skip to Main Content

সঙ্গানুষঙ্গ I অন দ্য রাডার

ট্রেন্ডি সব ব্যাগ আর জুতাতেই পূর্ণতা পাবে সাধের স্টাইল স্টেটমেন্ট। ইন্সটা ওয়ার্দি আউটফিটের জন্য একদম যোগ্য সঙ্গত। তথ্য-উপাত্ত জানাচ্ছেন সারাহ্ রুশমিতা

এই বছরের ফুটওয়্যার ট্রেন্ডের দিকে মনোযোগ দিলে দেখা যায় বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের পাশাপাশি অবস্থান। সব যে আনকোরা, তা নয়; বরং বেশির ভাগই ফ্যাশন চক্রের ফলাফল। প্ল্যাটফর্ম হিলস থেকে স্নিকার—সব-ই ইন। কোনো একটি ধরনে আটকে নেই জুতার ফ্যাশন। কলেবরে বেড়েছে এর ব্যাপকতা, বিভিন্নতা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী আরামদায়ক ফ্ল্যাট অথবা ডিজাইনার হিলস—দুই-ই বেছে নেওয়া যাবে। এ বছর রঙের ক্ষেত্রেও চোখে পড়ছে কালার প্যালেটের দারুণ ব্যবহার। কোনো একটি কিংবা দুটিতে আটকে নেই।
কালো জুতার রাজত্ব সব সময়ের। অন্য রং এলেও একে একেবারে হটানোর সুযোগ হয়নি কোনো কালেই। এবারে রঙিন জুতা দেখা যাচ্ছে বেশ। মুড বুস্টিং কালারফুল ফুটওয়্যার বছরজুড়ে মন মাতাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ এ পোশাকে যেমন রং প্রাধান্য পেয়েছে, মনে হচ্ছে জুতার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন র‌্যাম্পগুলো তারই প্রমাণ। পোশাকের পাশাপাশি ফুটওয়্যার ডিজাইনারদের রং নিয়ে মেতে থাকতে দেখা গেছে। রঙের ক্ষেত্রে ম্যাঙ্গো ইয়েলো এবার বেশ সাড়া তৈরি করতে পারে। পাকা আমে যেমন আবেদন খুঁজে পায় মানুষ, এই রঙের জুতাতেও তৈরি হবে বাড়তি আকর্ষণ—এমনটাই মনে হচ্ছে। সামার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে এই রং। অফিস লাইম নামের কালারও থাকছে এবারের তালিকায়। লাইম অর্থাৎ লেবু রঙের জুতা পায়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেতে পারে ফ্যাশনিস্তাদের। ফুশিয়ার মতো উজ্জ্বল গোলাপি রঙের জুতা এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকবে বলেই মনে করছেন ফ্যাশনবোদ্ধারা। এই তিন উজ্জ্বল রং থাকতে পারে এ বছরের উইশলিস্টে। নকশায় প্রাধান্য পাবে লেদার ও স্যাটিনের ব্যবহার। লেদার ব্রেইডেড ডিজাইনের ফ্লিপফ্লপ অনেকের কাছেই জনপ্রিয় হয়েছে ইতিমধ্যে। স্টাইলিশ, সেই সঙ্গে এটা পরে আরামে হেলেদুলে হাঁটা যায়। তাই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বৈ কমছে না! হাই স্ট্র্যাপ হিলের আলাদা ক্রেতা চাহিদা রয়েছে সব সময়। পায়ের সঙ্গে সুন্দর করে বসে থাকে বলে এ ধরনের ফুটওয়্যার ফ্যাশন-সচেতনদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কারণ, এতে আরাম ও ফ্যাশন—দুই-ই হয়। একটু উঁচু হলেও স্ট্রাপের কারণে আঁটসাঁট হয়ে সঙ্গে বসে থাকে পায়ে। হাঁটতে বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হয় না বললেই চলে। স্যাটিন লাইনিং হিলস বরাবরই হিলপ্রেমীদের পছন্দ। এবারে উজ্জ্বল রঙেরগুলো এগিয়ে থাকবে এ ক্ষেত্রে।
