skip to Main Content

ইভেন্ট I শেফস বিয়ন্ড হোম

রান্না বর্তমানে একটা শিল্প। উন্নত দেশগুলোতে রন্ধনশিল্পকে পেশা হিসেবে নেওয়া হলেও আমাদের এখানে তা খুব একটা প্রসার পায়নি। তবে আজকাল এ পেশার প্রতি আগ্রহ বাড়ন্ত। অনেকেই চাইছেন শেফ হতে। এমনকি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী আন্তর্জাতিক রান্না প্রতিযোগিতায় সুনাম কুড়িয়েছেন। সে ক্ষেত্রে মাস্টার শেফ অস্ট্রেলিয়ার কিশোয়ারের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। তা ছাড়া দেশের কজন প্রথিতযশা নারী জনমানুষের মনে ঠাঁই পেয়েছেন শুধু রান্নার গুণে। যেমন কেকা ফেরদৌসী কিংবা সিদ্দিকা কবীর। এই কীর্তিমতীরা অন্য নারীদের আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলেছেন। এখন অনেক নারীই রান্নাকে নিতে চাইছেন পেশা হিসেবে। সম্প্রতি ঢাকায় সেসব নারীর জন্যই হয়ে গেল একটি বিশেষ ইভেন্ট।
২২ ও ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শেফস বিয়ন্ড হোম’ নামের ফুড ফেস্টিভ্যাল। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। চলেছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। যেসব নারী রান্নাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কিংবা নিতে আগ্রহী, তাদের জন্যই ছিল এই প্ল্যাটফর্ম। ইভেন্টটি হয়েছে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্র্যান্ড ‘ফার্ম ফ্রেশ’-এর সৌজন্যে। একে এ সময়ের সবচেয়ে বড় ফুড ফেস্টিভ্যাল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এতে স্টল পার্টনার ছিল বেকিং এন কুকিং, বেক এন টেক, বাটার ক্রিম অ্যান্ড স্পাইস, বেকারি প্লাস, মৃদুলস কিচেন, হক কিচেন, মিস্ট্রি ফ্লেভার, দ্য লেয়ারস, দ্য কুজিনিয়ার, নাজিবাইটস, বাবাস বেকিং জোন, ফ্লেভার বাই ফাবিহা এবং মাহুর’স কিচেন।
ইভেন্টের শুরুর দিনে অতিথি ছিলেন অ্যাথেনা ফার্নিচার অ্যান্ড হোম ডেকরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীলা মানোয়ার। তিনি পাঁচজন রন্ধনশিল্পীর হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন। এ ছাড়া ছিলেন আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার-ব্র্যান্ড মাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ট্রেজারার সঙ্গীতা খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার নাজমুল সুমন। আরও অনেকের উপস্থিতিতে মুখর হয়েছিল ইভেন্টটি। শুধু ফুড ফেস্টিভ্যালই নয়, যেন এক মিলনমেলা।
ফেস্টিভ্যালে ছিল মেহেদী কর্নার। বিশেষ ছাড়ে কুপনের ছড়াছড়ি ছিল স্টলে-স্টলে। বায়োস্কোপ, হাতে রঙের ছাপ দেওয়া, হাওয়াই মিঠাই, শন পাপড়ি, কটকটি—সবই ছিল আয়োজনজুড়ে।
দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ড্রিম ওয়েভারের ফটোগ্রাফারদের দিয়ে ছবি তোলার ব্যবস্থাও ছিল। বিনা মূল্যে। ইভেন্ট শেষে পপ অব কালার বেস্ট রিভিউদাতাদের পুরস্কৃত করা হয়।
দেশে এবারই প্রথম পপ অব কালার লিমিটেডের আয়োজনে ঘরে তৈরি খাবারের বর্ণাঢ্য উৎসব ছিল শেফস বিয়ন্ড হোম। পপ অব কালারের নির্বাহী কর্মকর্তা টিংকার জান্নাত মীম বলেন, ‘যারা অনলাইনে খাবার নিয়ে কাজ করছেন, তাদেরকে আরও বড় পরিসরে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই উৎসব।’ ইভেন্টে আগত উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ফেস্টিভ্যালের ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল ক্যানভাস। তা ছাড়া পাবলিকেশন পার্টনার ছিল সূচি শৈলী, লজিস্টিক পার্টনার মুনির হাসান ও ই-কুরিয়ার, মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই অনলাইন, ডিজিটাল পার্টনার উদ্যোক্তা বার্তা, প্রোগ্রাম পার্টনার ঐক্য এসএমই ইনস্টিটিউট, রেডিও পার্টনার রেডিও টুডে।

 ফুড ডেস্ক
ছবি: পপ অব কালার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top