skip to Main Content
৭৪ বছর বয়সে সুইমস্যুটে ‘কভার গার্ল’ ইলন মাস্কের মা

বর্তমান দুনিয়ার শীর্ষ ধনী, টেসলা মোটরসের সিইও ইলন মাস্কের মা মায়ে মাস্ক আমেরিকান স্পোর্টস ম্যাগাজিন ‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’-এর বার্ষিক সুইমস্যুট সংখ্যার কভার মডেল হয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী এই সুপারমডেলই এই ম্যাগাজিনের সুইমস্যুট সংখ্যার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বয়সী মডেল।

ম্যাগাজিনটির কভার ফটোতে তাকে কলম্বিয়ান ডিজাইনার মেগেল কর্নেলের ডিজাইন করা একটি ওয়ান-পিস স্যুট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’-এর বার্ষিক সুইমস্যুট সংখ্যার শুটে মায়ে মাস্ক

উচ্ছ্বসিত মায়ে বলেন, “আমি ৫০ বছর ধরে মডেলিং করছি। কোনোদিনই আমাকে ‘সুইমস্যুট মডেল’ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। অথচ এবার ‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’ আমাকে এই সুইমস্যুট মডেলদের বিস্তৃত বৈচিত্র্যের এই অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিলো। এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা।’’

পড়ন্ত বয়সে সুইমস্যুটের মডেল হওয়ার খবর তিনি কাউকে আগেভাগে জানতে দেননি। এমনকি গোপন রেখেছিলেন নিজের তিন সন্তানের কাছেও। ‘আমাকে বলা হয়েছিল, যেন কারও কাছে খবরটা ফাঁস করে না দিই। তাই কাউকে জানতে দিইনি। এমনকি ম্যাগাজিনটি প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সন্তানদেরও জানাইনি,’ টুইট বার্তায় জানান মায়ে।

তিনি আরও জানান, কভার শুটের আগে বাছাই করার জন্য তার কাছে ১০০টি সুইমস্যুট পাঠানো হয়েছিল।

শুট প্রসঙ্গে মায়ে বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত সেখানে কোনো আয়না ছিল না; তাই আমাকে কেমন দেখাচ্ছে– বুঝতে পারিনি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে বের হওয়ার পর সবাই যখন প্রশংসা করল, আমার বেশ আনন্দ হলো। সুইমস্যুট পরে আমি যেন কিশোরীর মতো উচ্ছল হয়ে উঠেছিলাম।’

‘আমার ধারণা, সব বয়সী নারীই বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত থাকেন। সুইমস্যুটে মানাবে না– এমন ভয় কাজ করে তাদের মনে। তাই আমি নারীদের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলাম: যেকোনো বয়সেই সুইমস্যুট পড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করা সম্ভব।’

মেট গালায় ছেলে ইলন মাস্কের সঙ্গে মায়ে মাস্ক। ছবি: ম্যাট বেরন/শাটারস্টক

বলে রাখা ভালো, কানাডিয়ান-সাউথ আফ্রিকান-আমেরিকান মডেল ও ডায়েটিশিয়ান মায়ে মাস্ক ৩১ বছর বয়সে একজন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে নিজের সন্তানদের বড় করে তুলতে বেশ কাঠখড় পোহিয়েছেন। ১৯৬০-এর দশকের শেষভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীকালে কানাডায় ডায়েটিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরুর আগে কিছুদিন পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষকতাও করেন তিনি।

তার লেখা ‘অ্যা ওম্যান মেকস অ্যা প্ল্যান’ বইটি ২০১৯ সালে প্রকাশের পর বেশ প্রশংসিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top