skip to Main Content
বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না

আজ বন্ধুতা দিবস। যেকোনো মানবিক সম্পর্কের প্রাথমিক শর্তই হচ্ছে বন্ধুতা। মানুষের যূথবদ্ধতা, গোষ্ঠী, পরিবার, সমাজ- এসব গড়ে ওঠার মূল ভিত্তি বন্ধুতা। মানুষের কমিউনিকেশন বিষয়টাও বন্ধুতার সুত্রেই এগিয়েছে। কেননা ইশারা, উচ্চারণ, শব্দপ্রকাশ ও ভাবের আদান-প্রদান সম্ভব হয়েছে মানুষ মানবিক অস্তিত্বের পারস্পরিক সম্পর্ক থেকেই। বন্ধুতার নানা নাম আছে। একেক পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধুত্বের নাম একেক রকম। মা ও সন্তান, স্বামী-স্ত্রী, পিতামাতা-সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয়তার বাইরের বন্ধুত্ব, প্রতিবেশী, সহপাঠী, সহকর্মী, কমরেড ইত্যাদি। এসব সম্পর্কের ভিত্তিই বন্ধুত্ব। এর বাইরে করপোরেট গোষ্ঠীর বন্ধুত্ব, আন্তঃরাষ্ট্রীয় বন্ধুত্ব, বাণিজ্যিক আমদানি-রফতানির বন্ধুত্ব, রাজনৈতিক নির্বাচনের জোটভিত্তিক বন্ধুত্বের মতো বিচিত্র নানা ধরনের ডিপ্লোমেটিক ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে আমরা পরিচিত। বন্ধুত্ব মানেই নিঃস্বার্থ বন্ধুতা নাকি , নাকি স্বার্থসিদ্ধির পারস্পরিক স্পেস তা অবশ্য স্থান-কাল-পাত্রভেদে বিচার্য। কিন্তু বন্ধুতা যে মানব সমাজের অগ্রগতির প্রাথমিক শর্ত সেটা একবাক্যেই স্বীকার করা যায়। রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, বিপ্লব-বিদ্রোহ, সমাজ গঠন এমনকি ধর্ম, জ্ঞানচর্চা এসব ক্ষেত্রেই নিখাদ, নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অজস্র উদাহরণ রয়েছে। কোনো একটি দিবস দিয়ে বন্ধুতার আবেদন ও তাৎপর্যকে ধরাও যায় না বোধ হয়। তবু উদযাপনের অর্থে এই বন্ধুতা দিবস প্রতিবার ঘুরেফিরে আসে। ‘ক্যানভাস’ পরিবারের বন্ধু এই পত্রিকার পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতারা। বন্ধুতা দিবসে সকলকে ভালোবাসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top