skip to Main Content
এলাচির ঔষধিগুণ

বিশেষ কিংবা সাধারণ, সব ধরণের রান্নায় চাই গরমমসলা। মিস্টান্ন থেকে ঝাল তরকারি—কিছুতেই মসলাকে উপেক্ষা করার জো নেই। ফারাক শুধু মসলা ব্যবহারের কমবেশিতে, এই যা। তরকারিতে স্বাদবর্ধক ও সহপদ হিসেবে হাঁড়িতে চড়া এ মসলাগুলো শুধু স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্যই যে ব্যবহার হচ্ছে তেমনটি নয়। এগুলোর রয়েছে কিছু ঔষধি গুণাগুণও।

যেমন ধরা যাক ছোট এলাচি। আঙুলের ফাঁকে এঁটে যাওয়া কলার মোচার আকৃতির এ ক্ষুদ্র অনুষাঙ্গিকের ঔষধি গুণাগুণ খুব একটা ক্ষুদ্র নয়। এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ইথার, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনসহ সিনিতাল, তারপিনল তাপিনিন, লিমোনিন, স্যাবিনিন ইত্যাদি। এসব উপাধান শুধু সুগন্ধই বাড়ায় না, আরোগ্যকারীও। এলাচির হজমশক্তি বৃদ্ধি করা। খাবার খাওয়ার পর বদহজম হলে, লবঙ্গ, আদা, ধনে ও জোয়ানের সঙ্গে এলাচি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। বদহজমজনিত মাথাব্যথায় চায়ের সঙ্গে এলাচি মিশিয়ে পান করলে খুব কম সময়ে মাথা যন্ত্রণা উপশম হয়।

কলাপাতা ও আমলকীর রসের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে এলাচি গুঁড়া মিশিয়া নিয়মিত খেলে কিডনির অসুখ, যেমন নেফ্রাইটিস, প্রস্রাবের জ্বালা, অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া মুখের ভেতরের সংক্রমণজনিত ঘা, ফ্যারিনজাইটিস, গলক্ষত, স্বরভঙ্গ, দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের দূর করতে ছোট এলাচি, দারুচিনি ও লবঙ্গ একসঙ্গে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যায়। যারা গান করেন তাদের ক্ষেত্রে গলার স্বর ভালো রাখার রাখার জন্য এটি একটি মহৌষধ। এ ছাড়া বারবার হেঁচকি উঠলে এলাচি ও পুদিনাপাতা একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে সেই পানীয় পান করলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top