skip to Main Content
‘ঘোস্টবাস্টার্স: ফ্রোজেন এম্পায়ার’ আসছে দেশে

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ২০২৪) স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউডের সুপারন্যাচরাল কমেডি সিনেমা ‘ঘোস্টবাস্টার্স: ফ্রোজেন এম্পায়ার’। ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটারলাইফ’-এর সিক্যুয়েল এটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

২২ মার্চ ২০২৪, আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পায় ছবিটি। মুক্তির পর থেকে সাফল্যের পথে বেশ জোরেশোরেই এগিয়ে চলেছে সনি পিকচার্স পরিবেশিত এই ছবি। প্রথম তিন দিনেই আয় দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। উত্তর আমেরিকার ৪ হাজার ৩৪৫টি থিয়েটারে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান হিসেবে ‘ফ্রোজেন এম্পায়ার’-এর কাছে তিন দিনে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার আয়ের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দর্শক উপস্থিতি সেই অনুমানকে ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বক্স অফিসেও ‘ঘোস্টবাস্টার্স: ফ্রোজেন এম্পায়ার’ ইতিবাচক ব্যবসা দেখেছে। এরমধ্যে ছবিটি আয় করেছে ১৬০ মিলিয়ন ডলার।

২০২১ সালে সর্বশেষ কিস্তি ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটারলাইফ’ মুক্তির সময় কিছু কিছু মার্কেট সবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছিল। তখন প্রথম উইকএন্ডে আয় করে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ব্যবসার দিক থেকে ‘ঘোস্টাবাস্টার্স: ফ্রোজেন এম্পায়ার’-এর সামনে বাজেটও বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এবার আগের কিস্তির তুলনায় বেড়েছে খরচ, মোট খরচ হয়েছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। এর আগে ‘আফটারলাইফ’ সাড়ে ৭ কোটি ডলারের বিপরীতে আয় করেছিল ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। তবে বক্সঅফিস রিপোর্ট দেখে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

আশির দশকের বিখ্যাত মুভি সিরিজ ‘ঘোস্টবাস্টার্স’। যেখানে বিল মুরে তার দলবল নিয়ে ভূত ধরে বেড়াতেন। ঘোস্টবাস্টার্স সিরিজের প্রথম দু’টি ছবি প্রযোজনা করেছিল কলম্বিয়া পিকচার্স। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ এবং ‘ঘোস্টবাস্টার্স টু’ যথাক্রমে মুক্তি পায় ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালে। প্রথমটি অবশ্য ছিল যৌথ প্রযোজনা। তৃতীয় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট। ‘ঘোস্টবাস্টার্স: ফ্রোজেন এম্পায়ার’ এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছে গিল কেনান। আগের ছবির মতো এ ছবিতেও থাকছেন পল রুড, ক্যারি কুন, ফিন উলফহার্ড, ম্যাকেনা গ্রেস, সেলেস্টে ও’কনর, এবং লোগান কিম। পাশাপাশি বিল মারে, ড্যান আইক্রয়েড, আর্নি হাডসন, অ্যানি পোটস এবং উইলিয়াম আথারটন তাদের চরিত্রগুলোতে পুনরায় অভিনয় করেছেন৷ আগের ছবির কুমাইল নানজিয়ানি, প্যাটন অসওয়াল্ট, এমিলি অ্যালিন লিন্ড এবং জেমস অ্যাকাস্টারও এবার যোগ দিয়েছেন।

আফটারলাইফ-এর ঘটনার তিন বছর পর, প্রবীণ ঘোস্টবাস্টারদের অবশ্যই তাদের নতুন নিয়োগকারীদের সাথে বাহিনীতে যোগ দিতে হবে নিউইয়র্ক সিটিতে। বিশ্বকে একটি মৃত্যু-শীতল দেবতার হাত থেকে বাঁচাতে যিনি একটি বর্ণালী সেনাবাহিনী তৈরি করতে চান। জুলাই ১৯০৪ সাল। নিউইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট দমকলকর্মীরা একটি ক্লাবের ভিতরে ত্রিশ জনেরও বেশি লোককে হিমায়িত অবস্থায় দেখতে পান। একমাত্র বেঁচে থাকা একজন মহিলা একটি রহস্যময় কক্ষকে আঁকড়ে ধরে আছেন। এখান থেকেই শুরু হয় ছবির গল্প। অতিপ্রাকৃতিক রহস্য আর কমেডির মিশেলে শেষ পর্যন্ত গল্পটা বেশ জমে উঠেছে। নির্মাণেও এ ছবিতে অনেক নতুনত্ব দেখতে পাবেন দর্শক।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top