skip to Main Content

আড্ডা I সময় এখন নিত্যদিনের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার

করোনা অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে স্বরূপে ফিরছে দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। এরই মধ্যে রমজান মাসে পড়ে যাওয়ায় বৈশাখ ঘিরে আলাদা আয়োজনের সুযোগ কম। এ নিয়ে বিকল্প কোনো ভাবনা আছে কি না, নতুন চ্যালেঞ্জগুলোই-বা কী, তা ছাড়া আসন্ন ঈদ ঘিরে পরিকল্পনা—এসব নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই আড্ডা। ক্যানভাসের পক্ষে সঞ্চালনা করেছেন প্রথম আলো অনলাইন ফিচারের উপসম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান

 

শেখ সাইফুর রহমান

শেখ সাইফুর রহমান: আমরা বাংলাদেশে ফ্যাশন হাউস বলতে ট্র্যাডিশনাল হাউসগুলোকেই বুঝতাম। এই বাইরে যে হাউসগুলো কাজ করছে, সেগুলোকে সাধারণত আমলে নেওয়া হতো না। অথচ টার্নওভারের দিক থেকে দেখলে, এরাই এখন বাংলাদেশের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশের ফ্যাশন পরিমণ্ডলের চিত্রপট ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। ফলে সবার পরিকল্পনায় সেই ছাপ স্পষ্ট। আমরা এখন বসন্তে আছি। তাই শুরুতে একটা বিষয় জানার ইচ্ছা হচ্ছে। বৈশাখ আরও কয়েক বছর রমজান মাসেই পড়বে। এই অবস্থায় ফাল্গুন কি বৈশাখের বিকল্প হতে পারে?
শামসুল হক রিপন (সিইও, সোলাস্তা): বৈশাখের বিকল্প নয়, ফাল্গুন নিজেই একটা উপলক্ষ। আমরা তো বারো মাসে তেরো পার্বণের জাতি; উৎসব পছন্দ করি। আমাদের এখন কেনাকাটার ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা ফ্যাশনের পেছনে প্রচুর খরচ করি। তাই ফাল্গুনকে বৈশাখের বিকল্প বলব না; বরং ফাল্গুন একটা উৎসব হিসেবে আমাদের মধ্যে থাকবে।

শেখ সাইফুর রহমান: যেহেতু বৈশাখ পাচ্ছি না, পোশাকের টার্নওভারে যে প্রভাব পড়ছে, ব্যবসার প্রশ্নে সেটা ফাল্গুন দিয়ে ওঠানো সম্ভব?
শামসুল হক রিপন: ফাল্গুন মাত্রই পার হয়ে এলাম। আমরা জানি, এর রেজাল্ট কী। এ বছর এটা কিছুতেই সম্ভব নয়। আমরা জানি না বৈশাখ আমাদের কী চেহারা দেবে। তবে যতই রোজার মাসে পড়ুক, তরুণ প্রজন্ম বৈশাখ উপলক্ষে পোশাক কিনবেই—এই আশা আমাদের আছে। সরকার বৈশাখের জন্য বোনাস চালু করেছে। সরকারি চাকুরেরা এবার রোজার মাসে দুটি বোনাস পাবেন। তাই আমি এখনো আশাবাদী, শতভাগ না হলেও অনেকখানিই ইতিবাচক ছাপ পড়বে।