দিনভর দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত মানুষের জন্য স্পোর্টস স্যান্ডেল বেশ কাজের। এর সঙ্গে ফ্যাশনের সঠিক মিশ্রণে এবারের ট্রেন্ডে এসেছে স্পোর্টি স্যান্ডেল। অ্যাথলোজারের সঙ্গে দারুণ মানানসই। বছরের স্প্রিং-সামার ফ্যাশন শোতে ব্র্যান্ড এরমেস এবং ক্লোয়িতে মডেলদের পরনে দেখা গেছে এ ধরনের ফুটওয়্যার। এ ধরনের জুতার সোল খানিকটা উঁচু থাকছে। সেই সঙ্গে ফিতা ব্যবহারে দেখা যাচ্ছে নানান রকম নকশা। ডেনিম অথবা টেইলরড ট্রাউজারের সঙ্গে এ ধরনের জুতা পরে নেওয়া যাবে অনায়াসে। এখনকার ট্রেন্ডের দিকে চোখ রেখে বেছে নেওয়া যায় রঙিন ফিতার জুতা। ডিজাইনভেদে বাকল বেঁধে নেওয়ারও সুযোগ থাকছে এসব জুতায়। ট্রাউজার ও ব্লেজারের সঙ্গে মানাবে। এ বছর স্কাই-হাই প্ল্যাটফর্ম থাকবে ট্রেন্ডের তালিকায়। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই জুতার দেখা মিলবে কালো, মেটালিক ম্যাঙ্গো, মাল্টিকালারসহ নানা রঙে। তাই পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যেমন খুশি রং বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে ফ্যাশনিস্তাদের। অ্যাংকেল স্ট্র্যাপ দেওয়া প্ল্যাটফর্ম হিলের চাহিদা থাকবে বছরজুড়েই। উঁচু হিলের সঙ্গে গোড়ালিতে থাকা ফিতা ফুটওয়্যারকে দেবে পারফেক্ট ফিটিং। স্বস্তিতে চলাফেরা করার জন্য।
টাইমলেস ফ্যাশনের তালিকায় ব্যালে ফ্ল্যাটসের নাম থাকবেই। হিলে যারা স্বচ্ছন্দ নন, তাদের জন্য এই জুতা মানিয়ে যেতে পারে। সহজ নকশার এই জুতাগুলো এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ডে জায়গা করে নিয়েছে। রোজকার চলাফেরায় কিংবা উৎসব আয়োজনে যারা আরামকে প্রাধান্য দেন, তাদের জন্য দারুণ অপশন। পয়েন্টেড টো শিলুয়েটের প্রতি আগ্রহ থাকবে ট্রেন্ড বুঝে জুতা কিনে নেওয়া মানুষগুলোর মাঝে। এ বছর ব্যালের অলংকরণে নজর কাড়বে নানা নকশার ফুল এবং রিবন ফাস্টিং। লেদারের তৈরি ব্যালেরিনাও ফিরে এসেছে। থাকবে বছরজুড়েই। মেটালিক ফিনিশেও মন জুড়াবে অনেকের; বিশেষ করে ইভনিং ওয়্যার হিসেবে বেছে নেওয়ার আগ্রহ দেখা যাবে বলেই মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্কেট উইভ ব্যালেও থাকবে রাডারে। সাদা রঙের ব্যালে শু র‌্যাকে এবার জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওভেন রাফিয়া ফিনিশের সাদা একটি ব্যালে রাখা যেতে পারে সংগ্রহে। সলিড কালার কিংবা ছাপা পোশাক—সবের সঙ্গেই মানাবে।
