skip to Main Content
রাতে ঘুম ভেঙে যায়?

শরীরের সুস্থতার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ঘুম। সারা দিনের ক্লান্তির পর শরীরকে একটু বিশ্রাম না দিলে পরবর্তী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা দুরূহ হয়ে ওঠে। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে পরবর্তী দিনের ওপর তার প্রভাব পড়ে। এমনকি মেজাজও খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
অনেকের রাতে ঘুমালেও মাঝ রাতে কিংবা হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। এ নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই, কেউ কেউ ডাক্তারের শরণাপন্নও হন। তারা ভাবেন, এটা হয়তো তাদের কোনো রোগ। কিন্তু গবেষণা বলছে, মানব শরীরের থাকা বেশ কয়েকটি এনার্জি মেরিডিয়নের কারণে এটি হয়।
এনার্জি মেরিডিয়ন মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময়ে শক্তির জোগান দেয়। রাতের বেলা যখন এ শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়াটি ঘটে, তখন আকস্মিকভাবেই ঘুম ভেঙে যায়।
চলুন, জেনে নিই এনার্জি মেরিডিয়ন শরীরে কখন সক্রিয় হয়ে ওঠে।
রাত ১১টা: এ সময়ে মানুষের শরীরের গল ব্লাডারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়। যাদের এ সময় ঘুম ভেঙে যায়, ধরে নিতে হবে তারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত।
রাত ১টা থেকে ৩টা: এ সময়ে লিভারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে হয়। যাদের এ সময়ে ঘুম ভাঙে, তাদের আচরণ দেখলে বোঝা যায়, তারা অল্পতেই রেগে যায়। এ সময়ে ঘুম ভাঙলে ঠাণ্ডা পানি পান করুন। রাগ দমন করার অনুশীলন করুন।
রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা: এ সময়ে লাঙসের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময়ে ঘুম যাদের ঘুম ভেঙে যায় তারা দুঃখ অনুভব করতে পারেন। এ সময় সীমার মধ্যে ঘুম ভাঙলে জোরে জোরে শ্বাস নিন। এ ছাড়া ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেকে আশাবাদী করুন।
অবশ্য কোনো কারণ ছাড়াও ঘুম ভাঙতে পারে। কারণবিহীন ঘুম ভাঙাকে বলে ‘স্লিপ ইনারশিয়া’। এ সময় ঘুম ভাঙলেও মানুষের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ সজাগ থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top