শামসুল হক রিপন

শরিফুল ইসলাম (এজিএম, মার্কেটিং অ্যান্ড হোম ডেলিভারি সার্ভিস, গ্রামীণ ইউনিক্লো): বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি একদমই উৎসবকেন্দ্রিক। আমরা মূল বিক্রিটা পাচ্ছি ঈদে। এখন বৈশাখ সেল অলমোস্ট ঈদের মধ্যে মার্জ হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে এবারও কিছু ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফাল্গুনকে যেভাবে চেষ্টা করেছে, আরেকটু কীভাবে হাইলাইটেড করে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটা দেখার বিষয়। এখনো কিন্তু মার্কেটে ফাল্গুন এস্টাবলিশ হয়েছে, কিংবা এ উপলক্ষে মানুষের মধ্যে কেনার ঝোঁক বেড়েছে, তা নয়। কেনাকাটা এমনিতেই বেড়েছে। কারণ, বাংলাদেশে ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে রেসপন্স অনেক বেশি। ফাল্গুন সে ক্ষেত্রে এখনো বিকল্প হয়ে ওঠেনি। তবে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো একসঙ্গে চেষ্টা করলে ফাল্গুনকে একটা জায়গায় দাঁড় করানো সম্ভব। তাহলে হয়তো ভালো সেলের জায়গা তৈরি হবে। বৈশাখটা বছর কয়েক পর আবার রোজার পরে চলে যাবে। আবারও আলাদাভাবে দাঁড়াবে। ফাল্গুনকে যদি আলাদা উৎসব হিসেবে দাঁড় করানো যায়, তাহলে সেলসের ক্ষেত্রে নতুন একটা সিজন হিসেবে ক্রিয়েট করা সম্ভব। একটা সময় কিন্তু ফাল্গুনও রোজার মধ্যে চলে আসবে। তাই ব্র্যান্ডগুলোকে সাসটেইনেবল করার জন্য এই ফেস্টিভ্যাল ওরিয়েন্টেশনের চেয়ে রেগুলার বিজনেসে ফোকাস দিতে হবে। তাহলে সাসটেইনেবল বিজনেসের গ্রোথ হবে। তাই বৈশাখের বিকল্প হিসেবে নয়, বরং নতুন একটি ফেস্টিভ্যাল হিসেবে ফাল্গুনকে তৈরি করার অনেকে চেষ্টা করেছে। আশা করছি সাফল্য আসবে।
শেখ সাইফুর রহমান: কীভাবে মার্কেট তৈরি করা সম্ভব? আপনাদের ভূমিকা কী হতে পারে?

মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন

মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন (সিইও, ভারগো রিটেইল লিমিটেড): অনেকেই পয়লা বৈশাখের নেগেটিভ মার্কেটিং করে এটাকে আরও পিছিয়ে দিতে চায়। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ফাল্গুনকে কেনাকাটার উপলক্ষ করে তোলা একটু কঠিন হতে পারে। অবশ্য আমাদের সমাজব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক আধুনিক হয়েছে, সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ততা বেড়েছে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণের সুযোগ আছে। এই নেগেটিভ মার্কেটিংটাকে মানুষ পজিটিভলি নিতে পারে। রোজার মধ্যেও পয়লা বৈশাখ করা যায়, এ ধরনের ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব।
তারিক উল আলম (অপারেশনস ম্যানেজার, টর লিমিটেড): আমাদের ব্র্যান্ডে কিন্তু ট্র্যাডিশনাল প্রডাক্ট নেই। আমরা রপ্তানিমুখী ওয়েস্টার্ন ড্রেস বিক্রি করি। সেখানে অনেক রেসপন্স পাই। অনেকে প্রশ্ন করে, ‘পয়লা বৈশাখে, পয়লা ফাল্গুনে আপনাদের কালেকশনে পাঞ্জাবি নাই?’ আসলে রোজা পড়ে যাওয়ায় যতই ব্র্যান্ডিং করি, ক্রেতার একটা পার্সেন্টেজ ড্রপ করবেই। তবে সব ব্র্যান্ড মিলে যদি ফাল্গুনকে ফেস্টিভে নিয়ে আসতে পারে, ভালোই হবে।
হাসিবুর রহমান (মার্কেটিং ম্যানেজার, র ন্যাশন): ফেব্রুয়ারি মাস অলরেডি ওভারসেচুরেটেড। ২১ ফেব্রুয়ারি, ফাল্গুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে…। মানুষ অলরেডি উৎসবের মধ্যেই থাকে। যার কারণে পয়লা বৈশাখের এক্সপোজারটা ফাল্গুনে আনা কঠিন। বছর কয়েক পর যেহেতু পয়লা বৈশাখ আবারও রোজার বাইরে চলে যাবে, তাই ওটার ওপর যদি ফোকাস বন্ধ করে দিই, তাহলে মানুষের মধ্যে একটা প্রভাব পড়বে। তখন দেখা যাবে, আমরা ফাল্গুন নিয়ে বেশি ইন্টারেস্টেড। তাই ফাল্গুন আসলে বৈশাখের অলটারনেটিভ হবে না। আর স্ট্র্যাটেজির ক্ষেত্রে ঈদ ও পয়লা বৈশাখ—মেনজের ক্ষেত্রে দুটোর মূল পোশাকই পাঞ্জাবি। তাই এটার ক্ষেত্রে আলাদা মেজারমেন্ট করা খুব দুরূহ।