নব্বইয়ের দশকের মিউলও থাকবে বছরকার ফ্যাশন ট্রেন্ডের শীর্ষে। সাধারণত স্ট্র্যাপ আর মাঝারি সাইজের হিলের মিশেলে নকশা করা হয় এ ধরনের জুতার। কখনো এক রং, কখনো অ্যানিমেল প্রিন্ট, কখনো শিমারের ঝলক নজর কাড়ে। এই বছরের মিউলগুলোতে হিলের উচ্চতা খানিকটা উঠতির দিকে বলেই মনে হচ্ছে। মাঝারি থেকে একটু উঁচু হিলেরগুলোতেই নজর থাকবে সবার। চামড়ায় তৈরি মিউলও থাকবে চর্চায়। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গেল কালার প্রাধান্য পাবে। কালো মিউল রাখা যেতে পারে সংগ্রহে। ব্লক হিলের মিউলও এবারের ফ্যাশনিস্তাদের আগ্রহের তালিকায় থাকবে। আইভরি, সাদা কিংবা ক্রিম ব্লক হিল মিউল সামার টাইম আউটফিটের সঙ্গে বেশ মানাবে।
স্কয়ার টো লোফার সিটি-রেডি স্টাইলের জন্য মানানসই। বাজারে বাকেল দিয়ে নকশা করা লোফারের কদরও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড জারার তৈরি মিউল লোফার উইথ বাকেলে অভাবনীয় সাড়া পাওয়ার পর থেকেই এ ধারণা করা হচ্ছে। লেদারের লোফার আকর্ষণ করবে ফ্যাশন-সচেতনদের। অল ইয়ার রাউন্ড ভাবনা থেকে যারা শপিং করেন, একটি স্কয়ার টো লোফার রাখা যেতে পারে তাদের তালিকায়। টু টোন স্কয়ার টো লোফার আসবে, দেখবে এবং জয় করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পয়েন্টেড টো শুর ফ্যান বেইজ আলাদা। পার্টি পারফেক্ট ফুটওয়্যারের পাশাপাশি পয়েন্টেড টো হিল এবং ফ্ল্যাট—দুই-ই থাকতে পারে সংগ্রহে। হাই হিল হলে অ্যাঙ্কেল কাফযুক্তগুলোই বেশি স্টাইলিশ দেখাবে। ক্ল্যাসিক ব্ল্যাক থেকে বোল্ড ব্রাইট—সব রং মানিয়ে যাবে এমন জুতায়। রঙের সঙ্গে স্পার্কল আর গ্লিটার থাকলে তো সোনায় সোহাগা।
শীতের সময়ে বাজারে মেটাল ফিনিশের জুতার চাহিদা বেড়ে যায় খানিকটা। এবারেও চাহিদা থাকবে এমন জুতার। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ফিতার নকশা। স্ট্রাপ জুতার সঙ্গে হিল কিংবা ফ্ল্যাট—দুয়েই আগ্রহ থাকবে ক্রেতাদের।
গ্লাডিয়েটর জুতা ফিরে আসবে এবার। যদিও ট্রেন্ড থেকে পুরোপুরি কখনোই হারিয়ে যায়নি এই স্টাইলের ফুটওয়্যার। ক্ল্যাসিক শু স্টাইল মেরি জেনও আসছে। পুতুলের পায়ের জুতার সঙ্গে বেশ কিছুটা মিল আছে এই জুতার। নানান রকম সাদা জুতার চাহিদাও বাড়বে এ বছর। স্যান্ডেল থেকে পাম্প—সবখানেই সাদা ছড়াবে আলো। অ্যাঙ্কেল স্ট্রাপের ডিটেইলিং দেখা যেতে পারে। প্যাডেড জুতাও থাকবে ট্রেন্ড লিস্টে। জুতার ওপরের অংশের প্যাড বেশ আরাম দেবে। হিলে দেখা যেতে পারে বিচিত্র সব নকশা। ডিজাইনার হিল বেশ সাড়া ফেলবে সাধারণের মাঝেও। ওয়েজেস ছিল, আছে, থাকবে! ভেলভেট টেক্সচার, রাবার সোল—এসবেও আগ্রহী হবেন অনেকে। বছরের শেষ দিকে শীত আসি আসি থেকে শেষ অবধি লেস আপ বুটের চাহিদা দেখা যাবে।

