skip to Main Content

ছুটিরঘণ্টা I আম্মানে ঈদের দিনে

একদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ধারাবাহিক আবাসস্থল, অন্যদিকে জগতের সবচেয়ে নিচু পৃষ্ঠ—ভিনদেশে ভিন পরিবেশে প্রচ্ছন্ন রোমাঞ্চকর ঈদ উদযাপনের গল্প। লিখেছেন ফাতিমা জাহান

চারদিকে আলোকসজ্জা। লাল, নীল, সাদা, হলুদ চাঁদ-তারা আকারের নিয়ন লাইটে সাঁঝবেলা ঝকমক করছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে রাত পোহালেই ঈদ। তার আগের এই সন্ধ্যায় ঈদের আমেজ চারপাশে হাওয়া বুলিয়ে যাচ্ছে। যেন সারা শহরের মানুষ বাইরে চলে এসেছেন। কেনাকাটা চলছে, সঙ্গে আমোদ।
আমাদের দেশের রেওয়াজের সঙ্গে জর্ডানের চাঁদরাতের কোনো পার্থক্য নেই। সবাই আনন্দে ঝলমল করছেন। সবার মুখে হাসি। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জগতের বাড়তি সব আনন্দ এসে যেন ভিড় করেছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ শিশুদের। চকোলেট, খেলনার দোকানে ওদের আবদারের ডালা ভারী হয়ে উঠছে। ওদের উচ্ছলতার সামনে ঈদের চাঁদ যেন পাচ্ছে লজ্জা! এই শিশুরাই তো মাটির বুকে আমাদের চলন্ত ঈদের চাঁদ।
মধ্যপ্রাচ্যের এই শহরের যে এলাকায় আমি উঠেছি, সেটি ওল্ড টাউন বা পুরোনো আম্মান। এ এলাকাকে জাবাল আম্মানও বলা হয়, আশপাশে বেশ কয়েকটি পাহাড় আছে বলে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে ঘরবাড়ি। আমার হোম স্টের বারান্দা থেকে আশপাশের পুরোনো স্থাপনা অনেকখানিই দেখা যায়। ওল্ড টাউনের একটি আবাসিক এলাকার মাঝে এই হোম স্টে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গলি থেকে নামলেই মূল সড়ক। সড়কের এক পাশে সারি সারি দোকান। আরেকটু সামনে মসজিদ ও বাজার। পাড়ার অলিগলির ভাব পুরোপুরি বজায় আছে এই এলাকায়। আজ রাতে অন্যান্য রাতের চেয়ে পথে-ঘাটে আলোকসজ্জা বাড়াবাড়ি রকমের বলে মনে হচ্ছে। মিষ্টি, কেকের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। জর্ডানের মিষ্টি যদি আমাকে কেউ তিন বেলা খেতে দেয়, হাসিমুখে খেয়ে নেব! এত স্বাদের ভিন্নতা আর রকমারি খুশবু যে, এর সামনে অন্য কোনো দেশের মিষ্টি টিকতেই পারবে না। হারিশ, কুনাফেহ, মাহালাবিয়া, লুকাইমাত, বিভিন্ন হালুয়া সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করে যখন দোকানে সাজানো থাকে, তখন পেট ভরা থাকলেও আনমনে বাড়তে থাকে খিদে!
