skip to Main Content
জাগো-আইআরআই সেমিনার: নাগরিক শিক্ষায় তরুণদের যুক্ত করতে

জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতায় ‘জাতীয় নাগরিক সচেতনতা সেমিনার’-এর আয়োজন করেছে। নাগরিক শিক্ষার অগ্রগতি এবং তরুণ নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই সেমিনার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে অংশ নেন দেশের ৬৪টি জেলা থেকে আসা ৪১৫ জনেরও বেশি তরুণ। নাগরিক শিক্ষা ও নীতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। যুবসমাজের ক্ষমতায়ন এবং তাদের ভবিষ্যত গঠন করতে নাগরিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সেমিনার তরুণদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।

সারা বাংলাদেশে আইআরআই-এর কার্যক্রম সম্পর্ক নিয়ে এখানে বক্তব্য রাখেন আইআরআই-এর বাংলাদেশ প্রোগ্রামের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম পরিচালক ক্রেগ হালস্টেড। দেশে নাগরিক শিক্ষা এবং যুব উন্নয়নের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে এই উদ্যোগ জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং এর পার্টনারদের প্রতিশ্রুতিরই এক অংশ।

‘ডিসকাশন অন আইআরআই সিভিক এনগেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অ্যান্ড ন্যাশনাল ইয়ুথ পলিসি’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা হয় এই সেমিনারে। পরিচালনা করেন আইআরআই-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ। প্যানেলে আরও ছিলেন ‘ইয়ুথ ফর চেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এর তিন জন তরুণ, যারা কথা বলেন তাদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া এবং মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে।

এ ছাড়া, নাগরিক শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তারা। যার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের জন্য নাগরিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে তরুণদের দায়িত্বের বিষয়টি উঠে আসে। প্রশ্ন-উত্তরমূলক আলোচনা দিয়ে এই অধিবেশন শেষ হয়।

‘নাগরিকদের সম্পৃক্ততা’র বিষয়টি তুলে ধরতে ‘উই ক্যান’ নামক একটি ছোট মঞ্চনাটক পরিবেশন করেন তরুণরা। এ ছাড়া ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নতুন রূপ সৃষ্টিতে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সংসদীয় বিতর্ক পরিচালনা করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অংশগ্রহণকারীরা।

জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ বলেন, ‘তরুণদের স্বেচ্ছাসেবা এবং নেতৃত্বই পারে নাগরিকদের জন্য কাজ করার জায়গাটি সক্রিয় করে তুলতে। তাই আমাদের যুবসমাজের জন্য নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা।’

‘আজকের তরুণরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নেতা’– নেলসন ম্যান্ডেলার এই উক্তি শুরুতেই বক্তব্যে উল্লেখ করেন ক্রেগ হালস্টেড। তিনি আরও বলেন, “কার্যকারিতা, সমালোচনা, এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার মাধ্যমে তরুণরা খুব দ্রুত যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আর এই তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সক্রিয়তা, এবং স্বেচ্ছাসেবাই পারে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো আরও ভালোভাবে সমাধান করতে।’

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: জাগো ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top