skip to Main Content

হরাইজন

নতুন ডেরায় সব্যসাচী

এবার ফ্যাশন ক্যাপিটাল নিউইয়র্কের ওয়েস্ট ভিলেজের ক্রিস্টোফার স্ট্রিটে খুঁটি গেড়েছেন ভারতের প্রথিতযশা ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জি। এবারই প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর খুলল তার ব্র্যান্ড। লঞ্চ হয় গেল মাসের ১৩ তারিখ। যার পুরোটাই আভিজাত্য আর চমকের মোড়কে মোড়ানো। হলওয়ের ফ্লোর থেকে সিলিং ঢেকে দেওয়া হয়েছে ফ্রেমড পেইন্টিংয়ে। কোনোটা পারসিয়ান ডাইনেস্টি থেকে নেওয়া কাজার আর্ট অনুপ্রাণিত, কোনোটা ষোলো শতকের মোগল মিনিয়েচার তো কোনোটা ইন্ডিয়ান পিছওয়াই আর ভিনটেজ ফটোগ্রাফের কালেকশন থেকে নেওয়া। বিশালাকৃতির গ্লাসের শ্যান্ডেলিয়ার ব্যবহৃত হয়েছে পুরো স্টোরের পরিবেশকে মোহময় রূপ দেওয়ার জন্য। এ ছাড়া স্টোর সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্টিক ডাচ পটারি, ইউটাহ্র হ্যান্ড ফায়ারড টাইল, ফ্রেমড মিরর, হ্যান্ডমেইড ব্রাস স্কাল্পচার, ব্লক প্রিন্টেড ল্যাম্পশেড, চামড়ায় মোড়ানো বইসহ আরও নানা ধরনের অ্যান্টিক। নতুন আউটলেটের অন্দরমহলের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পাশাপাশি সব্যসাচী লেখেন, ‘আমি দুই দশক ধরে কারুশিল্প আর ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করে এই ভারতীয় ব্র্যান্ড তৈরি করেছি। এখন সময় এটি বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার।’

এডিবল এলিগেন্স

ট্র্যাডিশনাল কেরেলা কাসাভু শাড়ি তৈরি করেছেন ভারতের কোল্লামের হোম বেকার এনা এলিজাবেথ জর্জ। যা সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। কারণ, পুরো শাড়িটাই খাওয়ার উপযোগী। লাইফ সাইজের অফ হোয়াইট রঙের শাড়িতে চোখে পড়বে গোল্ডেন জরি বর্ডারও। মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের শাড়িটি লাইটওয়েট টেক্সচারের। শাড়িটি তৈরিতে কোনো ফ্যান্সি গ্যাজেট ব্যবহার করেননি শখের এই বেকার; বরং রান্নাঘরের সাধারণ উপকরণ আর গ্যাজেট ব্যবহৃত হয়েছে। নিউরোবায়োলজি এবং ক্যানসারের ওপর পিএইচডি করার পাশাপাশি কেক বেক করা এনার প্যাশন প্রজেক্ট। এডিবল শাড়ির জন্য তিনি ব্যবহার করেন স্টার্চ বেসড ওয়েফার পেপার। এতেই তৈরি হয় শাড়ির বেজ। এ-ফোর সাইজের এমন একশ পেপার দিয়ে তৈরি হয় ৫ দশমিক ৫ মিটারের শাড়ি। ওয়েফার পেপারের ফলে শাড়ির কাঙ্ক্ষিত টেক্সচারও পাওয়া যায়। এর ওপর গোল্ডেন ডাস্ট ছড়িয়ে করা হয় ট্র্যাডিশনাল প্যাটার্নের জরির নকশা। মোট ত্রিশ হাজার রুপি খরচ হয় এটি তৈরিতে।

কিমের লেদার বেল্ট ড্রেস

প্যারিস ফ্যাশন উইকে এবার অংশ নিতে না পারলেও ব্যালেন্সিয়াগার স্প্রিং সামার ২০২৩ শো-কে সাপোর্ট করার অভিনব উপায় বের করেছেন কিম। ব্র্র্যান্ডের অফিশিয়াল অ্যাম্বাসেডর যে তিনি। শো-এর থিম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কর্দমাক্ত ব্যাকড্রপের ওপর পোজ করে ছবি তুলতে দেখা গেছে এই ফ্যাশন আইকনকে। কারণ, ব্যালেন্সিয়াগার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবার ফ্যাশন উইকে স্টেজ সাজিয়েছিলেন ধুলা এবং আলগা মাটি দিয়ে। মূলত আভিজাত্যকে চ্যালেঞ্জ করার উদ্দেশ্যেই বেছে নেওয়া হয় এই থিম। আর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর বেস্টি জনসনকে দিয়ে করানো শুটে কিম পরেছিলেন স্ট্র্যাপলেস, ব্যান্ডেজ ইফেক্টের মিনিড্রেস। যার পুরোটাই চামড়ার বেল্টে তৈরি। লুক কমপ্লিট করার জন্য কিমের পায়ে ছিল শেপলি, ফিউচারিস্টিক মিউল আর চোখে ব্যালেন্সিয়াগার নিউ সিজন উইংগড শিল্ড সানগ্লাস। ফ্রেশ ফেসড, ডিউই মেকআপ লুক তৈরির পুরো কৃতিত্ব কিমের বিউটি ব্র্যান্ডের প্রডাক্টগুলোর। সঙ্গে হালকা স্মোকি আই আর গ্লসি পিঙ্ক লিপে সাজ সম্পূর্ণ। কিম তার প্ল্যাটিনাম ব্লন্ড চুল টেনে পেছনে বেঁধে নিয়েছিলেন। আর বেসিক মিল্ক বাথ ম্যানিকিউর করা ছিল নখে। ফলাফল—পুরো লুকে প্রাধান্য পাচ্ছিল কিমের আউটফিটের ডিটেইল।

 ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top