skip to Main Content

ফরহিম I ম্যাসকুলিন মেকওভার

হবু বরের মেকআপ। যাতে সম্ভব স্ট্রেস লুকানো, এমনকি খুঁতও আড়াল করে ফেলা। তবে তা হওয়া চাই ত্বকরঙ আর মুখের গড়ন মেনে

বিয়েতে মেয়েদের স্কিন কেয়ার কিংবা মেকআপ নিয়ে মাসখানেক আগে থেকেই যে তোড়জোড় শুরু হয়, ছেলেদের বেলায় তেমনটা দেখা যায় না। কিন্তু বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ক্লান্তি কিংবা উদ্বেগ প্রভাব ফেলে হবু বরের ত্বকে। অন্যদিকে বিয়ের দিন নিখুঁত দেখানো ছেলেদের জন্যও ঠিক ততোটাই জরুরি। তাই এই ওয়েডিং সিজনে মেকআপের কিছু টিপস অবশ্যই মাথায় রাখা জরুরি, যা ত্বককে যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে।
কনসিলারের কেরামতি
কনসিল মানে কখনোই পুরো মুখে কনসিলার ব্যবহার করে মুখ কেকি করে তোলা নয়। কারণ, এর কাজ চেহারার ছোটখাটো খুঁতগুলো ঢেকে দেওয়া। সেটা হতে পারে চেহারায় রাতের পর রাত জেগে থাকার প্রভাব কিংবা অ্যাকনে-ব্রণের সংক্রমণ। সবকিছুই কনসিল করা সম্ভব। ক্লান্তির ছাপ ঢাকতে খুব অল্প পরিমাণে কনসিলার নিয়ে চোখের নিচে লাগানো যেতে পারে। তারপর আলতোভাবে ত্বকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, যতক্ষণ না তা ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়। ব্রণের দাগ, শেভিংয়ের ফলে তৈরি হওয়া ত্বকের লালচে ভাব কিংবা যেকোনো খুঁত লুকিয়ে ফেলতে পারে কনসিলার। এ ক্ষেত্রে প্রফেশনাল ব্র্যান্ডগুলোর এইচডি ফটোজেনিক কনসিলার হতে পারে প্রথম পছন্দ।
সেটিংয়ে ভিত
ছেলেদের মেকআপে সেটিং পাউডারের ব্যবহার একদম প্রাথমিক ধাপ। ত্বকের তৈলাক্ততা কিংবা কপালের চকচকে ভাব কমিয়ে আনতে এর বিকল্প নেই। এটি খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং হালকা একটা প্রলেপ তৈরি করে। সানস্ক্রিন অথবা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করার পর একটা মেকআপ ব্রাশের সাহায্যে পুরো মুখে সেটিং পাউডার বুলিয়ে নেওয়া হয়। এতেই মুখত্বকে তৈরি হয় ম্যাট ফিনিশ। ছেলেদের ক্ষেত্রে ট্রান্সলুসেন্ট প্রেসড সেটিং পাউডার হতে পারে বেশ কার্যকর।
হাইলাইটারে হিট
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এবং চেহারায় একটা আকর্ষণীয় গ্লো আনতে হাইলাইটারই মোক্ষম। এ ছাড়া ত্বককে আর্দ্রতাপূর্ণ দেখানোর জন্যও এটি প্রয়োগ করা হয়। হাইলাইটার ব্যবহারের সময় ত্বকের ওই সব জায়গাকে গুরুত্ব দিতে হবে, যেখানে সরাসরি রোদের আলো এসে পড়ে। চিকবোন, চিন আর কপালের ওপরের অংশে খুব হালকা করে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে হয়। ন্যাচারাল দেখানোর জন্য নাকের অংশটা বাদ দেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে নামীদামি ব্র্যান্ডের হাইলাইটিং অ্যান্ড ইলুমিনেটিং প্রডাক্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
দাড়িদুরস্ত
বেমানান এবং এবড়োথেবড়ো দাড়িও মেকআপে ঠিক করে দেখানো যায়। এই কাজে প্রথমেই প্রয়োজন একটা সুপার পিগমেন্টেড আইশ্যাডো প্যালেট। তারপর দাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ওই প্যালেটের সবচেয়ে গাঢ় আইশ্যাডো দিয়ে ফাঁকা অংশগুলো ভরাট করে নিতে হবে। একবারে অনেক বেশি আইশ্যাডো নেওয়া ঠিক হবে না। ব্রাশে অল্প অল্প করে আইশ্যাডো নিয়ে যেসব জায়গায় দাড়ি কম, সেখানে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এ সময় অবশ্যই নিজের বিয়ার্ড ম্যাপের দিকে খেয়াল রাখা দরকার। পদ্ধতিটি শেভিংয়ের ত্রুটিগুলোও ঢেকে দিতে পারে।
দ্য ব্রাওম্যান্স
এক জরিপে জানা গেছে, প্রথম সাক্ষাতে সাধারণত মেয়েরা ছেলেদের চোখের দিকটা খুব খেয়াল করে দেখে। তা ছাড়া চেহারায় অনেকটাই প্রভাব ফেলে আইব্রাওয়ের গঠন। তাই সবার আগে একটি আইব্রাও ব্রাশ দিয়ে ভ্রু ওপরের দিকে আঁচড়ে নিতে হবে। আজকাল অধিকাংশ আইব্রাও পেনসিলের সঙ্গেই ব্রাশ যুক্ত থাকে। ব্রাশিংয়ের পর ব্রাউন শেডের আইব্রাও পেনসিল খুব আলতোভাবে ধীরে ধীরে বুলিয়ে নিতে হবে আইব্রাওয়ে। বর যদি সল্ট অ্যান্ড পেপার হেয়ারের অধিকারী হয়ে থাকেন, তবে এই ধাপ তার ধূসর চুলকে কনসিল করবে। আবার কোনো কোনো বিউটি এক্সপার্টের মতে, এই আইব্রাও গ্রুমিং চেহারার বুড়িয়ে যাওয়া ভাব ঢাকতে সাহায্য করে। কালোর চেয়ে বাদামি আইব্রাও পেনসিল ছেলেদের জন্য জুতসই। কেননা কালোটা কৃত্রিম দেখায়।
ব্রোঞ্জারে প্রাণবন্ত
ব্রোঞ্জারের ব্যবহার পরিমিত হওয়া প্রয়োজন। এটি ব্যবহার করে বিবর্ণ ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। মেকআপ ব্রাশে খুব অল্প অল্প করে ব্রোঞ্জার নিয়ে চিকবোন, চিন আর ব্রাওবোনে ব্যবহার করতে হবে। ডাউনওয়ার্ড স্ট্রোকে। আর গলার মাঝের অংশে উল্লম্বভাবে নিচের দিকে কয়েকটি স্ট্রোক দিতে হবে। তারপর ব্রোঞ্জার খুব ভালোভাবে ত্বকে মিশিয়ে নিতে হবে। তবেই ত্বক দেখাবে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।

 শিরীন অন্যা
মডেল: নিহাফ
ওয়্যারড্রোব: ওটু
মেকওভার: পারসোনা মেনজ
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top