skip to Main Content
আলসেমি আপদ

ব্যস্ত জীবনে হুটহাটই পেয়ে বসে আলসেমি। বিশেষত ছুটির দিনে। নিজেকে একটু চাঙা করে নিতে এর অবশ্য দরকার আছে! তবে তা মাত্রা ছাড়ালেই বিপদ।

‘হিউম্যান অ্যারিনাস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় আলসেমির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, এ এমনই এক অবস্থা, যখন কেউ প্রয়োজন সত্ত্বেও কোনোকিছু করতে অনীহা প্রকাশ করেন; নিজেকে মগ্ন রাখেন কর্মহীনতায়।

আলসেমি কাটিয়ে ওঠার বিশেষজ্ঞ পরামর্শে দেওয়া যাক নজর:

কম কাজের কাজি

অনেক সময়ই আমরা কর্মঘণ্টাগুলোতে কাজের চাপে হাঁপিয়ে উঠি, অথচ ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়ার ফুসরত মেলে না। তাই মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে; আর সুযোগ পেলেই ঝেঁকে বসে আলসেমি। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত, কর্মঘণ্টাগুলোতে বেশি বেশি কাজ না করে বরং রুটিন সাজিয়ে, বুদ্ধি করে কাজের চাপ অর্ধেকে নামিয়ে আনা ভালো। তাতে দেহ-মন পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে; আলসেমির ভূতও মাথা চাড়া দেবে না!

বাছাইয়ে জোর

কোন কাজ করলেই নয়, কোনটি আপাতত না করলেও চলবে– এভাবে কাজগুলোকে শুরুতেই ভাগ করে নিলে মঙ্গল। তাতে অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলো ভালোভাবে সেরে ফেলা যাবে। বেছে বেছে কাজ করলে চাপও হয়ে ওঠবে না মাত্রা ছাড়া।

মজার দাম

কাজের মধ্যে মজা বা আনন্দ খুঁজে নেওয়া দরকার। তাতে কাজ আপনার শরীর ও মনে বাড়তি চাপ ফেলবে না; বরং উপভোগ্য হয়ে ওঠবে। ক্লান্তিও গেড়ে বসবে না আসন।

ছবি: সংগ্রহ

মনোনিবেশের জাদু

কোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করলে, সেটির প্রতি কৌতূহল বাড়ে। তাতে মানসিক চাপ তুলনামূলক কমে।

আলসেমি কাটাতে এর বাইরেও কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া ভালো। যেমন, নিজের প্রতি যত্নবান থাকা। অন্যথায় কর্মঘণ্টাগুলো পরিণত হতে পারে যন্ত্রণায়; তাতে আলসেমি ডানা মেলতে পারে শরীর ও মনে, হয়তো অজান্তেই।

  • ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top