skip to Main Content
সামিরার ফিটনেস মন্ত্র

সামিরা সাঈদ। দেশি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখ। ফিটনেসের গুরুত্ব তার কাছে সবার আগে। এটি একটি বেসিক রিকয়ারমেন্ট। নিয়মিত জিমে যান। ওয়ার্কআউট করেন। সপ্তাহে গড়ে চার দিন।

ক্যানভাসকে সামিরা জানালেন, অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, জিম মানেই কার্ডিও বেসড ওয়ার্কআউট। আসলে তা নয়। একেক মানুষের শারীরিক গড়ন, মেটাবলিজম একেক রকম। তাই ওয়ার্কআউটও একেক রকম হওয়া চাই, যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী।

সামিরা মূলত ওয়েট ট্রেনিং করেন। ওয়েট লিফটিংয়ে বিশেষ পারদর্শিতাও রয়েছে তার। ২০২০ সালে পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপের এক ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্টও হয়েছিলেন।

ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন এই মডেল জানালেন, খাদ্য তালিকায় পারতপক্ষে ফ্যাট এড়িয়ে চলেন তিনি। সুগার-লেস ফুড গ্রহণ করেন। আর সব সময় চেষ্টা রাখেন ইতিবাচক থাকার। কেননা, একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও ফিট থাকার নেপথ্যে তার মনোজগতও রাখে বড় ভূমিকা।

ফিটনেস সচেতনদের প্রতি সামিরার পরামর্শ, জিমে যাওয়ার সুযোগ না পেলে বাসায়ই যেন নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন।

সামিরা মূলত ফ্যাশন মডেল। র‌্যাম্পে তার দারুণ বিচরণ। এ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু ২০১০ সালে, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের মাধ্যমে। সেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় টপ-১৩-তে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর টানা দুই বছর ক্যাটওয়াক করেছেন বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে; বিভিন্ন ফটোশুটে দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে।

২০১২ সালে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার কারণে একটি দীর্ঘ বিরতি টানেন তিনি। ফ্যাশন দুনিয়ায় আবারও সক্রিয়ভাবে ফিরে আসেন ২০১৮ সালে। এ পর্যন্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক কোরিওগ্রাফারের সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। বাংলাদেশি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির একজন খুবই চেনা ও নিয়মিত মুখে পরিণত হয়েছেন এই মডেল। স্বপ্ন দেখছেন আন্তর্জাতিক পরিম-লে কাজ করার।

সামিরা সাঈদ। ছবি: সামিরার সৌজন্যে। কোলাজ: ক্যানভাস

র‌্যাম্প ও স্টিল ফটোগ্রাফির পাশাপাশি টিভিসি ও ওভিসিতেও কাজ করেছেন মডেল হিসেবে; মূলত ফিটনেস রিলেটেডই। অভিনয়েরও ইচ্ছে রাখেন। রয়েছেন যথাযোগ্য প্রস্তাবের অপেক্ষায়।

  • রুদ্র/ ক্যানভাস রিপোর্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top