skip to Main Content

টেকট্রেন্ড I নিজের সুবিধায় রোমিং

নতুন অ্যাপগুলো দিচ্ছে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সুযোগ। বিনা খরচে নয়তো নামমাত্র মূল্যে

অনেকে নিয়মিত বিদেশে যাওয়া-আসা করেন। কিন্তু তাদের জন্য প্রতিনিয়ত সিম পাল্টানো কষ্টকর। আবার খুব গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসায় কেউ কেউ নম্বর বন্ধ রাখতে পারেন না। অনেকে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান নানা কাজে; সব দেশে তাদের সিম কেনা সম্ভব নয়। তাদের জন্য এই ডেটা রোমিং সিস্টেম। তবে বেশ ক’টি দেশেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। অনেক দেশেই কিছু সিম ডেটা রোমিংয়ে ব্যবহার করা যায়। অনেক সিমে তা সম্ভব হয় না। তবে বাংলাদেশের সব টেলিকম অপারেটরে এই সুবিধা আছে।
ডেটা রোমিং
সিমের নেটওয়ার্ক দেশের বাইরে থাকলে সেটাই ডেটা রোমিং। ধরা যাক, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ থেকে একটা সিম নিয়ে গেলেন কেউ। কিন্তু বাংলাদেশের সিমের নেটওয়ার্ক নেই ওখানে। যদি রোমিং করেন, তবে নেটওয়ার্কটি থাকবে। ওই নেটওয়ার্কের জন্যই ডেটা রোমিং চালু করতে হবে। যখন তিনি ফোনে ডেটা রোমিং চালু করেন, তখন ওই ডেটা রোমিং দিয়ে যেসব দেশে যাবেন, সেসব দেশের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশি সিমে ব্যবহার করতে পারবেন।
ইন্টারন্যাশনাল রোমিং
ইন্টারন্যাশনাল রোমিং সেবার মাধ্যমে একজন মোবাইল ব্যবহারকারী তার নিজ ভূখন্ডের বাইরে থেকেও তার মোবাইল থেকে কল করতে ও রিসিভ করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, এ সময় তার মোবাইলে আসা এসএমএসও সরাসরি পৌঁছে যাবে ভিজিটিং নেটওয়ার্কে এবং একইভাবে তিনিও চাইলে এসএমএস করতে পারবেন যে কাউকে। বাংলাদেশের সব টেলিকম অপারেটরে রোমিংয়ের সুযোগ আছে। মোটামুটি বিশ্বের ২৩টি দেশের ৩৮টি অপারেটরে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
রোমিং কীভাবে
সিম রোমিংয়ে করপোরেট সংযোগের সঙ্গে (কল অ্যান্ড কন্ট্রোল) আইএসডি সংযোগ থাকতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিময় অনুসারে সিকিউরিটি ডিপোজিট এবং রোমিং বিল প্রদানের কমপক্ষে তিন মাসের বৈধতাসহ আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে, জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে। যেমন পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের প্রদেয় সিকিউরিটি ডিপোজিট থাকতে হবে। করপোরেট গ্রাহকদের কোনো সিকিউরিটি ডিপোজিটের প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া করপোরেট গ্রাহকেরা রোমিং সাবস্ক্রিপশন ফরম ও রোমিং ডিপোজিটের বিল ফরম পূরণের ব্যাপারে এন্টারপ্রাইজ রিলেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুরো প্রক্রিয়াটি খুব সহজ হবে। এগুলো নিয়ে কাস্টমার কেয়ারে আসতে হবে।
এক সিম সব দেশে
লোকে যে দেশে যায় সে দেশে পৌঁছামাত্রই পরিচিতজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়। হাল আমলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তু বিপত্তি সেখানেই। আপনার ব্যবহার করা সিম কার্ডটি তো ওই দেশে সচল হবে না, যদি আপনি আগে থেকে সিম কার্ডটি রোমিং করে না যান কিংবা বিদেশে গিয়ে নতুন সিম কার্ড কিনলেও তা সঙ্গে সঙ্গে সচল হয় না। আর সিম রোমিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখানো, টাকা জমা দেওয়ার ঝামেলা তো রয়েছেই। আবার রোমিং সুবিধা পাওয়ার জন্য দেশে যত টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল, তা যদি বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরার আগেই খরচ হয়ে যায়, তখন আর কোথাও কল করার সুযোগ থাকে না। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে ফোর ডিএল বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠান স্যামি টেলের ‘ইন্টারন্যাশনাল সিম’, এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা।
