skip to Main Content
করোনাকালে নানা প্রতিকূলতায় নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি উদ্ভূত আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিতে নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে উঠে এসেছে গুগলের নেক্সট বিলিয়ন ইউজার ইনিশিয়েটিভ গবেষণা দলের নতুন প্রতিবেদনে। ‘নিউ ইন্টারনেট ইউজারর্স ইন আ কোভিড-১৯ ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বৈশ্বিক মহামারির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে এবং নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সরকারি জরুরি পরিষেবাগুলো নতুন বাস্তবতায় মানিয়ে নিতে অনলাইনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এ পরিস্থিতিতে যারা আর্থিক সংগতির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না, তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের স্বল্প ধারণা এবং ইন্টারনেট কিংবা ডিভাইস ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সুযোগ না থাকার মতো বিদ্যমান সমস্যাগুলো আরও তীব্র ও বিস্তৃত রূপ ধারণ করেছে। যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বল্প সুযোগ রয়েছে এ বিষয়টি তাদের সামনে এগিয়ে যেতে ও পরবর্তীতে অনলাইনে প্রবেশের ক্ষেত্রেকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

প্রতিবেদনটিতে নতুন ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আটটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সামনে এগিয়ে যেতে ডাটার জরুরি ব্যবহারের বিষয়টি রয়েছে। খাদ্য সরবরাহ, শিক্ষা এমনকি চাকরির বাজারও ডিজিটালে রূপান্তরিত হচ্ছে। অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দীর্ঘসময় ধরে অনলাইনে থাকার বিষয়টিও এখন প্রয়োজনীয় হয়ে যাচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বড় একটি অংশ ডাটা খরচের খাতে পড়বে।

গুগলের পেমেন্টস ও নেক্সট বিলিয়ন ইউজার ইনিশিয়েটিভের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিজার সেনগুপ্ত বলেন, ‘কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে সবাই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন; বিশেষ করে এর প্রভাবে নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে এ পরিস্থিতিতে যদি সরকার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করে তাহলে তারা সমন্বিতভাবে সুযোগও তৈরি করতে পারবে। আমাদের জীবনযাত্রায় প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে বর্তমানের লাখো ব্যবহারকারী ও সামনের দিনগুলোতে নতুন লাখো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে উন্নতমানের এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া উচিৎ।’

ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়ার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে এ গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top