skip to Main Content

রাশি রসদ I কর্কটের কিচেনে

কর্কট রাশির নরনারীদের অধিকর্তা উপগ্রহ চাঁদ। এ কারণে ঠান্ডা খাবারের প্রতি তাদের ঝোঁক বেশি। এর জন্য অবশ্য মাশুলও গুনতে হয়। ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে বারো মাস। কথাটি কর্কট রাশির সবার জন্য অবশ্য প্রযোজ্য নয়। যারা বেছে বেছে রাশিবান্ধব খাবার খান, তারা ঠান্ডাজনিত রোগবালাই থেকে সুরক্ষিত থাকেন; বিশেষ করে চা ও মসলা। আদা এ রাশির জন্য পথ্যতুল্য। চায়ের সঙ্গে যোগ করে খেলে এটি যেমন ঠান্ডা সারায়, তেমনি কর্কটের হজমও উন্নত করে। কেননা রাশিগত কারণেই কর্কটের হজমশক্তি দুর্বল।
কিছু খাবারের সঙ্গে এই রাশির মানুষের ভাগ্য ও উন্নতি ওতপ্রোত। যেমন কুমড়া, শসা ও ব্রকলি। আরেকটি বিষয়, চলতি মাসে ব্যবসা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে বুদ্ধি খাটিয়ে বিপদ এড়াতে হতে পারে। এ জন্য বুদ্ধিবর্ধক খাবার খেলে ভালো ফল মিলবে কর্কটদের। যেমন কফি, আখরোট, জাম, ব্রকলি, নারকেল, পালংশাক, ডিম, শতমূলি, হলুদ, মাছ ইত্যাদি। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে বুদ্ধি খুলবে, তা কিন্তু নয়! তবে মানসিক একটা শক্তি মিলতে পারে।
তিনটি খাবার কর্কট রাশির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাম, ব্রকলি ও হলুদ। এ রাশির শিশুদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। গ্রহের প্রভাব ও জামের পুষ্টিগুণ—এ দুই মিলে কর্কটের শিশুরা অসৎ সঙ্গ থেকে নিরাপদ থাকার পাশাপাশি বেশ বলবান হয়ে ওঠে।
উৎসবে ভারী খাবার সাধারণত কর্কট রাশির নরনারীদের খুব একটা সয় না। বিশেষ করে তেলযুক্ত খাবার তাদেরকে অল্পতেই কাবু করে ফেলে। ফলে এই কোরবানির ঈদে পাতে একটু পরিমিতির পরিচয় দিতে হবে বৈকি। অন্যথায়, পেটে পীড়া!
শেষ বয়সে উচ্চ রক্তচাপে ভোগা যেন কর্কট রাশির মানুষের অকাট্য নিয়তি। ফলে এখন থেকেই লবণ পরিত্যাগ করতে পারলে বার্ধক্যে সুফল মিলতে পারে। তা ছাড়া লবণের দোষ কর্কটের আচরণে প্রভাব ফেলে। আশপাশের মানুষের কাছে এ রাশির জাতকদের কথাবার্তাকে অনেক সময় কটু মনে হয়। ফলে ব্যবসায় উন্নতি কিংবা চাকরিতে প্রমোশন—দুটিই বাধাগ্রস্ত হয়। তাই লবণ ত্যাগ করতে পারলে স্বাস্থ্যগত উন্নতির পাশাপাশি ভাগ্যেরও উন্নতি ঘটতে পারে।
কর্কট রাশির তরুণেরা খাবারের ব্যবসা করলে অন্য সবার চেয়ে তুলনামূলকভাবে কিছু আগেই সফলতার মুখ দেখেন। তাই অর্থলগ্নির ক্ষেত্রে রেস্তোরাঁ ব্যবসার কথা ভাবা যেতে পারে। তবে বেহিসাবে খরচ করার জন্য এ রাশির অনেকে লাভের মুখ দেখেন না। এটা নিতান্তই তাদের বদভ্যাস। তা রাশির দোষ নয়।
বড় পরিবারে থাকলে কর্কট রাশির সংসারীরা বেশি উন্নতি করতে পারেন। খাবারে আয় হয়। আবার খাবার নষ্ট করার বদভ্যাস অন্যান্য রাশির তুলনায় কর্কটেরই বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় পাতে খাবার অল্প অল্প করে নিলে। প্রয়োজনে বারবার নেওয়া ভালো। তাতে অপচয় হবে না। এ রাশির নরনারীদের সংসারে দুর্দশা লাগার অন্যতম কারণ খাবার অপচয় করা।
কর্কট রাশির ওপর চাঁদের প্রভাব থাকায় অনেকে অমাবস্যা কিংবা পূর্ণিমার সময় তাদেরকে খাদ্য গ্রহণে নিষেধ করে থাকেন। কিন্তু এটা ভ্রান্ত ধারণা। সে সময় খেলে কিছু হয় না।
কর্কট রাশির লোকেদের যদি কোনো কিছু থেকে সাবধান থাকতে হয়, তা হলো দূষিত পানি। পানিবাহিত জীবাণু তাদের শরীরে সহজেই বাসা বাঁধে। ফলে বাড়িতে কিংবা ভ্রমণে—সব সময় নিরাপদ পানি পানের দিকে খেয়াল রাখা চাই। আর মাদকদ্রব্য? এসব ছাইপাঁশে অভ্যাস থাকলে যত ভালো কিছুই খান, না খুলবে ভাগ্য, না পাবেন সুস্বাস্থ্য।

i কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top