skip to Main Content
১২তম কমিউনিকেশন সামিট

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, কমিউনিকেশন সামিটের ১২তম অধিবেশন। কানস লায়নস ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটির সহযোগিতায় এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পৃক্ততায় সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী এই আয়োজন।

দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনস শিল্পে কর্মরত পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে এইবারের সামিটে আলোচিত হয়েছে বার্তা যোগাযোগ শিল্পে চলমান ট্রেন্ড, কৌশল, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান সংক্রান্ত বিষয়াবলি।

‘ক্রিয়েটিভিটি ইন দ্য এজ ও ডিসরাপশন,’ এই প্রতিপাদ্যকে মুখ্য করে এই বছরের সামিটে আধুনিক ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনসের বিভিন্ন জটিল ধারণা ও কৌশলকে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য একটি রুপরেখা প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়েছে।

৩টি কিনোট সেশন, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন, ৩টি ইনসাইট সেশন ও ১টি কেস স্টাডি নিয়ে সাজানো সামিটে বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে নিউ মিডিয়া এজ, ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উপযোগী ব্যবহার, ট্রেন্ড, প্রযুক্তি এবং দর্শক সংযোগের মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয়াবলি। কিনোট এবং ইনসাইট সেশনগুলোতে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন নিজ নিজ জ্ঞান, পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা।

অন্যদিকে, প্যানেল আলোচনাগুলোতে বিশেষজ্ঞদের পারস্পরিক আলোচনা ও মতবিনিময়ে উঠে এসেছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিনব সব প্রচেষ্টা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আয়োজনের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্রিয়েটিভ অগ্রগতির সোনালী সময়ে অবস্থান করছি। বিগত এক বছরে আমরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার চূড়ান্ত সম্ভাবনাকেও প্রত্যক্ষ করেছি। তাই আসন্ন ভবিষ্যতে আমাদের যাবতীয় বার্তা যোগাযোগকে হতে হবে আরো অধিক উদ্ভাবনী সমৃদ্ধ। একইসাথে, সামাজিক নানাবিধ সমস্যাকে আমাদের প্রচারণার মাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও আরো কৌশলী ও সক্ষম হতে হবে।’

কমিউনিকেশন সামিট ২০২৩-এ কি-নোট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্থ সিনহা, প্রেসিডেন্ট, টাইমস অফ ইন্ডিয়া গ্রুপ; প্রেসিডেন্ট, দ্য এডভারটাইজিং ক্লাব, ইন্ডিয়া; প্রেসিডেন্ট, রেসপন্স, বেনেট কোলম্যান অ্যান্ড কোং লিমিটেড; এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার, ইন্টারন্যাশনাল এডভারটাইজিং এসোসিয়েশন, আইএএ; কাইনাজ কর্মকার, চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার, ওগিলভি ইন্ডিয়া; এবং আলী শাহবাজ, চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার, এম এন্ড সি সাচি গ্রুপ সিঙ্গাপুর; ডিরেক্টর, ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই আলোচকেরা বাংলাদেশী পেশাদারদের সাথে তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে স্থানীয় সৃজনশীল শিল্পের জন্য আগামী দিনে আরও আকর্ষক যোগাযোগের বিকাশ এবং প্রদানের জন্য একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও সামিটের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট ব্র্যান্ড এবং কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ কণিষ্কা চক্রবর্তী।

সামিটের প্রথম কিনোট সেশনে আলোচক পার্থ সিনহা কমওয়ার্ডের মতো আয়োজনের গুরুত্বকে তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমতার (এ আই) সার্বজনীন প্রয়োগ, প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের সৃজনশীল প্রচারণার ব্যবধানকে কমিয়ে এনেছে। একইসাথে এই শিল্পে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার অবদানও কোভিড পরবর্তী সময়ে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। করোনা সমকালীন বাধাগুলোকে আমরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা যত বেশি উদ্ভাবনকে বরণ করে নিতে পারবো, সামগ্রিকভাবে আমরা ততোটাই এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো৷”

১২তম কমিউনিকেশন সামিটে বিশিষ্ট এবং স্বনামধন্য স্থানীয় বক্তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেনঃ গালিব বিন মোহাম্মদ, ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং কনসালটেন্ট; সালাহউদ্দিন শাহেদ, সিইও, এফসিবি বিটোপি, তানভীর হোসেন, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, সান কমিউনিকেশনস লি.; দ্রাবির আলম,সিওও এন্ড ডিরেক্টর, এক্স – ইন্টারগ্রেটেড মার্কেটিং এজেন্সি; রিসালাত সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান (দ্য ম্যান অব স্টিল), অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেড, শামীম উজ জামান, হেড অব ব্র্যান্ডস অ্যান্ড মার্কেটিং কমিউনিকেশন, রবি আজিয়াটা লি.; উরফি আহমেদ, ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর, বাংলালিংক, সহ আরো অনেকে। এছাড়াও সামিটের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট ব্র্যান্ড এবং কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ, কণিষ্কা চক্রবর্তী।

  • ফুয়াদ রূহানী খান/ ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top