skip to Main Content

তনুরাগ I স্নান সংস্কৃতি

বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রচলিত নানা রীতিতে, কখনো ক্লান্তি কাটিয়ে, শরীর মন তরতাজা করতে। আবার কখনো ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে

গ্লোবাল ম্যাপের বিস্ময়কর সব স্নান সংস্কৃতির খোঁজে গোসল ঘিরে বরাবরই বিলাসবহুল আয়োজনের প্রমাণ মেলে যেকোনো প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে। আগেকার দিনে কোনো সভ্যতাতেই সাধারণের জন্য ব্যক্তিগত স্নানঘরের সুবিধা ছিল না। তা বরাদ্দ ছিল শুধু রাজ-রাজড়াদের জন্য। বাকিদের গোসল সারার ব্যবস্থা করা হতো বিশাল একটি গোসলখানায়, শহরের কোনো এক জায়গায়। গোসল সারতে সবার সেখানে যেতে হতো। তবে নারী-পুরুষের জন্য থাকত পৃথক স্নানঘর। কোনো কোনো জায়গায় গোসলের আগে-পরে থাকত বিশেষ পরিচর্যার বন্দোবস্ত।
বলা যায় স্নান সংস্কৃতির শুরুর গল্পটা এমনই। সভ্যতাভেদে, ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং উপাদানের সহজলভ্যতা অনুযায়ী নানা প্রান্তে এই স্নানরীতি আলাদা রূপ নেয় ধীরে ধীরে। ভারতীয় উপমহাদেশে যেমন আয়ুর্বেদিক স্নানের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, তেমনই জাপানে রয়েছে অনসেন, রাশিয়ায় বান্যা, ইন্দোনেশিয়ায় ফ্লাওয়ার বাথ, তুরস্কে হামাম, আইসল্যান্ডে মাড বাথ ইত্যাদি। এ ছাড়া ফ্রান্সে উল্লেখ পাওয়া যায় থ্যালোসোথেরাপির। এই প্রতিটি ধরনের গোসলের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা রয়েছে, যা ত্বক আর চুলের বেশ কিছু সাধারণ সমস্যার সমাধান করতে পারে। দেশি-বিদেশি অনেক স্পাতেই থাকে এসব বিশেষ গোসল সেরে নেওয়ার ব্যবস্থা। তবে স্পাতে যেতে না চাইলেও সমস্যা নেই। বাড়িতে বসে এ ধরনের গোসল সেরে নেওয়া সম্ভব। তাতে নিজের বাথরুমই হয়ে উঠবে এগজটিক স্পা। জানা চাই শুধু সঠিক নিয়ম, আর প্রয়োজন অনুযায়ী গোসলের ধরন বেছে নেওয়া।
বালিনিজ ফ্লাওয়ার বাথ
বালিতে খুব প্রচলিত বিশেষ এই গোসল। ফুলের পাপড়ি, সুগন্ধি তেল, দুধ প্রভৃতিতে সাজানো সুবিশাল বাথটাবে গা এলিয়ে দিয়ে সারার নিয়ম। তবে শুধু শরীরকে আরাম দেওয়ার জন্য এর এত জনপ্রিয়তা নয়। ফ্লাওয়ার বাথের হিলিং ক্ষমতা রয়েছে, যা আরও বিশেষ করে তোলে পুরো অভিজ্ঞতাকে। বিভিন্ন শুকনা বা টাটকা ফুলের পাপড়ি এবং প্রাকৃতিক তেল মেশানো গোসলের পানি শরীরে আর্দ্রতার জোগান দেয়। শরীর, মন তরতাজা করে তোলে। কখনো তাতে মেশানো হয় দুধ, যা ত্বককে পরিশুদ্ধ করে। ফুলের ধরনভেদে আবার কিছু বাড়তি উপকরণও মেলে। গোলাপের পাপড়ি ত্বকে পুষ্টি দেয়, জোগায় জেল্লা। পিওনি ফ্লাওয়ার ত্বকের টোনিং করে কার্যকরভাবে। আবার ক্যামোমাইল কমায় ত্বকের নানা ধরনের ক্ষত। ইনফ্ল্যামেশন আর ইরিটেশনে আরাম দেয়। জবা জমে থাকা মৃতকোষের পরত সরায়, ল্যাভেন্ডার কমায় স্ট্রেস। সুরক্ষা দেয় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে। ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ ক্লিনজিং রিচুয়াল ‘লুলুর’-এ অপরিহার্য এই বিশেষ ফ্লাওয়ার বাথ। সাধারণ চালের গুঁড়া আর নানা ধরনের স্থানীয় মসলার মিশ্রণে পুরো শরীর প্রথমে স্ক্র্যাব করে নিয়ে তারপর এই গোসলের নিয়ম।