তারিক উল আলম

শেখ সাইফুর রহমান: আপনারা কী ভাবছেন? একটা কিনলেই দুই কাজ হয়ে যাবে—এ রকম কিছু? নাকি আলাদা দুটি কালেকশন?
রিদওয়ানা হক (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্লাবহাউস): শুরুতে ফাল্গুন প্রসঙ্গে একটু বলে নিই। ক্লাবহাউস অলওয়েজ ফাল্গুনকে একটু আলাদা প্রায়োরিটি দেয়। বৈশাখকেও। এবার আমরা ঈদের সঙ্গে বৈশাখকে ট্যাগ করে দেওয়ার ট্রাই করব। তা ছাড়া এবার আমাদের সেল ভালো হবে আশা করছি। কারণ, গত বছর লকডাউনের কারণে ১৫ দিন আমাদের স্টোরগুলো বন্ধ ছিল। এবার এটা ফেস করতে হবে না, আশা করছি। তাই এবার ঈদের কালেকশনের সঙ্গে আমরা বৈশাখেরও কিছু প্যাটার্ন যুক্ত করতে পারি। যেটার জন্য আমাদের আলাদা একটা ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজিও প্ল্যানে আছে। ঈদটাকে ফোকাস করে বৈশাখকেও তার মধ্যে রাখব, যেন দুটো সেলই আমাদের কাছে চলে আসে।
সামিয়া আহমেদ (ডিপার্টমেন্ট হেড, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড, টুয়েলভ ক্লোদিং): ফেব্রুয়ারিতে আমরা ফাল্গুন, ২১ ফেব্রুয়ারি ও ভ্যালেন্টাইনস একই সঙ্গে পাচ্ছি। আবার ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইনস কিন্তু পাচ্ছি একই দিনে। তারপরও আমরা আলাদা আলাদা উৎসব ধরে আলাদা কিছু রাখছি। রোজার মধ্যে পয়লা বৈশাখ পড়ে যাওয়ায় প্রত্যাশিত সেল হয়তো পাব না, তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ম্যাসিভ আকারে নামতাম—ফটোশুট, কালেকশন ইত্যাদি…সেই সব এক্সপেন্স আমাদের কমে গেছে। তাই বিজনেস হিসেবে আমরা লোকসান করব না। যে টার্গেট ছিল, সেটা পূর্র্ণ করার চেষ্টা করছি। তা ছাড়া কালেকশনটা আমরা আলাদা করে রাখছি। যে ম্যাসিভ আকারে নামার কথা ছিল, সেভাবে নামছি না। আমাদের এখন ঈদই মূল লক্ষ্য।

