skip to Main Content

ফরহিম I বেডহেড হেয়ার

ঘুম থেকে ওঠার পরের হেয়ার লুক। এখনকার জনপ্রিয় ট্রেন্ড

ছেলেরা স্বভাবত খানিকটা অগোছালো, কিন্তু নিজের লুকের ব্যাপারে তারা বেশ গোছানো। হোক সেটা ইস্ত্রি করা মসৃণ শার্ট কিংবা পরিপাটি চুল। কিন্তু তা আর নয়। কারণ, হালের স্টাইল এখন ‘বেডহেড হেয়ার’। চুলের এই অগোছালো ট্রেন্ড যে এখনকার উদ্ভাবন, তা নয়। এটি প্রথম দেখা যায় নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। তবে সে সময়কার কাট আর বর্তমানের ধরন এক নয়। তখন বেডহেড হেয়ার ছিল সহজ অর্থাৎ চুলে খানিকটা মেসি লুক আনলেই চলতো। কিন্তু আজকাল প্যাটার্ন ভিন্ন। এখন এটা শুধু হেয়ারকাট নয়, বরং একটা আর্ট ফর্ম হিসেবে গণ্য। ট্রেন্ডটি আবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, ডিওরের প্যারিস ফ্যাশন শোতে এই লুক সব মডেলের চুলে লক্ষণীয় হওয়ার পর। ওই অনুষ্ঠানে আসা দর্শকেরাও ঝুঁকে ছিলেন এই স্টাইলের দিকে, যাদের মধ্যে ছিলেন রবার্ট প্যাটিনসন।
সাধারণত সব শেপের চেহারাতেই মানিয়ে যায় এই লুক। বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না এতে। বেডহেড হেয়ারের জন্য চুল ধোয়ার পরে টাওয়েল দিয়ে চেপে পানিটা একটু শুষে নিতে হবে। তারপর কিছুটা সি সল্ট স্প্রে করে দিন। এবার স্বাভাবিকভাবেই শুকিয়ে নিন চুল। তারপর নিজের আঙুল চালিয়ে মনমতো আর চেহারার সঙ্গে মানিয়ে অগোছালো করে নিন। এক্সট্রা লিফট চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ড্রাই শ্যাম্পু। এর জন্য চুলে নির্দিষ্ট কোনো কাট থাকার প্রয়োজন নেই। বেডহেড স্টাইলিংয়ের জন্য সোজা চুল চাই। কখনোই স্যালন থেকে বেশি কাটছাঁট কিংবা বেশি অগোছালো করা যাবে না। চুলের সাইডগুলো একটু বড় রাখতে হবে, যাতে ফেস একটু ফ্ল্যাট দেখায়।
বেডহেডের মানে, মাত্রই ঘুম ছেড়ে বিছানা থেকে উঠলেন। তাই যতটা ন্যাচারাল রাখা যায়, ততই ভালো। অনেক সময় হাজারটা হেয়ার প্রোডাক্ট আর স্টাইল অপশন থাকলে ছেলেরা বুঝে উঠতে পারে না যে কোনটা বেছে নেবে। তাই ক্যাজুয়াল আর কেয়ারলেস একটা লুক ধরে রাখাই শ্রেয়।
এই স্টাইলিংয়ে যতটা সম্ভব কম প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ভালো। কারণ, অতিরিক্ত জেল বা হেয়ার স্প্রে চুলের স্বাভাবিক অগোছালো ভাবকে বিগড়ে দিতে পারে। লিফট করতে আলাদা টেক্সচার চাইলে জায়গায় জায়গায় একটু পাফ করে নিতে পারেন হাতের সাহায্যেই। অথবা মাথা এক পাশ থেকে অন্য পাশে কিছুক্ষণ ঝাঁকালে চুলে পেতে পারেন বাড়তি লিফট। কোনো কিছুতেই ফল না পেলে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বিছানাতেই কিছু সময় গড়াগড়ি করে নেওয়া! ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার ড্রায়ারও।
এই স্টাইল দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে চাইলে যেকোনো ধরনের হেয়ার প্রোডাক্ট চুল কিছুটা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে থাকতেই লাগিয়ে নিতে হবে। গন্ধছাড়া প্রোডাক্ট ব্যবহার করাই ছেলেদের জন্য ভালো, নইলে আফটারশেভের ম্যাসকুলিন গন্ধটার ব্যাঘাত ঘটবে। এই স্টাইলিংয়ে চিরুনির ব্যবহার বেশি করা ঠিক নয়। যা করার হাত দিয়েই করে নিতে হবে। যদি ফেসের গঠন আর চুলের এই স্টাইলিং নিয়ে ধাঁধায় পড়ে যান, তাহলে একজন হেয়ারস্টাইলিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।

 শিরীন অন্যা
মডেল: ইমরান আহমেদ সওদাগর
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top