্রভাব গাড়ির ওপর পড়ে। তাই প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার গাড়ি পরিষ্কার না করাই ভালো। এ ছাড়া খুব শক্তিশালী রাসায়নিক দিয়ে গাড়ি না ধোয়াই ভালো।
আয়না: আয়নায় দু-একবার আঙুলের ছাপ পড়লেই অনেকে পরিষ্কার করা শুরু করে দেন। অনেকে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ডিটারজেন্ট যোগে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়না পরিষ্কার করলে আয়নাটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে আয়নার পেছনে থাকা পারদের আস্তরণ ক্ষয় হয়ে যায়, ফলে আয়না ধীরে ধীরে নষ্ট হয়। তাই যখন আয়নার ওপর যথেষ্ট পরিমাণ দাগ থাকবে, কেবল তখনই আয়না পরিষ্কার করতে হবে। সামান্য দাগের কারণে নিয়মিত পরিষ্কার করা অনুচিত।
রান্নাঘরের তোয়ালে: রান্নাঘরের তোয়ালে বারবার ব্যবহার করায় বারবার নোংরা হয়। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করলে কেবল ডিটারজেন্ট বা সাবানের খরচই বাড়বে। কেননা পরিষ্কার করে আনার কিছুক্ষণ পরই সেটি আবার নোংরা হবে। তাই বেশি ময়লা হওয়ার পর যখন না ধুলেই নয়, তখন সেটি পরিষ্কার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top