skip to Main Content

বাইট

শারজাহতে বাঙালি রেস্তোরাঁ

শারজাহের রোলা পার্কের কাছে যাত্রা শুরু করেছে বারকোড রেস্তোরাঁ। অঞ্চলটি বাঙালি-অধ্যুষিত। রেস্টুরেন্টটির অংশীদার চারজন যুবক—মনজুরুল হক, সেলিম পারভেজ, এনামুল হক ও আবু বক্কর। তারা চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
রেস্তোরাঁতে শোভা পাচ্ছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খানসহ আরও কয়েকজন রেস্তোরাঁটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে আছে বাচ্চাদের খেলার স্থান, দেশীয় পরিবেশে শৌচাগার এবং শৈশবের চোর-পুলিশসহ নানান বাঙালি খেলার আবহ। রেস্তোরাঁর ৯৯ ভাগ শ্রমিকই বাংলাদেশি। জানা গেছে, খাবারের দামও অন্যান্য রেস্তোরাঁর তুলনায় কম।

ঝুঁকিতে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন

বাড়ছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ। এ ধারা চলমান থাকলে এই শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ ঝুঁকিতে পড়বে। ফিনল্যান্ডের আলতো ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ওয়ান আর্থে। গবেষকেরা বলেছেন, বর্তমানে শস্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ৯৫ শতাংশ ‘জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল’ অথবা ‘পরিবেশের’ মধ্যে পড়ে। তাপমাত্রা যদি ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়, তাহলে এই অঞ্চলগুলোর অনেক স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাতের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনের উপযোগী এই অঞ্চলগুলো ব্যাপকভাবে সংকুচিত হবে।
এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং আফ্রিকার সুদানো-সাহেলিয়ান অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আলতো ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক খাদ্য ও পানিবিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক মাত্তি কুম্মু বলেছেন, ‘জলবায়ু সংকটে বিশ্বে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়ে আসার আভাস আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের। এই সমস্যা এড়াতে দরকার গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনা। এ ছাড়া ঝুঁকির প্রভাব কমাতে এবং সহনশীলতা ও অভিযোজনের সক্ষমতা বাড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন ও সমাজকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।’
অবশ্য কিছুটা আশার খবরও মিলেছে। গবেষকেরা বলেছেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ যদি কমানো যায় এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যায়, তাহলে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলগুলোর মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ ঝুঁকিতে পড়বে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যত কমানো যাবে, ততই মঙ্গল হবে মানবজাতির জন্য।’

খাদ্যসংকটে ভোগা দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

গত এক বছরে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ নতুন করে খাদ্যাভাবে পড়েছে। করোনা মহামারির কারণে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংকট, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে এসব মানুষের তিন বেলা খাবার জুটছে না। গত বছর এ ধরনের খাদ্যসংকটে ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ। এ বছর তা ১৫ কোটি ৫০ লাখ হয়েছে। বিশ্বে খাদ্যাভাবে পড়া ৫৫ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। সম্প্রতি বৈশ্বিক খাদ্যসংকট প্রতিবেদন ২০২১-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অ্যাগেইনস্ট ফুড ক্রাইসিস’ এক যুগ ধরে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাতে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে কক্সবাজার জেলার কারণে। এ অঞ্চলে খাদ্যসংকটের কারণ, সেখানের ১২ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৭০ শতাংশই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
খাদ্যসংকটে থাকা অন্য শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে সিরিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, হন্ডুরাস, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, ক্যামেরুন।
 ফুড ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top