তৌহিদ হাসান

শেখ সাইফুর রহমান: তাহুরের প্রডাক্ট একদমই আলাদা। বাংলাদেশের উৎসব বা অন্যান্য অকেশন নিয়ে আপনারা কীভাবে আগাবেন?
নুসরাত বিনতে ওয়াহিদ (মার্কেটিং অ্যান্ড পি আর এক্সিকিউটিভ, তাহুর): আমাদের মূল ফোকাস থাকবে হজ আর ঈদ। রোজায় নামাজের অনুষঙ্গগুলোর সেল আমাদের বেশি থাকে। ঈদের শুট অলরেডি হয়ে গেছে। কিছু প্রডাক্ট বৈশাখ বেসড করেই বানানো হয়। কিন্তু আমাদের যারা ক্রেতা, তারা ম্যাক্সিমামই মডেস্ট পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তাই বৈশাখ নিয়ে আমাদের ওভাবে প্ল্যান কখনোই থাকে না। ঈদে সেল বেশি থাকে। এবার ফাল্গুন নিয়ে আমরা শুট থেকে শুরু করে নানান কাজ করেছিলাম। ফাল্গুনে সেল ভালো ছিল।
শেখ সাইফুর রহমান: আমাদের আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, ফাল্গুন মানে একটা দিন—পয়লা ফাল্গুন। কিন্তু ইন্টারন্যাশনালি চিন্তা করলে, স্প্রিং একটা বড় সময়। প্রায় বৈশাখের আগ পর্যন্ত সময়টাকে স্প্রিং ধরতে পারি। এ নিয়ে আমাদের দেশে কাজ করার কোনো সুযোগ আছে কি না?
তৌহিদ হাসান (হেড অব বিজনেস অ্যান্ড অপারেশন, ক্লোদেন): একটা ডে বা একটা অকেশন ক্রিয়েট করার জন্য এই ধরনের ব্র্যান্ডগুলো যে বড় ভূমিকা রাখে, তার ফলে পার্টিকুলার ডে-টা অনেক বেশি সেলিব্রেট হয়। যেমন শফিক রেহমান যদি ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকায় ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’কে অনেক বেশি জোরালো করে না তুলতেন, আজ বোধ হয় অনেক পিছিয়ে থাকতাম। ভ্যালেন্টাইনস ডে একটা সেলিব্রেশনে চলে এসেছে। যারা ক্লোদিং লাইনে কাজ করছি, আমরা দিনটাকে স্পেশালি ধরি। এই ডে-টা আসার ফলে আমাদের ব্যবসায় কোনো না কোনো ইমপ্যাক্ট পড়ে। একটা ডে-কে নিয়ে কীভাবে কাজ করা যেতে পারে, সেই ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে পারেন ডিজাইনাররাও। ফেব্রুয়ারি মাসে অনেক আয়োজন থাকলেও মানুষ কিন্তু প্রতিটি জিনিসই সেলিব্রেট করতে চায়। সোশ্যাল মিডিয়া আসার ফলে এখানে একটা আলাদা কম্পিটিশন তৈরি হয়ে গেছে—‘একটা ড্রেস পরে ফেসবুকে ছবি দিয়েছি, ওই ড্রেস সেকেন্ড টাইম ইউজ করতে চাই না।’ এদিকে কোনো না কোনোভাবে আমাদের বিজনেস গ্রো করছে। আর স্প্রিংয়ের যে কথাটা, ফাল্গুনের যে কথাটা বলা হচ্ছে, এটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এটাতে আমরা যত বেশি জোর দেব, তত বেশি ডে-টা সেলিব্রেশন তো হবেই হবে, সঙ্গে সঙ্গে বিজনেসের বিশাল একটা ফিডব্যাক পাব। আপনারা যত যা-ই বলেন, রোজার মধ্যে বৈশাখ পড়ে গেছে; আমি কিন্তু ডে-টাকে সেলিব্রেট করবই—থ্রু দ্য সোশ্যাল মিডিয়া। সে জন্য আমাকে কিন্তু প্রডাক্টগুলো পারচেজ করতেই হবে। ছবিটা আপলোড করতেই হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হ্যাঁ, বিজনেস সেই মাত্রায় পাব না। কারণ, একজন ক্রেতা কতবার খরচ করবেন? তাই আমাদেরও সেই স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখে কাজগুলো করতে হবে।
শেখ সাইফুর রহমান: গত দুই বছর নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। প্রথম বছর ও দ্বিতীয় বছরের মধ্যে পার্থক্যটা কেমন? বাধাগুলো উতরালেন কীভাবে?

