skip to Main Content
অবশেষে আসছে ‘ডিউন: পার্ট টু’

‘ডিউন’-এর কথা মনে আছে তো? ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া মহাকাব্যিক বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর ছবিটি দারুণ সাড়া জাগিয়েছিল। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি ছয়টি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতে নিয়ে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। এরপর থেকে ছবিটির সিক্যুয়েল দেখতে দর্শকদের কৌতূহল তুঙ্গে। সুখবর হলো, এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে। আগামী ১ মার্চ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ডিউন: পার্ট টু’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ফ্রাঙ্ক হার্বার্টের ১৯৬৫ সালের দুই খন্ডের উপন্যাস ‘ডিউন’-এর দ্বিতীয় খন্ডের উপরে নির্মিত হয়েছে এটি। ডেনিস ভিলেনিউভ পরিচালিত এ ছবিতে টিমোথি চালামেট, রেবেকা ফার্গুসন, জোশ ব্রোলিন, স্টেলান স্কারসগার্ড, ডেভ বাউটিস্তা, স্টিফেন ম্যাককিনলে হেন্ডারসন, জেন্ডায়া, শার্লট র‌্যাম্পলিং এবং জাভিয়ের বারডেম আগের ছবির মতোই তাদের নিজ নিজ ভূমিকায় রয়েছেন। অস্টিন বাটলার, ফ্লোরেন্স লুক্স ও ফ্লোরেন্স ওয়েলেক্স দ্য ক্রিস্ট ও ফ্লোরেন্স সেফেরিংকে দ্বিতীয় কিস্তিতে নতুন চরিত্রে দেখা যাবে। ২০১৬ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট ডিউন উপন্যাসের স্বত্ব কিনে নিয়ে উপন্যাসের উপরেই দুই খন্ডের চলচ্চিত্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালে ডিনিস ভিলেনিউভকে দু’টি ছবির জন্য পরিচালক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। প্রথমে শুধুমাত্র একটি সিনেমার জন্য চুক্তি হলেও প্রথম কিস্তির সাফল্যের পর ওয়ার্নার ব্রোস পিকচার্স এবং লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট ২০২১ সালের অক্টোবরে ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তি নির্মাণের কাজ শুরু করে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বুদাপেস্ট, ইতালি এবং আবুধাবিতে সিনেমার প্রধান ফটোগ্রাফি সম্পন্ন হয়।

ভবিষ্যৎ মহাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে ডিউন-এর গল্পে মিথস্ক্রিয়া করেছে রাজনীতি, ধর্ম, বাস্থুসংস্থান, প্রযুক্তি ও মানবিক আবেগ। আর এর সবকিছু ঘুরপাক খেয়েছে আরাকিস নামের গ্রহ ও এর মূল্যবান খনিজ ঘিরে। গল্পের মূল চরিত্র পল অ্যাট্রেইডেস। এমন কিছু ক্ষমতা ও আশীর্বাদ নিয়ে তার জন্ম, যা পলের নিজেরই অজানা। মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রহে পরিবার ও নিজের লোকদের রক্ষা করতে তাকে সংগ্রাম করতে হয়। এ নায়ক মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর তা হলো, ভয়কে জয় করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। মূল্যবান এক পদার্থের একমাত্র উৎস বিপজ্জনক মরুগ্রহ আরাকিসের দায়িত্ব গ্রহণ করে পলের বাবা ডিউক লেটু। এ খনিজ মানব জীবনকে দীর্ঘায়িত করে ও চিন্তাশক্তির স্তরকে প্রসারিত করে। লেটু যদিও জানত যে, এই সুযোগটি তার শত্রু হারকুনেন্সের তৈরি একটি ফাঁদ। তবুও উত্তরাধিকারী ছোট ছেলে ও আরাকিসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ডিউন হিসেবে পরিচিত পল এবং পলের দৈব মা ও লেটুর উপপত্নী লেডি জেকিকাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। লেটু সেই মূল্যবান পদার্থের খনির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন, যাতে দৈত্য স্যান্ডওয়ার্মের উপস্থিতিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে বৈরী এ গ্রহের বাসিন্দা ফ্রেমেনদের জন্য পল আবির্ভূত হয় মসিহা বা ত্রাণকর্তা রূপে। এবারের ছবিতে পল অ্যাট্রেইডেসকে তার যাত্রা চালিয়ে যেতে দেখা যাবে। চানি এবং ফ্রেমেনের সাথে একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের উপর প্রতিশোধ নিতে চান, যারা তার পরিবারকে ধ্বংস করেছিল। সেই সাথে একটি ভয়ানক ভবিষ্যতকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।

  • ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top