skip to Main Content

পোর্টফোলিও I যুগল জৌলুশ

সমন্বয়। সে তো জরুরি দাম্পত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে। শুরুটা নাহয় হোক বিয়ের স্টেজ থেকে। শুভারম্ভ হোক মিলেই। আউটফিট কো-অর্ডিনেশনের নতুন সব কেতা নিয়ে হাজির টিম ক্যানভাস

রাইটআপ: জাহেরা শিরীন
মেকওভার: পারসোনা
জুয়েলারি: উযমাহ্
ছবি: হাদী উদ্দীন

ওটু : বর্ণে বৈচিত্র্যে

রং মিলান্তি! সে তো খুব সহজ। কিন্তু কো-অর্ডিনেটেড ব্রাইডাল আউটফিটের সবচেয়ে পুরোনো বস্তাপচা পন্থা। এখন নতুন কিছু ট্রাই না করলে কি চলে! এ ক্ষেত্রে বর-কনের পছন্দের যেকোনো একটি রং বেছে নিতে হবে প্রথমে। তারপর প্যালেট থেকে সেই রঙের পছন্দসই দুটো শেড বাছতে হবে তাদের জন্য। কোনোভাবেই একই শেড হওয়া যাবে না; হতে হবে গাঢ় এবং হালকা অথবা এর বিপরীতটা। যেন বর-কনে পাশাপাশি দাঁড়ালে একটা গ্রেডিয়েন্ট বা ওমব্রে ফিল পাওয়া যায়। যেমন: গোলাপি রং বেছে নেওয়া হলে এর গাঢ় শেডে সাজুক কনে। আর বরের জন্য হালকা গোলাপিই সই। অথবা হতে পারে ঠিক বিপরীতটাও। টোন ম্যাচিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন গোলাপি, পিচ, হলুদ, পার্পল আর সবুজের মতো রংগুলো

মডেল: হাসিন ও জেমিম

নাবিলা : সমাকর্ষণ সম্পূরক

বর-কনের আউটফিটের কো-অর্ডিনেশন সম্ভব প্যালেটের কমপ্লিমেন্টারি কালারগুলো দিয়েও। কনট্রাস্টিংয়ের ব্যাপারে জ্ঞান কাজে লাগবে এ ক্ষেত্রে। সঠিকভাবে করা গেলে সাজ নজর কাড়তে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে কনের সোনা রঙের পোশাকের সঙ্গে দারুণ দেখাবে বরের লাল, গাঢ় সবুজ, নীল, কালো-সাদা আর মেরুন রঙা পোশাকের জোড়। আবার কনে গোলাপিতে সেজে উঠলে বরকে পরানো যেতে পারে হালকা নীল, লেমন গ্রিন, ধূসর, প্যাস্টেল ইয়েলো, ব্রাইট রেড কিংবা ক্রিম রঙের পোশাক। লাল পোশাকের কনের সঙ্গে আইভরি, বেইজ, কালো বা সোনালি পোশাকের বরই সই। আর কনে যদি বেছে নেন নীল, তাহলে বরদের জন্য পরামর্শ সোনালি, আইভরি, ক্রিম বা বেইজ রঙের পোশাক বেছে নেওয়ার। কমলা সুন্দরী কনেরা বরদের জন্য বাছাই করতে পারেন আইভরি বা পিচরঙা পোশাক। হতে পারে ঠিক এর বিপরীতটাও

মডেল: সালেকিন ও সামিরা

মেহের : ছাপায় ছন্দ

বর-কনের পোশাকে প্রিন্টের কো-অর্ডিনেশন এখন দারুণ ট্রেন্ডি। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় বরের শেরওয়ানির প্রিন্টের কনের পোশাকে সঞ্চারণ। লেহেঙ্গাতেই বেশি ফুটবে ব্যাপারটা। এত আতিশয্য না চাইলে কনের পোশাকের প্রিন্ট দিয়ে গড়ে নেওয়া যেতে পারে বরের পাগড়ি কিংবা পকেট স্কয়ার। এ ছাড়া কনের পোশাকের এমব্রয়ডারি যদি বরের শেরওয়ানিতে উঠে আসে, সেটাও মন্দ দেখাবে না। এ ক্ষেত্রে এমবেলিশমেন্ট থাকুক গলাবন্ধের নেকলাইন জুড়ে কিংবা কাফে।

মডেল: যশ মির্জা ও মিয়াম

সাফিয়া সাথী : সঙ্গী সঙ্গানুষঙ্গ

কো-অর্ডিনেশনের ক্ষেত্রে আউটফিটে আটকে না থাকলেও চলবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাকসেসরিজ হতে পারে দারুণ অপশন। তবে একটু বুঝেশুনে তবেই সারতে হবে ম্যাচ করার পুরো প্রক্রিয়া। সামান্য ভুলে পুরো লুকটাই বরবাদ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায়? কনের কানের স্টাড থেকে প্রাণিত হতে পারে বরের শেরওয়ানির বাটন। অথবা কনের গলার হারের ডিজাইন মেনে তৈরি করে নেওয়া যায় বরের পাগড়ির কালগি বা সারপেচ। বরের ব্রোচের অনুকরণে তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে কনের কানবালির নকশা। শুধু পছন্দসইটি বেছে নেওয়ার দেরি

মডেল: মিয়াম ও সালেকিন

 

জেকে ফরেন ব্র্যান্ডস : কনের কাছ থেকে

এ ক্ষেত্রে কনেই হয়ে থাকুক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তার আউটফিট বাছাইয়ের পর সেখান থেকেই বরের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে কো-অর্ডিনেশনের অপশন। হতে পারে তা কনের পোশাকের রং, মোটিফের ডিটেইল, বর্ডার, লাইনিং এমনকি ওড়না থেকেও। যেমন: কনের পরনের লেহেঙ্গা হলুদ আর ওড়না গোলাপি হলে বর পরে নিতে পারেন হলুদ বা গোলাপি রঙের সাফা, পকেট স্কয়ার, শেরওয়ানির বোতাম কিংবা ওয়েস্টকোট অপশনের কমতি নেই কিন্তু

মডেল: যশ মির্জা ও সামিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top