ব্যাগ
এ বছর ব্যাগের আকার ও নকশা—দুটোতেই দেখা যাবে ভিন্নতা। বাকেট লিস্টে এবার বাকেট ব্যাগ রাখা যেতেই পারে। শিক ডিজাইনের এই ব্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তার আভাস মিলেছিল ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন শোগুলোর বরাতে। মাইকেল কোরসের শোতে নজর কেড়েছিল এই নকশার ব্যাগ। বাকেটের ডিজাইনে র‌্যাফেল, ডোপামিন কালার, পুল অ্যান্ড বিয়ার, লং চ্যাম্প, ক্রক অ্যামবুশ, টেড বেকার স্ট্র-এর মতো নকশা স্টেটমেন্ট তৈরি করবে বছরজুড়ে।
স্টেটমেন্ট পার্টি ব্যাগ এ বছরে উৎসব আয়োজনগুলো মাতিয়ে রাখবে। স্টোন এমবেলিশমেন্ট আর মেটালিক ফিনিশ—এই দুটোকে ঘিরে আগ্রহ বেশি দেখা যাবে পার্টি অ্যানিমেলদের মাঝে। এর বাইরে আগ্রহ থাকবে ফেদার, সিক্যুইন আর স্পার্কেল এমবেলিশড ব্যাগে। ব্র্যান্ড ম্যাংগো বাগুতি পার্টি ব্যাগ তৈরি করেছে। বিডেড ব্যাগও আছে তালিকায়। জারা নিয়ে এসেছে সিক্যুইন এবং ফেদারের সংমিশ্রণে তৈরি ব্যাগ।
পার্টি উপযোগী ক্লাচ নিয়ে বেশ কিছু কাজ হয়েছে বছরের শুরু থেকেই। শ্যানেল, ক্লোয়ি, এরমেসের মতো ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডগুলো নানান ধরনের আনকোরা নকশায় তৈরি করছে ক্লাচ। নব্বইয়ের দশকের স্ট্র্যাপসহ ক্লাচও ফিরে এসেছে ট্রেন্ডে। পাকো র‌্যাবেন তৈরি করেছে ন্যানো স্পার্কেল শোল্ডার ব্যাগ। ইভনিং ওয়্যারের সঙ্গে এই ব্যাগ দারুণ মানিয়ে যাবে। টম ফোর্ড এনেছে মেটালিক ক্রোকোডাইল লেদার ব্যাগ; যা ফ্যাশনপ্রেমীদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
দাওয়াত, পার্টি, আড্ডার বাইরেও রোজকার প্রয়োজনে দরকার হয় ব্যাগের। অনেকেই আছেন যারা প্রয়োজনীয় অনেক কিছু নিয়ে বের হন। টোট ব্যাগ এ ধরনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য উপযুক্ত। সুপারসাইজড টোট সব সময়েই ইন ফ্যাশন। এবারে টোট হাজির হয়েছে নানান রকম আকার আর নকশায়। শ্যানেল নিয়ে এসেছে কুইল্ট ডিজাইনের সিম্পল ব্ল্যাক সুপারসাইজড টোট। অলংকরণ সম্পন্ন হয়েছে লোগোর উজ্জ্বল উপস্থিতিতে। এই ধরনের টোটের সঙ্গে সঙ্গে এবারে ওভেন আর বাস্কেট ব্যাগও থাকবে চাহিদার তালিকায়। এইচ অ্যান্ড এমের বড় সাইজের শপারও ভিন্নতা নিয়ে হাজির থাকবে বাজারে। ক্যানভাস ফ্যাব্রিকে তৈরি বড় সাইজের টোট ব্যবহৃত হবে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় বস্তু আনা-নেওয়ার কাজে।
সার্কুলার শিল্যুয়েট এবার ফ্যাশন-সচেতনদের কালেকশনে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নব্বই প্রাণিত ক্রিসেন্ট, হাফ মুন—এই দুই আকারের চাহিদা বেশি থাকাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোতেও দেখা যাচ্ছে এই নকশার ব্যাগ। অ্যানথ্রোপলজি তৈরি করেছে সার্কেল টোট। কেট স্পেড তৈরি করেছে স্মল স্মাইজ সার্কুলার ব্যাগ। জো অ্যান্ডারসন তৈরি করেছে মুন শোল্ডার সার্কুলার ব্যাগ।