শরিফুল ইসলাম

শামসুল হক রিপন: আমরা ‘সোলাস্তা’ ব্র্যান্ডটা লঞ্চ করার ৪০ দিন পরেই লকডাউন শুরু হয়। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারির ব্র্যাঞ্চ ওপেন করি। মার্চের ২৬ তারিখ থেকে বাংলাদেশ লকডাউনে চলে যায়। ওই ৪০টা দিন যদিও আমাদের জন্য হানিমুন পিরিয়ডই। তবে এই সময়ে আমরা এত ভালো ফল পেয়েছি যে আমাদের মনেই হয়েছে, করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্র্যান্ডকে টিকিয়ে রাখতে হবে। মানুষ যেভাবে আমাদের গ্রহণ করেছে, সেটাকে প্রেরণা হিসেবে নিয়েছি। ওই সময়ে পরবর্তী উৎসব ছিল পয়লা বৈশাখ। সেটার কালেকশন বানিয়ে ফেলেছি। শুট করে ফেলেছি। শোরুম বন্ধ। পরের ঈদও পাইনি। কোরবানি ঈদে গিয়ে কিছুটা সুযোগ পেয়েছি। তবে রোজার ও কোরবানির ঈদে অনলাইনে ব্যাপক সাড়া পাই। অনলাইনের প্রিপারেশন আমাদের আগে থেকে ছিল না। অনলাইন সার্ভিস চালুই করি ২৬ মার্চ, বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হওয়ার দিনে। তখন লোকবল পাচ্ছি না, টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাচ্ছি না; কোনোরকমে দু-চারজনকে নিয়ে চালাতে থাকি। তবে অনলাইনে বেশ সাড়া পেয়েছি। ফলে সেকেন্ড ইনভেস্টমেন্টে যাই। মাথায় একটা চিন্তা সব সময়ই ছিল, ব্র্যান্ডটা ক্লোজ করে দেব কি না। তবে কোরবানি ঈদে মার্কেট খোলার পর দেখলাম, কাস্টমারদের বায়িং নেচার চেঞ্জ হয়ে গেছে। তখন বলা শুরু হলো, ক্যাজুয়াল ইজ আ নিউ ফরমাল। তত দিনে আমরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম শিখে ফেলেছি। কোরবানির ঈদে পরিকল্পনা বদলালাম। অনেক বেশি ক্যাজুয়ালে চলে এলাম। বুঝলাম, আমাদের নতুন ডিজাইনে ফোকাস করতে হবে। এরপর উইন্টার সামনে রেখে ধরে নিলাম, করোনার প্রকোপ চলে গেছে। ধানমন্ডি ব্র্যাঞ্চ ওপেন করলাম। এর কিছুদিনের মধ্যে আবার লকডাউন! এবার ভয় পেলাম। একটা সামারে আটকে গিয়েছিলাম, একটা উইন্টারেও আটকে গেলাম। লকডাউনে আবারও ভরসার জায়গা হলো অনলাইন। খেয়াল করলাম, কাস্টমাররা সাশ্রয়ী পণ্য কিনতে চান। এটাকে ভালো একটা ফিডব্যাক হিসেবে নিলাম। এটা প্রফিট করার সময় নয়। মানুষ কেনাকাটা করতে চাচ্ছে। তাদের এই ইচ্ছেটা টিকিয়ে রাখতে হবে। ফলে আমাদের প্রাইস কাট করলাম। দেখলাম, যত প্রাইস কাট করছি, কাস্টমার তত আমাদের দিকে আসছে। মানুষের কেনাকাটার সামর্থ্য হয়তো কমেছে, কিন্তু ইচ্ছা ঠিকই আছে। তখন ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকা ক্লোজিংয়ের চিন্তাটা বাদ দিলাম।

সামিয়া আহমেদ

এখানে একটু বলে রাখি, বিদেশের স্প্রিংয়ের সঙ্গে আমাদের বসন্তের পার্থক্য অনেক। মার্কেট সিনারিও থেকে দেখেছি, স্প্রিংটা আমাদের ওয়েস্টার্নাররা শিখিয়েছে। ওরা সারা বছর শীতে থাকে, স্প্রিং এলে খুশি হয়। বাংলাদেশের মানুষ আমরা তো গরমেই থাকি, উইন্টার এলে খুশি হই। সেল বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, শীতই হতে পারে বৈশাখের বিকল্প। আর আমাদের সেভাবেই তৈরি হওয়া উচিত। এ জন্যই ডিজাইনারদের বললাম, ‘কাস্টমারের বায়িং নেচার মাথায় রাখতে হবে। পয়লা বৈশাখ ঘিরে সবকিছু রঙিন করে ফেলতে হবে, তা নয়। কালারগুলো এমনভাবে সিলেক্ট করো, যাতে মানুষ ট্রেন্ডের সাথে থাকে। ফেস্টিভ্যালের সাথে ট্রেন্ডটাকে অ্যাড করে দাও।’ আক্ষরিক অর্থেই আমি পয়লা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে কোনো কালেকশন করিনি, উইন্টারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। প্রডাক্টটাকে ট্রেন্ডি করাটাই মূল। তাতে দেখলাম, মানুষ সব কালারই কিনছে। আমি শিখলাম, এসব সেলিব্রেশনে মানুষ নিজের মতো করে নিজের উপস্থিতি জানাতে চায়। তাই ঈদের প্ল্যান যখন করেছি, পেছনে যতই উৎকণ্ঠা থাক, আমি দেখছি প্রতিটি মাস আমার জন্য নতুন ইনস্পিরেশন। সুপার প্রফিট করতে আসিনি, একটা ব্র্যান্ড কালচারকে ইনট্রোডিউস করতে এসেছি আমরা। প্যানডেমিকের দুই বছরের জার্নি থেকে ফিল করেছি, আমাকে আমার কাস্টমার, আমার ব্র্যান্ড আইডেনটিটি নিয়ে চলতে হবে। আমাকে নিজস্ব প্রডাক্ট ডিজাইন করতে হবে। ফেস্টিভ্যাল মাঝখানে ৩০-৩২ শতাংশ এক্সট্রা ভ্যালু অ্যাড করতে পারে। কিন্তু ফেস্টিভ্যাল আমার ব্র্যান্ডের টার্গেট হতে পারে না।
শেখ সাইফুর রহমান: ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির পথটা ওই দিকেই যাওয়া উচিত ছিল, যেটা আপনারা হয়তো এখন চেষ্টা করছেন।
শরিফুল ইসলাম: করোনার প্রথম বছরে মানুষের মধ্যে ভয় ছিল অনেক। সেকেন্ড ইয়ারে সেটা কেটে গেছে। গ্লোবালিই একটা ট্রেন্ড দেখা গেছে—করোনার পর লকডাউন উঠে যেতেই সেল বেড়েছে প্রতিটি ব্র্যান্ডের। এতই বেড়েছে, কারও কারও করোনাকালীন লসটাও রিকভার হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও ট্রেন্ডটা অলমোস্ট সেম। এর একটা কারণ, কাস্টমাররা অনেক দিন আটকা অবস্থা থেকে বের হয়েছে। মানুষ তো এ দেশে মার্কেটে শুধু কেনার জন্য না, ঘোরার জন্যও যায়। দুটো একসঙ্গে মার্জ করে। দ্বিতীয়ত, ব্র্যান্ডগুলো প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে দ্বিতীয় বছরে সেল বেড়েছে। তাই ভবিষ্যতেও যদি করোনার মতো বড় ডিজাস্টার আসে, আর আমরা শুধু ফেস্টিভ্যাল বেসড হয়ে এখন থেকেই রেগুলার বিজনেসে ফোকাস না করি, তাহলে সাফার করতে হবে।

