skip to Main Content

কুন্তলকাহন I টেনড্রিলস ট্রেন্ড

চেহারার ফ্রেমিংয়ে চুল। ট্রেন্ডটি পুরোনো, তবে ফিরে এসেছে নতুনভাবে। এখনকার গ্ল্যামারের সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে স্টাইলটি

সৌন্দর্যের জগতে অতীত নানাভাবে ফিরে আসে— কখনো ভিন্ন আঙ্গিকে, কখনোবা ঠিক যেমন ছিল তেমন করেই। সে হিসেবে আশি আর নব্বইয়ের ধারা সম্ভবত বেশি ফিরে এসেছে। ষাটের দশকের চলচ্চিত্রে স্টাইলটির শুরু হলেও ট্রেন্ড হিসেবে এর প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষা করতে হয় নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত। গোসল শেষে তাওয়েলে উঁচু করে চুল বেঁধে কানের পাশ থেকে সরু দুগাছি বের করে দিতে হয়, লতার মতো। এ থেকেই হেয়ারস্টাইলটির নাম টেনড্রিলস।
সমবয়সী অনেকের মতোই অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন নব্বইয়ের দিকে টিনি টেনড্রিলসের ভক্ত ছিলেন। পনিটেইলে তিনি এই স্টাইল করে নিতেন। সঙ্গে সে সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় মাস্ট-হ্যাভ স্টাইলিং অ্যাকসেসরিজ বাটারফ্লাই ক্লিপ জুড়ে দিতেন চুলে। আমাদের দেশের অভিনেত্রীদের মধ্যেও চুল সাজানোর এ ধারা বেশ জনপ্রিয় ছিল। খোঁপার সঙ্গেই টেনড্রিলস বেশি করা হতো। তবে একুশ শতকের পর এসে তা আর ধরাবাঁধা ছকে নেই। আয়নায় নিজের চেহারা দেখার পর মুখের দু’পাশ যদি ফাঁকা মনে হয়, তা পূরণের জন্য টেনড্রিলসই জুতসই। আর সুখবর হচ্ছে, ফেস ফ্রেমিংয়ে এ ট্রেন্ডই ফিরে এসেছে।
কারদেশিয়ানদের হেয়ারস্টাইলিস্ট জেন আতকিন এই স্টাইল নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন। তার মতে, টেনড্রিলসে সহজে চেহারায় চটকদার ভাব আনা যায়। আর, সৌন্দর্যে অনুপ্রেরণার জন্য অতীতের দিকে তাকানোটাই ভালো। নব্বইয়ের দশক এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে সামনের দিকে টেনড্রিলস পিস দিয়ে। জেন মনে করেন, কম অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি হয়ে ধরা দেয়। আর চুলে কৃত্রিম কিছু ছাড়া এফোর্টলেস, ন্যাচারাল স্টাইল কে না পছন্দ করে।
চুলে টেনড্রিলস স্টাইল করে নেওয়া যায় বিভিন্নভাবে। পছন্দমতো ছোট বা কিছুটা ভারী করে চুল নিয়ে। আরও প্লেফুল লুক তৈরিতে কানের পাশে বা হেয়ারলাইনের উপরের দিকে থেকেও চুল বের করে নেওয়া যায়। চেহারায় ভিন্নতা আনার জন্য।
নব্বইয়ের দশকের দিকে না তাকিয়ে এখন কীভাবে স্টাইলটি করা যায়? জানতে হবে কীভাবে পুরোনো এই হেয়ারস্টাইলকে আপডেট বা মডার্নাইজ করে নেওয়া যাবে। অনুপ্রেরণা নেওয়া যেতে পারে ফ্যাশন উইকের র‌্যাম্প, রেড কার্পেট আর ম্যাগাজিনের পাতা থেকে। তবে উঁচু করে বাঁধা পনিটেইলের সঙ্গেই এবার ফ্যাশন উইকগুলোতে টেনড্রিলস স্টাইলটি বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া মাথার উপরের দিকে চূড়া করে চুল বেঁধে কানের পাশ থেকে সরু করে চুল বের করে তৈরি হতে পারে স্টাইলিশ লুক।
প্রথমেই চুলের প্রস্তুতি দরকার স্টাইলটির জন্য। এ ক্ষেত্রে সুপারসনিক হেয়ারড্রায়ার বা ওয়েভ স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের গোড়ার দিকে ব্যবহৃত হতে পারে টেক্সচার ফোম টেকনোস্টিক। টেনড্রিলস হতে পারে কার্লি বা স্ট্রেইট— যেকোনো ধরনের। উঁচু করে পনিটেইল বেঁধে বা যেকোনো হেয়ার বানের সঙ্গে কপালের দিকে টেনড্রিল পিস বের হয়ে আসতে পারে। বাকি চুলে মেসি ফ্রেঞ্চ টুইস্ট র‌্যাপ দারুণ দেখাবে। মায়াময় ভাব তৈরিতে। আর টেনড্রিলসের চুল হওয়া চাই কিছুটা নরম, মসৃণ এবং সামান্য হেয়ার স্প্রে যুক্ত।
যদি ভাবা হয়, নব্বইয়ের ফিরে আসা তালিকা শুধু চোকার নেকলেস, ক্রপ টপস ও ব্রাউন লিপস্টিকে সীমাবদ্ধ, তবে তা ভুল। কিন্ডেল জেনার এই টেনড্রিলস স্টাইলকে ফিরিয়ে আনতে যে মিশনে নেমেছিলেন, তা সফল। কেননা অনেক সেলিব্রিটিই এই ট্রেন্ড ফলো করছেন।

 তাসমিন আহমেদ
মডেল: তৃণ
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top