 ঘরোয়া বিকল্প: গোসলের পানিতে পছন্দের টাটকা কিংবা শুকনা ফুল এবং সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল ও ন্যাচারাল বাথ সল্ট মিশিয়ে নেওয়া চাই। ফুলের মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, ক্যামোমাইল কিংবা ল্যাভেন্ডার এ ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। বাসায় বাথটাব নেই? তাতে কি! একটা ম্যাশ ব্যাগে শুকনা ক্যামোমাইল আর গোলাপের পাপড়ি ভরে শাওয়ার হেডে জড়িয়ে দিতে হবে। ম্যাশ ব্যাগ থেকে পানি গড়িয়ে পড়বে শরীরে। মিনিট দশেক এই পানির নিচে দাঁড়ালেই শরীর-মন হয়ে উঠবে ফুরফুরে।
আইসল্যান্ডের মাড বাথ
আইসল্যান্ডের জিওথারমাল ফুলগুলো প্রাকৃতিক মিনারেলের খনি। তাই এ পানিতে গোসল সারা মানেই ত্বকের প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ। ফলাফল, রক্তসঞ্চালন বেড়ে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে ত্বক। ‘ব্লু ল্যাগুন’ আইসল্যান্ডের জিওথারমাল পুলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। কারণ এর বিশেষ মাটি, যেখানে শুধু মিনারেল নয়, মিলে নানা ধরনের অ্যালগির উপকারও। এতে ত্বকের মৃতকোষের স্তর সরে যাবে; অতিরিক্ত তেলে ভাব দূর হয়। বাড়ে সেল রিনিউয়ালের হার। সারে ক্ষতিগ্রস্ততা। মাত্র কয়েক ঘণ্টা এ ধরনের পুলে শরীর ডুবিয়ে রাখলেই ফল পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম—দুই ধরনের পুলই রয়েছে আইসল্যান্ডে। তাই বাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে এর উপকার পাওয়া যেতে পারে।
 ঘরোয়া বিকল্প: এ ধরনের গোসলের উপকারিতা পেতে প্রয়োজন শুধু ভালো মানের ক্লে। বেনটোনাইট ক্লে, ডেড সি ক্লে, অ্যাজটেক হিলিং ক্লে—ব্যবহৃত হতে পারে যেকোনোটি। আর মুলতানি মাটি তো থাকছেই। পুরো শরীরে পানিতে গোলা মাটির প্রলেপ শুকিয়ে মেখে নিতে হবে। তারপর ঈষদুষ্ণ পানিতে শরীর ভিজিয়ে হাতে মাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। শুষ্ক থেকে তৈলাক্ত বা যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য দারুণ উপকারী এ গোসল।
রাশিয়ান বান্যা
হাজার বছর আগের রাশিয়ার ইতিহাসেও উল্লেখ পাওয়া যায় এই অভিনব স্নান সংস্কৃতির। বান্যা মূলত একধরনের স্টিম বাথ। রাশিয়ানদের মতে, ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কারে এর তুলনা নেই। তাদের বিশ্বাস, সাধারণ গোসলে শুধু ত্বকের ওপরে জমে থাকা ধুলাবালুই পরিষ্কার হয়; ভেতরে জমে থাকা অশুদ্ধি দূর করতে পারে এই বিশেষ গোসল। যেহেতু স্টিম বাথ, ফলে ত্বকের লোমকূপ খুলে যায়। টক্সিন বের হয়ে আসে ভেতর থেকে। তবে সাধারণ স্টিম বাথের মতো নয় এর প্রক্রিয়া। বান্যায় স্টিমের তাপমাত্রা অন্য স্টিম বাথের চেয়ে খানিকটা বেশি। এই তাপ থেকে চুল বাঁচাতে একধরনের বিশেষ টুপি পরা হয়। এ ছাড়া স্টিম দেওয়ার সময় বার্চ, ওক কিংবা ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা দিয়ে পুরো শরীর ব্রাশ করে নেওয়া হয়। মনে করা হয়, এতে শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়ে; পাশাপাশি গাছের গুণও ত্বকে প্রবেশ করে। স্টিম দেওয়ার পর শরীরকে শীতল করতে ঠান্ডা পানিতে গোসল সারা হয়। অনেক সময় স্টিম নেওয়ার পর বরফের ওপর শুইয়ে দেওয়া হয়। তাতে ব্লাড পোরস ছাড়াও ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস আর অ্যাকনে থাকলে বান্যায় উপকার মিলে।