হাসিবুর রহমান

তৌহিদ হাসান: নব্বইয়ের দশকের তুলনায় এখন কনজিউমাররা অনেক আধুনিক। তখন মেয়েদের টপসে নিয়ে আসা টাফ ছিল। এখন এটা রেগুলার প্রডাক্ট হয়ে গেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এখন মানুষ ট্র্যাডিশনাল ড্রেস পরে বের হচ্ছে না তেমন; ডেনিম, জিনস, টপস ক্যারি করছে। এ জিনিসগুলো আসার ফলে আমাদের রেগুলার সেল ডেভেলপ করেছে।
শামসুল হক রিপন: কাস্টমারদের এই আপডেটটা কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কতটুকু সময় দেয়, আর নেটফ্লিক্সে কতটুকু দেয়, সেটার ওপর জরিপ হলে বোঝা যেত, এখানকার মানুষের রুচিবোধের কতটা বদল ঘটেছে। তাহলে বোঝা যেত, কাস্টমার কেমন পোশাক চায়। তাই আমাদের আরেকটু ফিউচারিস্টিক হতে হবে।
তারিক উল আলম: ট্র্যাডিশনাল পোশাক আমাদের ‘টর’ ব্র্যান্ডের তেমন নেই বলে বেশ প্রবলেম ফেস করি। আসলে ওয়েস্টার্নের সাথে যদি ট্র্যাডিশনাল নিয়ে আসি—আমার বিজনেসের সঙ্গে মানাবে না। তবে অকেশনে, অল্প কিছুদিনের জন্য আমরা ও রকম কিছু ড্রেস নিয়ে আসতে পারি। অবশ্য অকেশনে বা ফেস্টিভ্যালের সময় আমাদের ব্র্যান্ডের বিক্রি একদম পড়ে যায়, তা নয় কিন্তু। এখানে কুইক আর্নিংয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিলে আমরা হয়তো এসব ফেস্টিভ্যাল বেসড ড্রেস ইনট্রোডিউস করতে পারতাম। কিন্তু সেটা আমাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যায় না। আমরা আমাদের পোশাকের বেশ ভালোই রেসপন্স পাই।
নুসরাত বিনতে ওয়াহিদ: ‘তাহুর’ মডেস্ট ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছে, তার মানে এটা নয় যে, আমরা সব সময় হিজাবকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।
শরিফুল ইসলাম: মার্কেটে সবাইকে লিডার হতে হবে, তা নয়। আমি যদি ওভারঅল লিডার হতে না পারি, অ্যাটলিস্ট যেন ক্যাটাগরিক্যাল লিডারশিপ পাই, মার্কেটিংয়ের জায়গায় সেই চেষ্টা ব্র্যান্ডের চালানো উচিত। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো নিজেদের মতো আইডেনটিটি দাঁড় করাতে পারলে পুরো ইন্ডাস্ট্রিই গ্রো করবে।

