skip to Main Content

রূপরসদ I উপাদানের পরিমিতি

যেকোনো কিছুর বাড়তি প্রয়োগ ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে। রেটিনল বা চারকোল—যা-ই হোক না কেন! লিখেছেন সারাহ্ দীনা

বিউটি রুটিনে নির্দিষ্ট কিছু উপকরণ নিয়মিতই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নিয়মের বেশি ব্যবহার হলে ত্বকে সেগুলোর মন্দ প্রভাব পড়ে।
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (এএইচএ)
ত্বকের যত্নে সেরাম এখন বেশ পছন্দ রূপসচেতনদের। তা ছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সুরক্ষায় এটি যথেষ্ট কার্যকর। এ রকমই একটি আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। গ্লাইকলিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং ম্যান্ডেলিক অ্যাসিডের উপযুক্ত সংমিশ্রণে তৈরি এই সেরাম।
এটি ত্বকের ডেড স্কিন সেলের লেয়ার পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। ফলে ত্বকে বেশ পজিটিভ ইফেক্ট তৈরি করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। কোমলতাও ফিরিয়ে আনে। এই স্কিন কেয়ার সেরামের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের জন্য বেশ ভালো, কিন্তু তা অতিরিক্ত মাত্রায় হলে স্কিন হয়ে পড়ে দুর্বল। সূর্যের তাপে সহজেই আক্রান্ত হয়।
এএইচএ সেরাম ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে নিতে হবে। ত্বক শুষ্ক হলে সপ্তাহে দুবারই যথেষ্ট। তৈলাক্ত হলে কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার কোনোভাবেই করা যাবে না।
ক্লে
ফেস মাস্কের দিকে মনোযোগ দিয়েছে অনেকেই। তা ব্যবহারে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এখনকার ট্রেন্ড। এই রূপ কেয়ারে ব্যবহৃত হয় ক্লে। সেগুলো বিভিন্ন ধরনের। এগুলোর মধ্যে কেওলিন ক্লে, বেনটোনাইট ক্লে, র‌্যাজল ক্লে-এর সঙ্গে হালের অস্ট্রেলিয়ান পিংক ক্লের নামও বলতে হয়। রূপচর্চার এসব উপকরণ এখন স্থান করে নিচ্ছে বিউটি রুটিনে। সপ্তাহের কয়েকটি দিন এ ধরনের ক্লে মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। তবে এই মাস্ক প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকে কেমন প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি। বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শমতোই ব্যবহার করা দরকার ক্লে মাস্ক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। অতি ব্যবহারে কোনোভাবেই যেন ত্বকের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
রেটিনল
এর ভিটামিন এ ফেসের স্কিন টোনের আন-ইভেননেস এবং কালার শেড হালকা করতে কার্যকর। তাই এখন রেটিনলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। নিয়ম করে এই প্রসাধন ব্যবহারে কালার শেডের লাইটনেস তৈরি হয়। অ্যান্টি এজিংয়েও সাহায্য করে। কিন্তু এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রেটিনল প্রয়োগে হতে হবে ধৈর্যশীল। কোনোভাবেই তাড়াহুড়া করা যাবে না। ব্যবহারও সপ্তাহে তিন থেকে চারবারের বেশি নয়। আর সান প্রটেকশনে হতে হবে আরও বেশি মনোযোগী।
বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (বিএইচএ)
অ্যাকনে নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের। নিদানের তালিকায় আধুনিক একটি নাম যোগ হয়েছে। বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা বিএইচএস। রোজকার ত্বকচর্চায় এটি যোগ করলে অ্যাকনে থেকে সুরক্ষা মিলবে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডে পূর্ণ বিএইচএস স্কিনের সারফেসে তেলের পরিমাণ কমায়। ফলে অযাচিত অ্যাকনের প্রাদুর্ভাব কমে। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হবে। সিবাসাস গ্ল্যান্ড প্রভাবিত হওয়ার কারণে তেল তৈরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফেস সারফেস অয়েলি হয়ে উঠবে। সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টো বাড়বে। বিএইচএ ব্যবহারে প্রফেশনালের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
চারকোল
রূপসজ্জার টেবিলে চারকোলের গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। সাধারণত এটি ব্যবহৃত হয় ফেস মাস্কে। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করা যেতে পারে এই উপকরণ। এর বেশি কোনোভাবেই নয়। ব্যবহারের আগে প্যাকেটের গায়ে নির্দেশনা মানতে হবে অথবা পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞের। টাইমিং দেওয়া থাকলে তা মেনে চলা জরুরি। সেট করা দরকার টাইমার। সরাসরি চারকোল ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে। এরপর ময়শ্চারাইজার মাখিয়ে নিলে ত্বকের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
নিয়মিত বিউটি রুটিন অনুসরণের আগে নিজের ত্বক চেনা জরুরি। সে অনুযায়ী পরিচর্যার ব্যবস্থা নিতে হয়।

মডেল: নিকিতা রুমালী
মেকওভার: পারসোনা
জুয়েলারি: রঙবতী

ওয়্যারড্রোব: স্বপ্নযাত্রা
ছবি: তানভীর খান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top