সিম কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে ২০০টি দেশে। আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন। বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির যেকোনো একটি মোবাইল ফোন সংযোগদাতার সংযোগ চালু হয়ে যাবে। ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কলরেট কাটা হবে। মূলত ওই সিমে ২০০টি দেশের মধ্যে প্রতিটি দেশেরই কোনো না কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। যখন যে নেটওয়ার্ক পাবে, সে নেটওয়ার্কেই সচল হবে। এ ছাড়া যেখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া প্রায়ই অসম্ভব- সেটি হতে পারে গভীর সমুদ্র কিংবা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপগ্রহ সংযোগ থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে সিমটিতে। ১ হাজার ৯৯৯ টাকা খরচ করতে হবে সিম কার্ডটি কিনতে। আর যে দেশেই যান না কেন, নম্বর থাকবে একটিই। তবে বাংলাদেশে সিম কার্ডটি ব্যবহার করে কোথাও কল দেওয়া যাবে না। উন্নত মানের প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই সিম কার্ড তৈরি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এতে নেটওয়ার্ক সংযোগে ভোডাফোন, অরেঞ্জ মোবাইল ও সিংটেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সিম কার্ড আছে। এ সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে www.4dlbangladesh.com ঠিকানায়।
আরও কিছু সাশ্রয়ী সেবা
হোয়াটসঅ্যাপ: ফ্রি এসএমএস
প্রথম যে অ্যাপটি আপনার পয়সা বাঁচাবে সেটা হোয়াটসঅ্যাপ। এটা বিনা পয়সায় এসএমএস করার সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে মোবাইলের সব নম্বরে একই সঙ্গে এসএমএস পাঠানো যায়। সারা বিশ্বে ২০০ মিলিয়ন লোক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েবসাইট থেকে মাত্র .৯৯ ডলারের বিনিময়ে ডাউনলোড করতে হয়।
ইলো : কম খরচে কল
রোমিং, ইন্টারন্যাশনাল কল, দূরবর্তী স্থানে কল, রিচার্জ কার্ড- কতশত খরচ। কিন্তু ইলো অ্যাপস আপনার খরচের পরিমাণ কমিয়ে দেবে অনেকাংশে। একে কম খরচের সেরা অ্যাপস বলে বিবেচনা করা হয়। এর মাধ্যমে মোবাইল কোম্পানিগুলোর চেয়ে ৯০ শতাংশ কম খরচে কথা বলা যাবে। এটি দিয়ে যেমন মোবাইলে কল করা যায়, তেমনি ল্যান্ডফোনেও যোগাযোগ সম্ভব।
ওনাভো : কম খরচে ইন্টারনেট
পয়সা বাঁচানোর আরেকটি অ্যাপস। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে খরচ কমবে। অর্থাৎ আগের চেয়ে ৩০-৩৫ শতাংশ ডেটা কম খরচ হবে। বেশির ভাগ মোবাইল অপারেটরই বেশি ডেটা খরচ করাতে চায়। কিন্তু ওনাভো কম ডেটা খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এই অ্যাপস ডাউনলোড করতে ওনাভোর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ফন : ফ্রি মোবাইল ডেটা
অত্যাবশ্যকীয় একটি অ্যাপস। এটার মাধ্যমে মোবাইলে ফ্রি ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। ফন পৃথিবীর ৭ মিলিয়ন ওয়াই-ফাই হটস্পট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। শুধু ফন হটস্পটের অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই ফ্রিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
এই সুবিধা পেতে যা করতে হবে: ফনের একটি রাউটার কিনে ফনের সদস্য হতে হবে। ফন ইতিমধ্যে বিটি, এমটিএস, ওআই, এসএফটি এবং অন্যান্য অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ফলে বড় বড় দেশেও ফনের সুবিধা পাওয়া যায়।
ওয়েফাই : ফ্রি হটস্পট
পঞ্চম এবং শেষ অ্যাপসটি হচ্ছে ওয়েফাই। এটাও এমন একটি অ্যাপস, যা স্মার্টফোনে ফ্রি ডেটা পেতে সাহায্য করবে। এই অ্যাপসের ডেটাবেজে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ওয়াই-ফাই হটস্পট আছে। ওয়েফাইয়ের ওয়েবসাইট থেকে এই অ্যাপস ডাউনলোড করা যাবে। সূত্র : ইন্টারনেট

 নাজমুল হক ইমন
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top