চাঁদরাতে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে বড়রাও যেন শিশু হয়ে গেছেন। রেস্তোরাঁ আর চায়ের দোকানে ভিড়। সেখানে বাজছে আরব্য সংগীত। নারী-পুরুষ সবাই চা আর স্ন্যাকস খাচ্ছেন। আড্ডা দিচ্ছেন। বাজারে প্রবেশের আগে একটা পার্ক আছে এই এলাকায়। পার্কের মুখে খোলা আকাশের নিচে চা আর শিসা পানের দোকান। সেখানে এক জায়গায় বসে মা ও কন্যা মনের আনন্দে শিসা পান করছেন। শিসা হচ্ছে হুঁকো বা গড়গড়া। মধ্যপ্রাচ্য বা জর্ডানে শিসা পানকে খুব স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হয়। আমাদের দেশে যেমন আছে পান খাওয়ার প্রচলন। জর্ডানে অতিথি আপ্যায়ন করার সময়ও শিসার নল ভদ্রতাবশত এগিয়ে দেওয়া হয় নারী-পুরুষনির্বিশেষে।
আজ সকালে স্থানীয় বাজারে ঘোরাঘুরি করেছিলাম ঈদের আগের দিনের কেনাকাটা দেখার জন্য। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল মাংসের দোকানে। মাংসের বাজার এতটুকুও অপরিচ্ছন্ন নয়। সাদা টাইলস বসানো ঝকঝকে শপিং মলের মতো একেকটা দোকান। ফল, বাদাম, মিষ্টি, বেকারির দোকানে ছিল সবচেয়ে বেশি ভিড়। দোকানিরাও আজ দিলখোলা। কিছু কিনছি না দেখেও আমাকে এই ভিড়ের মাঝে তারা ফল, বাদাম, মিষ্টি, চা এগিয়ে দিলেন। যেন বহুদিনের চেনা পুরোনো খরিদ্দার আমি; আমাকে খাতিরদারি না করলে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে! এদের অমায়িক ব্যবহারে বারবার মুগ্ধ হই। একটা খেলনার দোকানে তো প্রায় বিনে পয়সায়ই খেলনা দিয়ে দিচ্ছিল।
কাপড়ের মার্কেট এখানে আমার হোম স্টের কাছেই। বেশির ভাগই মেয়েদের কাপড়। কোথাও গজ কাপড় বা রেডিমেড আরব দেশীয় পোশাক সাজিয়ে রাখা। দোকানে মেনিকিনের গায়ে বেশ মানিয়েছে। সাদা বা কালো লম্বা ম্যাক্সির মতো জামার সঙ্গে মাথায় স্কার্ফ। অবশ্য এখানকার নারীরা সাধারণত এ ধরনের পোশাক পরেন না উৎসব ছাড়া। তারা শার্ট, প্যান্ট অথবা লম্বা স্কার্ট পরেন। মাথায় থাকে স্কার্ফ। অনেকেই বোরকা বা আবায়া পরেন বাইরে গেলে। তবে পর্দা করার ব্যাপারে কড়াকড়ি নেই। যার যে পোশাক ইচ্ছে পরতে পারেন—মাথা ঢেকে বা না ঢেকে। পুরুষেরা মূলত শার্ট-প্যান্ট পরেন। আরব দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে কাউকেই দেখলাম না আম্মানে।
ঈদের দিন সকালবেলায় নাশতার টেবিলে আমার হোস্ট রীতিমতো বিশাল আয়োজন করে ফেলেছেন। এ দেশে নাশতা সাধারণত রুটির সঙ্গে হুমুস বা ডালের পেস্ট দিয়ে সারা হয়। সঙ্গে থাকে স্যালাড। কখনো ফালাফাল কিংবা ভুট্টা অথবা ডালের বড়া। আজ এর সঙ্গে আরও অনেক খাবার যুক্ত হয়েছে। যেমন কিমা রুটি, মিষ্টি, কেক, ফল ইত্যাদি। যেহেতু আমার দুপুরে দাওয়াত আছে স্থানীয় এক পরিবারে, তাই হোস্ট আমাকে সকালেই ঈদের আপ্যায়ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
নাশতা সেরে আমি ঈদের আনন্দ নিতে সামনের রাস্তায় নেমে পড়লাম। রাস্তার অপর পাশে রোমান এম্ফিথিয়েটার। আমাদের দেশের তুলনায় এ দেশে জনসংখ্যা কম হওয়ায় রাস্তায় জনসমাগমও কম। তবে সবার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সবে ঈদের নামাজ শেষ করে ছুটছেন বাড়ি। তারপর সেখান থেকে যাবেন আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের বাড়িতে। সবার পরনে সুন্দর পোশাক।