মো. সাব্বির নেওয়াজ জিতু

শামসুল হক রিপন: বাংলাদেশে এখন যত ব্র্যান্ড আছে, সেগুলোর সঙ্গে আরও ২০০ নতুন ব্র্যান্ড হওয়ার অপরচুনিটি আছে। বিদেশের দিকে তাকালে দেখব, জার্মানিতেই প্রায় ৬০০টি ব্র্যান্ড আছে। আমাদের দেশে হয়তো ৫৫টি। জনসংখ্যার তুলনায় যা খুবই কম। একটা সময় আসবে, ব্র্যান্ড-সচেতন কাস্টমারদের জন্য নতুন নতুন ব্র্যান্ড তৈরি হবে এ দেশে।
শেখ সাইফুর রহমান: সেই সচেতনতা তৈরি করার সময়টা চলে এসেছে। একেবারে উপজেলা পর্যায়ে যেতে পারছে না, অনেকে হয়তো জেলা পর্যায়ে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডগুলো প্রথমে ঢাকাতেই ছিল শুধু, এখন বিভাগের মধ্যে আটকে আছে। প্রান্তিক পর্যায়ে এবং গণমানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যাপারে কী ভাবছেন?
তৌহিদ হাসান: আমার মনে হয়েছে, আমাদের ব্র্যান্ড ওনাররা রেভিনিউ জেনারেটের টার্গেট হিসেবে নেন মিডল ক্লাস বা আপার ক্লাসকে। ম্যাস পিপলকে কিন্তু আমরা এখনো রিচ করি না। তাদের রিচ করতে পারলে ভালো হতো।
শরিফুল ইসলাম: আগে ব্র্যান্ডগুলোর মার্কেটিংয়ের যেসব প্রিন্সিপল ছিল, এখন কিন্তু অনেক চেঞ্জ হয়েছে। এখন ম্যাস পিপলের কাছ থেকেও অনেক বড় একটা রেভিনিউ নিয়ে আসা সম্ভব। কিন্তু ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এখনো সেদিকে তেমন আগ্রহ দেখায় না। এর কারণ, বাংলাদেশে ক্লোদিংয়ের মার্কেটিংয়ে অত প্রায়োরিটি দেওয়া হয়নি। এখন সে কাজ করার চেষ্টা চলছে।
শামসুল হক রিপন: আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান মার্কেটের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তারা ম্যাস মার্কেট নিয়ে ডিল করে। এই ম্যাস মার্কেটে কম পয়সায় ভালো কাপড় দেওয়ার মতো তেমন কোনো ব্র্যান্ড আমাদের দেশে এখনো তৈরি হয়নি।
সামিয়া আহমেদ: আমার ধারণা, করোনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছিলাম আমরা (‘টুয়েলভ ক্লোদিং’)। কারণ, আমাদের ৩০টা আউটলেট ছিল সে সময়ে। ঢাকার বাইরে ২০টা। আমরা মোটামুটি ক্ষতি পুষিয়ে উঠেছি। দেখেছি, যদি ভালো কোয়ালিটির প্রডাক্ট দিই, কাস্টমার কিন্তু কেনে। আমরা তিনটা স্টেপে চলে গেছি: একটা ম্যাস পিপল, একটা মিড, আরেকটা হাই রেঞ্জের কাস্টমারদের জন্য। করোনার কারণে টাকা থাকলেও অনেকে খরচ করতে ভয় পায়। আমরা এ জন্য ইএমআই সার্ভিস দিচ্ছি। বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি।