এবারের ব্যাগের অলংকরণে চেইনের ব্যবহার দেখা যাবে। চাংকি চেইন দেখা গেছে ভারসাচির র‌্যাম্পে। জারার কালেকশনে কুইল্ট ক্লাচে করা হয়েছে চেইনের ব্যবহার। সোনালি ও রুপালি—দুই রঙেই। ক্লাচ থেকে শুরু করে টোট—সব ধরনের ব্যাগেই চোখে পড়বে চেইনের ব্যবহার।
ক্রোশের তৈরি ব্যাগও কিন্তু থাকছে ট্রেন্ডে। ফ্যাশনে বোহিমিয়ান ভাইবকে উসকে দিতে। রংহীন কিংবা রঙিন—ক্রোশের এসব ব্যাগ সত্তরের দশকের স্টেটমেন্ট পিস হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিল।
চারকোনা, আয়তাকার অথবা ডিম্বাকার—মিনিমালিস্টদের পছন্দের স্ট্রাকচারড ব্যাগ বছরজুড়েই বিকোবে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড কোচ, ভারসাচি, ভেনেটা, এরমেস ইতিমধ্যেই এই নকশার ব্যাগ নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ম্যাংগো এনেছে ফ্ল্যাপ ক্রসবডি ব্যাগ। টেড বেকারের লেদার ক্রসবডি ব্যাগ যেমন সাড়া ফেলেছে, তেমনি প্রাডা রি এডিশনে তৈরি ব্যাগে মজেছেন ফ্যাশনিস্তারা।
সফট, স্লাউচি ব্যাগ সারা দিনের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের ব্যাগগুলো এবারেও ট্রেন্ড থাকবে বছরজুড়ে। অন্যদিকে ছোট ব্যাগ এবার ফ্যাশনে বড় জায়গা দখল করে নেবে। এসব ব্যাগে একটি ছোট ফোন, মানিব্যাগ আর লিপস্টিক নিয়ে বেরিয়ে পড়া যাবে। পার্টির জন্য পারফেক্ট এই ব্যাগ। ভারসাচি, ক্রিশ্চিয়ান দিওর ও কোচের মতো ব্র্যান্ডগুলো তাদের ফ্যাশন শোগুলোতে আর্ম ক্যান্ডি হিসেবে প্রদর্শন করেছিল টাইনি টোট। জিমি চু-এর কালেকশনে থাকছে মেটালিক মিনি নাপাহ। টমি হিল ফিগার ইভনিং পার্টি উপযোগী মিনি ব্যাগ নিয়ে এসেছে। এইচ অ্যান্ড এমের সংগ্রহে আছে ছোট হ্যান্ড ব্যাগ, যা শোল্ডার ব্যাগ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
ব্যাগে হুইপ স্টিচের ব্যবহার জনপ্রিয়তা পেতে পারে এ বছর। ক্ল্যাসিক শেপের হ্যান্ড ব্যাগে এ ধরনের স্টিচ নকশায় অভিনবত্ব তৈরি করতে পারে অনায়াসে।
ব্যাগের নকশায় লোগো ডিটেইলিং অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাঝে কিছু বছর লোগোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজের পরিমাণ কম ছিল, কিন্তু এবার লাউড লোগোর ব্যবহার বাড়বে বলেই ধারণা ফ্যাশনবোদ্ধাদের।
মডেল: আরনিরা ও স্নিগ্ধা
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব ও অ্যাকসেসরিজ: ক্যানভাস
ছবি: হাদী উদ্দীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top