skip to Main Content
সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকোলজি

আজকাল আমরা ডিক্লাটার শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। যে পোশাক গায়ে জড়ানো হবে না বলে মনে হয়, তা আর জমিয়ে রাখছেন না অনেকেই। এই চাহিদা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু গ্রুপ। সেখানে বাজারের দামের চেয়ে কম বিনিময় মূল্যে একজনের পণ্য চলে যাচ্ছে অন্যের কাছে।

আগেও আমাদের দেশে সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের আলাদা বাজার ছিল। সেখান থেকে অনেকে কিনলেও সেভাবে প্রকাশ্য হয়েছে কম। আর বর্তমানে প্রি-লাভড প্রোডাক্ট রিসেলিং জনপ্রিয় হয়েছে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে জানা যায় বিদেশি গবেষণার তথ্যের মাধ্যমে।

ফ্যাশন ট্রেন্ড চালিত হওয়ার কারণে নিয়মিত নতুন পোশাকের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়। নতুন পোশাকের চেয়ে একবার-দুইবার পরা হয়েছে এমন পোশাকের দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। তাই শপিং আইটেম বাড়িয়ে নেওয়ার থাকে সুযোগ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে পোশাক ডিক্লাটারের উদ্দেশ্যে যারা কাজ করেন তাদের উপস্থাপনা ক্রেতাকে ব্যবহৃত পোশাক কিনতে আগ্রহী করে। ফিজিক্যাল সেকেন্ড হ্যান্ড স্টোর এবং পুরনো কাপড়ের বাজারের মূল্যের চেয়ে ব্যক্তিগত গল্প শেয়ারের সঙ্গে পণ্য বিক্রির সন্ধি ইতিবাচক হিসেবে দেখেন।

পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। করোনাকালে ধরণীর রাগ ক্ষোভ অনুভূত হয়েছে প্রবলভাবে। প্রকৃতিকে যত্নের গুরুত্ব বেড়েছে।

ছবি: সংগ্রহ

ফাস্ট ফ্যাশনের পরিবেশ দূষণের ফলাফলও এখন সবার সামনে। বাড়ছে উষ্ণতা, নিচে নামছে মিঠা পানির স্তর। পোশাকের প্রতি যত্নশীলতা কমিয়ে আনতে পারে এই আগ্রাসন। তাই প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে ওয়্যারড্রব গোছাতে চেষ্টা করছেন অনেকে।

  • সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top