skip to Main Content

রাশি রসদ I কুম্ভের কড়াই

কুম্ভ রাশির নর-নারীদের খাদ্যে ভীষণ অরুচি। তাতে ঘটে পুষ্টির অভাব। ফলে ছোটখাটো রোগবালাই লেগেই থাকে। যদিও সবার ক্ষেত্রে নয়। শুধু কুম্ভ কেন, প্রয়োজনমতো খাবার না খেলে যেকোনো রাশির মানুষেরই অসুখ-বিসুখ লেগে থাকতে পারে। কিন্তু কুম্ভ রাশির লোকদের সেধে খাওয়ানোর মতো প্রিয়জন খুবই কম থাকে। রাশিগত কারণেই তারা একাকিত্বে ভোগেন। বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও থাকে কম। তাই নিজেকে ফিট রাখতে আপন গরজেই খাবার খেতে হবে। কিন্তু কী খাবেন?
চলতি সময়ে কুম্ভ রাশির খাবারে অল্প আমিষ এবং বেশি নিরামিষ রাখাই ভালো। ফল খাওয়ায় তেমন বারণ নেই। টকজাতীয় ফলের সঙ্গে কুম্ভ রাশির সৌভাগ্যের যোগ রয়েছে। তাই তেঁতুল, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়া যেতে পারে। এ রাশির কেউ কেউ বাতজ্বরে ভোগেন। তাদের জন্য টমেটো, লেবু, আমড়াজাতীয় ফল না খাওয়াই উত্তম। আদা ও ক্যাপসিকাম কুম্ভদের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করবে। এ রাশির কেউ কেউ ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগতে পারেন। ঘাটতি মেটাতে খাওয়া চাই ছোট মাছ ও দুধ। কুম্ভ রাশির জাতকদের গোড়ালিতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সাবধান। বিশেষ করে যারা জিম করেন কিংবা খেলাধুলায় যুক্ত। যদি চোট লেগেই যায়, তাহলে ওষুধের পাশাপাশি কুমড়ার বীজ খেলে কুম্ভ রাশির পুরুষদের বিশেষ উপকার মিলবে। এ রাশির জাতিকাদের অবশ্য এ মাসে কোনো ধরনের ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা সেই অর্থে নেই। তবে ঠান্ডা-কাশি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মধু, লেবুর রস ও চা বেশ উপাদেয় হবে।
কুম্ভ রাশির নরনারীর জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইড অত্যাবশ্যক একটি উপাদান। সাধারণ লবণেই তা মেলে। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের অনেক সময় লবণ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। অন্যরা গাজর, বাঁধাকপি, পালংশাক, অ্যাসপারাগাস, স্ট্রবেরি, মুলা, আপেল, ডুমুর, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব খাবার কুম্ভ রাশির জন্য পথ্য হিসেবে কাজ করবে। কিছু কুম্ভ নরনারীর বদহজম ছাড়েই না। এবার সেটা বাড়তে পারে। তাই খাবারে চাই বাড়তি সতর্কতা। অ্যাসিডিক, মসলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো। বাইরের ভাজাপোড়া খাবার ঘটাতে পারে সর্বনাশ।
কুম্ভ রাশির কম বয়সী জাতকেরা চকোলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে সুফল পাবেন। কেননা এ বছর তারা দাঁতের ব্যাধিতে ভুগতে পারেন। বৃদ্ধদের ডায়াবেটিস কমে আসতে পারে। তা ছাড়া আলসার রোগীদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে। খাবারদাবারে বিধিনিষেধ কমে আসতে পারে এ বছর। কখনো কখনো ভরপেট রেডমিট খেলেও খুব একটা বিপত্তি ঘটবে না। ফলে এ ঋতুতে কবজি ডুবিয়ে দু-একবার কাচ্চি খাওয়া যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তা ছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলাই উত্তম।
কুম্ভ রাশির জন্য যে কথা বিনা সন্দেহে বলা যায়, সেটা হলো, মাদকদ্রব্য সেবন এদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি সামান্য ধূমপানও বড় কোনো রোগ বাঁধিয়ে দিতে পারে এ রাশির নরনারীর শরীরে। তাই সিগারেটসহ সব মাদককে ‘না’ বলাই হবে বুদ্ধিদীপ্ত কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের কাজ।

 কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top