মসজিদের দিকে এখন আর গেলাম না। সেদিকে ভিড় হবে। আমি রোমান এম্ফিথিয়েটার দেখতে ভেতরে চললাম। যিশুখ্রিস্টের জন্মের আট হাজার বছর আগের সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে আম্মানে। সে হিসাবে রোমান এম্ফিথিয়েটার যথেষ্ট নবীন। প্রথম শতকে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। জর্ডান তখন রোমান শাসনের অধীন। তখন এই শহরের নাম ছিল ফিলাডেলফিয়া। অর্ধচন্দ্রাকার এই এম্ফিথিয়েটারে প্রায় ছয় হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে ধাপে ধাপে সিঁড়িতে বসে যেকোনো অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন। নিচের সামনে, মাঝখানের ভূপৃষ্ঠে স্টেজ। এম্ফিথিয়েটার এমনভাবে নির্মাণ করা হতো, যেন এর যেকোনো প্রান্তে বসে কোনো মাধ্যম ছাড়াই দর্শক অনুষ্ঠানের প্রতিটি শব্দ শুনতে পান। কেননা তখনো বিদু্যুৎ আবিষ্কৃত হয়নি।
রোদ তেতে ওঠার আর গরম বাড়ার আগেই আমি চললাম এম্ফিথিয়েটারের অপর পাশের পাহাড়ের ওপর নির্মিত সিটাডেল বা প্রাসাদ দুর্গ দেখতে। পাড়ার অলিগলির মতো সরু সরু পথ পার হয়ে, সিঁড়ির অনেক ধাপ পেরিয়ে পৌঁছালাম এই অতি প্রাচীন প্রাসাদ দুর্গে।
জর্ডানের জন্মলগ্ন থেকেই এই প্রাসাদ দুর্গ ইতিহাসের হাত ধরে বয়ে চলেছে আজ অবধি। আট হাজার বছর আগের কোনো স্থাপনা এখনো টিকে থাকতে না পারলেও প্রস্তরযুগ, তাম্রযুগ হয়ে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, রোমান, বাইজেনটাইন সভ্যতাকে ছেয়ে উমাইদ যুগে এই প্রাসাদ দুর্গ ইতিহাস করে নিয়েছিল। এরপর স্থানটি অব্যবহৃত পড়ে ছিল অনেক বছর। আরব বেদুইনরা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করেছেন এখানে কিছুকাল। বর্তমানে এই প্রাসাদ দুর্গ পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ধারাবাহিক আবাসস্থল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
অনেক স্থাপনা জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেলেও অল্প কিছু এখনো টিকে আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেম্পল অব হারকিউলিস। রোমান সভ্যতার যুগে দেবতা হারকিউলিসের নিমিত্তে এই মন্দির নির্মিত হয়। এখন মন্দিরের অল্প কয়েকটি স্তম্ভ, দেবতা হারকিউলিসের ভাস্কর্যের হাতের একাংশ ছাড়া আর কিছুই নজরে আসে না। বলে রাখা ভালো, আম্মানের রোমান এম্ফিথিয়েটার এবং টেম্পল অব হারকিউলিস প্রায় একই সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এই বিশাল প্রাসাদ দুর্গের আরেক পাশে রয়েছে বাইজেনটাইন চার্চ। তৃতীয় শতাব্দীতে নির্মিত বিশালাকৃতির এই গির্জারও কয়েকটি স্তম্ভ ছাড়া অবশিষ্ট আর কিছুই অক্ষত নেই। সিটাডেলের একমাত্র অক্ষত স্থাপনা উমায়েদ প্রাসাদ। অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত এ প্রাসাদ দেখতে গম্বুজসহ মসজিদের মতো। উমায়েদ বংশের শাসকদের সাদাসিধা জীবনযাপনের পরিচয় মেলে এখানেই। প্রাসাদের ভেতরেও কোনো চাকচিক্য বা জৌলুশ নেই। সাধারণ পাথরে নির্মিত ভবনের মতো দেখতে।
সিটাডেল পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে যেকোনো পাশ থেকেই আম্মান শহরের সিটিস্কেপ দেখা যায়। এক পাশ থেকে রোমান এম্ফিথিয়েটারও বেশ দেখা যাচ্ছে।
রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি পাহাড় থেকে নেমে হোম স্টেতে চলে এলাম। মরুভূমির দেশের ঈদের দিনের গরম ‘উপভোগ’ করার কোনো ইচ্ছে নেই আমার! খানিক বাদে এদেশীয় বন্ধু নূর এলো আমাকে তার বাড়িতে দাওয়াতে নিয়ে যেতে। ওর সঙ্গে পরিচয় জেদ্দা এয়ারপোর্টে। আমি যাচ্ছিলাম কায়রোতে, আর নূর চীনে। জেদ্দা এয়ারপোর্টে লে ওভার ছিল আমার। ওয়েটিং লাউঞ্জে মোবাইল চার্জিং স্টেশনের কাছাকাছি বসে ছিলাম। কারণ, আমার সেলফোন তখন চার্জ হচ্ছিল। ওয়েটিং লাউঞ্জ গিজগিজ করছিল যাত্রীদের ভিড়ে। মানুষ দেখা আমার চিরকালের অভ্যেস; কিন্তু এত ভিড়ে কিছুই দেখতে ইচ্ছে করছিল না। আমার পাশের ফাঁকা চেয়ারে এসে একটা ছেলে বসল। নিজের ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে আমাকে বলল, ‘তুমি কি এখানে কিছুক্ষণের জন্য আছ? আমার ল্যাপটপটা দেখবে? আমি একটু ঘুরে আসি।’
ভাবলাম, এ কেমন আপদ রে বাবা! চেনা নেই, জানা নেই, আরেকজনের ল্যাপটপ পাহারা দিতে হবে! আমি ‘হ্যাঁ’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি উধাও। ফিরে আসা অবধি স্থির তাকিয়ে ছিলাম ওর ল্যাপটপের দিকে।
ছেলেটি ফিরে এলো আধঘণ্টা বাদে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনের কাছে ল্যাপটপ রেখে চলে গেলে কীভাবে? আমি যদি নিয়ে হাঁটা দিতাম?’ হাসতে হাসতে সে বলল, ‘তোমাকে আর যা-ই হোক, চোর মনে হয়নি।’
এই ছেলেই নূর। বাড়ি জর্ডান। সবে আন্ডারগ্র্যাড শেষ করেছে। কাজ করে আম্মানের একটি নাইটক্লাবে, ডিজে হিসেবে। চীনে যাচ্ছিল বেড়াতে। জেদ্দায় তার লে ওভার, আমার মতোই। নূরের ফ্লাইট অ্যানাউন্সমেন্ট হলো আমার আগে। বিদায় জানানোর সময় বারবার বলল, জর্ডানে এলে যেন ওর সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করি। এবার আম্মানে পৌঁছেই নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। উদ্দেশ্য দুটো। জর্ডানিয়ান জীবনযাপন এবং জর্ডানের নাইটক্লাব দেখা।
নূরের বাড়ির দাওয়াত কবুল করার দিন আজ। বাড়িতে ওর মা-বাবা ছিলেন। তারা খুবই সুদর্শন আর আন্তরিক। মনেই হচ্ছিল না, তারা নূরের অভিভাবক। মনে হচ্ছিল যেন ওর ভাই-বোন! নূরের ছোট ভাই দুটির একজন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, আরেকজন স্কুলে। খুবই রুচিশীল পরিবার। ওদের দোতলা বাড়ি দেখে মনে হলো, কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে এসে পড়েছি। কোথাও খুঁত নেই। দারুণ সাজানো-গোছানো।
নূরের বাবার ব্যবসা আছে। জর্ডানের প্রথম ওয়েডিং প্ল্যানার তিনি। মা অত্যন্ত মায়াবতী নারী। শার্ট, প্যান্ট, হিজাব পরিহিত। প্রায় জড়িয়ে ধরে দুপুরের খাবার খাওয়ালেন। ওই খাবারে সবচেয়ে পরিচিত ডিশ ছিল মানসাফ। আমাদের দেশে যাকে বিরিয়ানি বলে। এর সঙ্গে কয়েক রকমের কাবাব, স্যালাড, কোফতা ইত্যাদি। সবশেষে মিষ্টি। এই রাজভোগ খেয়ে খাবারের টেবিল থেকে যেন উঠতেই পারছিলাম না।
বিকেলের চা খেয়ে আমাকে নূর আর ওর পরিবার নিয়ে গেল ডেড সি দেখাতে। এ শুধু নামেই ডেড সি। আসলে গাঢ় সবুজাভ নীল রঙের মিশেল দেওয়া এক রঙিন পাখি যেন। ধরতে চাইলেই উড়ে যাবে! এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু পৃষ্ঠ। বিদেশি থেকে শুরু করে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সাগরের পানিতে গা ডুবিয়ে বসে আছে। রোদের হল্কা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। ডেড সির রংও বদলাচ্ছে। হাওয়া শীতল হচ্ছে।
আর এভাবেই ভিন দেশের ভিন পরিবেশে ভিন পরিবারের সঙ্গে একটি ঈদের দিনে আমার ঈদ উদযাপন আরও চমৎকার হয়ে উঠল।
ছবি: লেখক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top