 ঘরোয়া বিকল্প: প্রথমে ড্রাই ওয়াশিং সারতে হবে। নরম ব্রিসলযুক্ত লম্বা হাতওয়াশা বেদিং ব্রাশ দিয়ে পুরো শরীর সার্কুলার মোশনে ঘষে নেওয়া চাই। তারপর শাওয়ার হেডে বেঁধে নিতে হবে কয়েক আঁটি টাটকা ইউক্যালিপটাস পাতা। এর বদলে নিম কিংবা সুগন্ধি লেবুপাতাও চলনসই। মিনিট দশেক এই পাতার মধ্য দিয়ে উষ্ণ পানি যেন শরীরে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর বাথটাব থাকলে তো কথাই নেই। উষ্ণ পানি নিয়ে তাতে পাতা ডুবিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। সেই পানিতে সারতে হবে গোসল। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে গা ধুয়ে নিতে হবে। গোসলের পর ময়শ্চারাইজার মাস্ট।
জাপানের অনসেন
অষ্টম শতাব্দী। বুড্ডিজমের সদ্য প্রসার ঘটছে জাপানে। তখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গোসলের বিশেষ এ পদ্ধতি। স্থানীয় ভাষায় অনসেনের অর্থ উষ্ণ থার্মাল পুলের পানিতে গোসল করা। জাপানের সক্রিয় আগ্নেয়গিরির তাপে উত্তপ্ত পানি বিশেষ ধরনের টাবে ভরে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় ভাষায় যার নাম রায়োকান। প্রথম দিকে শুধু প্রাকৃতিক অনসেনের চল ছিল। তবে চাহিদা বাড়ায় আজকাল অনেক জাপানি বাড়িতেও চোখে পড়ে গোসলের এ ব্যবস্থা। এতে পানির ন্যূনতম তাপমাত্রা থাকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জায়গাবোধে তাপমাত্রার পারদ উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। প্রায় ১৯ ধরনের মিনারেলের সংমিশ্রণ থাকতে পারে পানিতে। যার মধ্যে সবচেয়ে কমন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সালফার, ত্বকের ক্ষতি নিরাময়কারী আয়রন এবং লিপিড প্রাচীর মজবুতকারী ক্যালসিয়াম। পর্যটকেরা জাপানে গেলে অন্তত একটা দিনের জন্য হলেও শরীরের পিউরিফিকেশন এবং রিল্যাক্সেশনের জন্য অনসেন বাথ নিয়ে থাকেন।
 ঘরোয়া বিকল্প: এ ধরনের গোসলের জন্য মিনারেলযুক্ত বাথ সল্ট সবচেয়ে জরুরি। পানিতে পরিমাণমতো বাথ সল্ট মিশিয়ে নিতে হবে। হাতের কাছে তা না থাকলে এপসম সল্টও চলতে পারে। অনসেনে যে পানি ব্যবহৃত হয়, তার রাসায়নিক গঠনের সঙ্গে এপসম সল্টের অনেকটাই মিল পাওয়া যায়। ফলে ফলও মিলবে কাছাকাছি। ত্বক পিউরিফায়েড হবে, অ্যাকনে সমস্যা কমবে; হয়ে উঠবে নরম ও তারুণ্যোজ্জ্বল। এর সঙ্গে মেশানো যেতে পারে ম্যান্ডারিন কিংবা অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল। বাড়তি ফ্রেশনেসের জন্য।
ফ্রেঞ্চ থ্যালাসোথেরাপি
উনিশ শতকে এর প্রথম প্রচলন ফ্রান্সে। অবশ্য রোমান সাম্রাজ্যেও এই থেরাপির উল্লেখ পাওয়া যায়। এর মূল বিশেষত্ব গোসলে সামুদ্রিক পানি আর সামুদ্রিক নানা উপাদানের ব্যবহার। এ ক্ষেত্রে সমুদ্রের নোনাপানিতে মিশে থাকা বিভিন্ন স্ট্রেস এলিমেন্ট যেমন ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়োডাইড প্রভৃতি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়; ত্বক নরম করতে এবং পেশির ক্লান্তি দূরীকরণে সাহায্য করে। বিশেষ একধরনের স্টিম রুম ব্যবহার করা হয় এ গোসলের ক্ষেত্রে। তাতে সাধারণ পানির পরিবর্তে সমুদ্রের পানি বাষ্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্টিম বাথের আগে আধঘণ্টা ধরে গরম প্রাকৃতিক তেল এবং সি উইডের কমপ্রেস দিয়ে মাসাজ দেওয়া হয়। ত্বকের নির্জীবতা আর শুষ্কতার সমস্যায় দারুণ উপযোগী এটি।
