skip to Main Content
শপটেইনমেন্ট

শপিং ও এন্টারটেইনমেন্টের কম্বিনেশনকে বলা হচ্ছে শপটেইনমেন্ট। এ ধরনের শর্ট ভিডিও মেকিং এবং দর্শক আকর্ষণে এগিয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক।

টিকটিক প্রকাশিত একটি পেপারের মাধ্যমে জানা যায়, ২৮ শতাংশ টিকটক শপার অর্থাৎ টিকটক ব্যবহার করে যারা শপিং করেন, তারা এন্টারটেইনমেন্টকে শপিংয়ের ক্ষেত্রে মোটিভেটর মনে করেন। এই দুইয়ের সন্ধি তাদের আকর্ষণ করে । এ ধরনের শর্ট ভিডিওগুলোর নতুন নামকরণ হয়েছে ‘শপটেইনমেন্ট’।

করোনাকালের প্রভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে ব্র্যান্ডগুলো পেয়েছে নতুন মাত্রা। স্ট্রিমিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম সেন্টার স্টেজের দখল নিয়েছে সে সময়ে। ভিডিও কন্টেন্ট শেয়ারিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক তখন থেকে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। যা ব্র্যান্ডগুলোকে এই প্লাটফর্মের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তারা জনপ্রিয় টিকটকার, অর্থাৎ টিকটক কন্টেন্ট মেকারদের মাধ্যমে প্রোডাক্ট উপস্থাপন শুরু করে।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেছে টিকটক। বলা যায়, ‘এক্সপ্লোসিভ গ্রোথ’ দেখতে পাচ্ছে এই সাইট। আগস্ট ৯ তারিখের পাওয়া তথ্যমতে, ১ বিলিয়ন ডাউনলোড সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে।

টিকটকের প্রোডাক্ট ডিজাইন ও অ্যালগোরিদম এমনভাবে সেট করা হয়েছে যাতে কন্টেন্টগুলোর অডিয়েন্স সঠিক হয়। অর্থাৎ ইউজারের আগ্রহ বুঝে যাতে কন্টেন্ট শো করে। সেকেন্ডারি বিহেভিয়ার হিসেবে বলা যেতে পারে কন্টেন্ট সার্চ করার বিষয়টি। কোন শর্ট ভিডিওর রিচ কেমন হবে তা নির্ভর করে কন্টেন্ট কোয়ালিটির ওপর। ভালো মানের হলে অ্যাকটিভ ইউজারদের ছাড়িয়ে অন্যদের হোমপেজেও পৌঁছে যায়।

টিকটকের কন্টেন্ট ক্যাটাগরিতে দেখা যায় ফুড, ফ্যাশন, কমেডি ও ভ্রমণ বিষয়গুলো প্রথম সারির কন্টেন্ট হিসেবে আছে। টিকটক প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ৬২ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ১০ থেকে ২৯-এর মাঝে। এরা তুলনামূলক টেকসেভি হওয়ার কারণটি কন্টেন্ট রিচকে প্রভাবিত করে।

ছবি: সংগ্রহ

গবেষণা পত্রটির মাধ্যমে আরও জানা যায়, ৮৭ শতাংশ মার্কেটারস ইতিবাচক রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছেন ভিডিও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। তিনটি বিষয় এখানে ভূমিকা রেখেছে। প্রথমেই আছে ওয়ান স্টপ শপিং এক্সপেরিয়েন্স। একটি ভিডিও দেখে যথাযথ তথ্য পাওয়ার বিষয়টি ইউজারেরা পছন্দ করেছেন। এই মার্কেটারেরা ফলোয়ার সংখ্যা যাদের বেশি, শুধু তাদের সাথে কাজ করেছেন, এমন নয়। সব ধরনের ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গেই কাজ করেছেন। ক্যাম্পেইনেও সঙ্গে রেখেছেন তাদের। তারা স্টোরি তুলে এনেছেন। নতুন দর্শককে যুক্ত করেছেন।

  • সারাহ্/ ক্যানভাস অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top