skip to Main Content

হরাইজন

পোলকা ডট জারা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমুহূর্তেই ভাইরাল হচ্ছে কোনো না কোনো ঘটনা। নানা ধরনের ফ্যাশন পণ্যও ভাইরাল হতে দেখা গেছে। তবে মাত্র ৫০ ডলারের একটি পোশাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগাতে পারে, তা হয়তো আগে ভাবেনি কেউ। জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারা তিন মাস আগে একটি পোলকা ডট সামার গাউন বাজারে আনে। শুরুতে তেমন জনপ্রিয় না হলেও, ব্রিটেনের বাজারে পৌঁছামাত্র সাড়া পড়ে যায় ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে। শুধু এই পোশাকের জন্যই ইনস্টাগ্রামে খোলা হয় একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট। অল্প সময়েই যার ফলোয়ারের সংখ্যা পৌঁছায় ২৫ হাজারে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জারার পোলকা ডট ড্রেসটি ব্রিটেন জয় করেছে।

হ্যাপি নেচার

কেট হাডসন। আমেরিকান অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয় হলেও তিনি নিজেকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে পরিচয় দিতে আনন্দ পান। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম নিজের নামে একটি ফ্যাশন লাইন শুরু করেন। সে সময় পোশাকগুলো সাড়া জাগালেও ধীরে ধীরে এর আবেদন কমে এসেছে ক্রেতাদের মধ্যে। হয়তো এ কারণেই কেট হাডসন আবারও ঘোষণা দিলেন নতুন প্রডাক্ট লাইনের। রেডি টু ওয়্যারের এই লাইনের নামকরণ করা হয়েছে হ্যাপি নেচার। নামকরণের পেছনেও রয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য। হ্যাপি নেচারের সব পণ্য তৈরি হয়েছে রিসাইকেল কাঁচামাল থেকে। এ বিষয়ে কেট বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সবাই এখন পরিবেশ বাঁচাতে সচেষ্ট। ক্রেতারাও পরিবেশবান্ধব পণ্যে ঝুঁকছে। দামে বেশি হলেও তারা এ ধরনের পণ্য ব্যবহার করতে চায়। তাই আমার নতুন কালেকশনটি আমি রিসাইকেলড ম্যাটেরিয়ালে তৈরি করেছি।

ফ্যাশন প্যাক্ট

বিশ্বের ১৫০টি ব্র্যান্ড এবার পরিবেশ বাঁচাতে একসঙ্গে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্র্যান্ডগুলো প্লাস্টিকমুক্ত হবে। অর্থাৎ ব্র্যান্ডগুলো পোশাক তৈরি থেকে শুরু করে ক্রেতার হাতে দেওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার করবে না। ফ্রান্স মিনিস্ট্রি অব ইকোলজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর সাগরে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়, তার ৩৫ শতাংশ তৈরি হয় ফ্যাশন শিল্পে। এবং ওজোন স্তরের ৬ শতাংশ ক্ষতির জন্য দায়ী এই শিল্প। পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতেই ফ্যাশন প্যাক্ট বা ফ্যাশন চুক্তিতে স্বাক্ষর করছে বিখ্যাত সব ফ্যাশন ব্র্যান্ড। যেখানে শ্যানেল, প্রাদা, জর্জিও আরমানি, বারবেরি, রালফ লরেন, ক্যাপ্রি হোল্ডিংস, পিভিএইচ, অ্যাডিডাস, নাইকির মতো ১৫০টি ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আইনগত কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও রয়েছে নৈতিক দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top