 ঘরোয়া বিকল্প: এ জন্য প্রয়োজন পড়বে সামুদ্রিক কিছু উপাদান। সিউইড, সি সল্ট, অ্যালগির মতো উপাদান একটু খুঁজলেই মিলবে সহজে। ঈষদুষ্ণ পানিতে এগুলো মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেই মিলবে উপকার। ত্বকের কোমলতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় উপকারী এ গোসল। চাইলে গোসলের পানিতে না মিশিয়ে সি সল্ট দিয়ে সারা শরীর স্ক্র্যাব করলে কিংবা মিউইড জেল লাগালেও সুফল দেবে।
তুরস্কের হামাম
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বেদিং রিচুয়াল এটি। তুরস্কের প্রায় সব হোটেল আর পাবলিক বাথে মিলবে হামামের সুবিধা। সাধারণত পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা গোসলখানা থাকে। সেখানে স্টিম বাথের পাশাপাশি ম্যাকুস দিয়েও বডি মাসাজ নেওয়া যায়। কিছু হামামে মিলবে বিশেষ ধরনের বডি মাসাজ ও ফেশিয়াল সুবিধা। স্কিন ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষভাবে কার্যকর হামাম। সাধারণত পুরো শরীর ও চুলে প্রাকৃতিক তেল মেখে নেওয়া হয় প্রথমে। তারপর পেস্তোমেল নামের একধরনের পাতলা তোয়ালে জড়িয়ে নেওয়া হয় স্টিম বাথ। এতে তেল ত্বক ও চুলের গভীরে প্রবেশ করে। বাষ্পের সঙ্গে মেশানো থাকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েল। এরপর ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের সাবান। শুকনা জলপাইয়ের খোসা এবং অন্যান্য ত্বকবান্ধব ভেষজ একসঙ্গে বেটে তৈরি করা হয় এই সাবান, পানির সংস্পর্শে যা ফেনা তৈরি করে। স্টিম বাথ নেওয়ার ফলে লোমকূপগুলো খুলে যায় বলে সাবান ব্যবহারে ত্বকের ভেতর জমে থাকা অশুদ্ধি সহজে বেরিয়ে আসে। বেশ কিছুক্ষণ এই সাবান দিয়ে শরীর মাসাজ করার পর ফেসা নামের বিশেষ ধরনের গ্লাভস দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করে নেওয়া হয়। এরপরের ধাপে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ক্লে মাস্ক। মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ ‘ঘাসুল’ ক্লে ব্যবহার করা হয় এ ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে চুল শ্যাম্পু করে মাখিয়ে নেওয়া হয় নারিশিং কন্ডিশনার। দশ মিনিট পর পুরো শরীর ও চুল ধুয়ে নেওয়া হয়। ট্র্যাডিশনাল হামাসে গোসলের পর সার্ভ করা হয় টার্কিশ চা এবং বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় স্ন্যাকস।
 ঘরোয়া বিকল্প: অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল পুরো শরীরে মাখিয়ে গরম ভাপ নিতে হবে। বাথরুমে স্টিম তৈরি করা সম্ভব না হলে গরম পানিতে গোসল করে নিলেই চলবে। তারপর সাবান দিয়ে শরীর ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে। চুল শ্যাম্পু করে মেখে নিতে হবে কন্ডিশনার। সাবান মেখে কোনো এক্সফোলিয়েটিং গ্লাভস দিয়ে পুরো শরীর ঘষে নেওয়া চাই। তারপর ক্লে মাস্কের পালা। অবশেষে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল করে নিলেই সম্পন্ন এই স্নান বিলাসিতা।
 শিরীন অন্যা
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top