রিদওয়ানা হক

মো. সাব্বির নেওয়াজ জিতু (সিনিয়র ম্যানেজার, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, রেড অরিজিন): প্রতিটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডই চারটা সিজন নিয়ে কাজ করে। সিজনের মধ্যে অকেশন পড়ে। ইন্টারন্যাশনালি তুলনা করলে, চারটা সিজনই কালারের। ইন্টারন্যাশনালি ট্রেন্ড থাকে তিন থেকে চার বছর। ওই ট্রেন্ডকে ফলো করে বাংলাদেশি যারা ডিজাইনার আছেন, যারা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন, প্রতিটি সিজনে কালার চেঞ্জ করা হয়। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্যাটাগরি। আমাদের কোভিড সিচুয়েশনে ক্যাটাগরি নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে। আমরা নতুন কিছু ক্যাটাগরির কথা ভাবছি, যেগুলো মার্কেটে আনা যায়, যেটা ইজি টু ওয়্যার। প্রতিটি ব্র্যান্ডেরই স্পেসিফিকলি কোর কিছু থাকা উচিত, যেটার মাধ্যমে কাস্টমার বেজড ক্রিয়েট করা যাবে। কোভিডের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, আমাদের টেকনোলজি যা আছে, সেটা কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করে কীভাবে কাস্টমারের কাছে সহজে পৌঁছানো যায়, আমাদের তা নতুন করে ভাবতে হবে।
শেখ সাইফুর রহমান: ই-কমার্স নিয়ে আপনারা অনেকে ভাবেন। প্রত্যেকের নিজস্ব ফেসিলিটিও আছে। এফ-কমার্স কি কোনোভাবে আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে? বা, আপনাদের মার্কেট নষ্ট করার মতো কোনো সমস্যা তৈরি করছে?
রিদওয়ানা হক: অনলাইন বিজনেসগুলো অনেক সময়ই আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। ওদের কারণে কাস্টমার আমাদের ট্রাস্ট করতে পারছে না। অনেক সময় বলে, ‘র পিকচার দেন!’ অথচ আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু আসল ছবিই দেওয়া আছে।
শেখ সাইফুর রহমান: ট্রাস্টের জায়গায় ব্র্যান্ডগুলো কী ভূমিকা রাখতে পারে?
শরিফুল ইসলাম: এফ-কমার্সগুলো ভালো করার কারণ, ওরা ওই ট্রাস্টটা কোনো না কোনোভাবে অর্জন করতে পেরেছে। এফ-কমার্সকে প্রতিদ্বন্দ্বী না বলে এটাকে একটা সুযোগ হিসেবে দেখা সম্ভব। কারণ, আমরা কীভাবে ওই মার্কেট ধরতে পারব, সেটা ভাবতে হবে। ওই ট্রাস্টের জায়গা নিয়ে কাজ করতে হবে।
হাসিবুর রহমান: এফ-কমার্স অনেক ট্রাস্ট নষ্ট করে। আমাদের প্রডাক্ট অনেকেই ইলিগ্যাল কপি করে দেখা যায়, আমাদের চেয়েও বেশি বুস্ট করছে। আমি একবার কাস্টমার সেজে অর্ডার করে প্রডাক্ট নিয়ে দেখি, বাজে অবস্থা। তাদের আচরণও বাজে। এই যে প্রতারণাগুলো তারা কাস্টমারদের সঙ্গে করে, এটা আমার ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে। এই ধাক্কাটার সাথে, থার্ড পার্টি ই-কমার্সও একটা চাপের মধ্যে রেখে গেছে আমাদের। এর রেশ অবশ্য ধীরে ধীরে কেটেছে। তবে ই-কমার্সের ফিডব্যাক আমাদের কোনো ব্র্যাঞ্চের চেয়ে কম নয়। ওখান থেকে ভালো সাপোর্ট পাচ্ছি।

নুসরাত বিনতে ওয়াহিদ

মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন: প্রডাক্ট কপি হওয়ার বিষয়টা সব সময়ই ছিল। এটা মাথায় রেখেই আমাদের এগোতে হবে।
শেখ সাইফুর রহমান: গত ঈদের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। আশা করছি এবার ভালো যাবে। ঈদ নিয়ে কী ভাবছেন?
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন: ভ্যাকুয়ামগুলো বুঝে যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ভালো করার সুযোগ আছে। সাসটেইন করার উপায় বের করার ওপর ব্র্যান্ডগুলোকে ফোকাস করতে হবে। কোয়ালিটির বিষয়ে আপোস চলবে না।
শামসুল হক রিপন: কোয়ালিটি হলো নেভারএন্ডিং জার্নি।
শরিফুল ইসলাম: আমরা ঈদে এবার ভালো সাড়া পাবার আশা করছি। দুই বছর সাফার করতে হয়েছে। বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে, এর প্রভাব পোশাকেও পড়বে। ফ্যাব্রিকের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সে জায়গা থেকে সব ব্র্যান্ডকেই স্ট্রাগল করতে হচ্ছে আগের তুলনায়। আমরা চেষ্টা করছি আন্তর্জাতিকের পাশাপাশি বাংলাদেশি ট্র্যাডিশনকে গুরুত্ব দেওয়ার। আসলে শুধু ফেস্টিভের নয়, প্রতিদিনের ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে হবে আমাদের।
ছবি: ক্যানভাস
লোকেশন: উনান রুফটপ রেস্টুরেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top